somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুবাদ কবিতা

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পায়ের পাতা

প্রথম দিন ইস্কুলে গিয়েছিলো আমার বড় বড় চোখ
আর আমার বাবার পায়ের একজোড়া জুতা,
এরপর থেকে আমার আঙুল ভাই-বোনদের পায়ে ভর দিয়ে
আমার জোড়া পায়ের পাতা ইস্কুল রুমে গিয়ে ঢুকতো।
আমার মা প্রতিদিন ইস্কুল পাঠাবার জন্য অস্থির হতেন,
আমাকে ইস্কুলের পথে ছেড়ে দিয়ে পায়ের পাতার দিকে
চেয়ে থাকতেন, যেন পরিমাপ করতেন প্রতিনিয়ত কতটুকু
দিগন্ত পেরিয়ে যাবার সামর্থ্য খুঁজে নিতে পারছে আমার পা জোড়া।
ইস্কুল শিক্ষক প্রতিনিয়ত পরিমাপ করে নিতেন আমার
মগজ কতটুকু বাড়তে পারছে, শিক্ষক আমার মাথার ভেতর
একটি তাঁতকল বসিয়ে দিতে চাইতেন, শিক্ষক তার হাতে ধরা
বেতের মাথায় তাঁতকলটি বসিয়ে নিয়ে ক্লাসরুমে ঢুকতেন।
বাবা মাঝে মাঝেই আমার কাঁধ ছুঁয়ে দেখতেন,
বাবা মাঝে মাঝেই আমার আন্ডারঅয়ার পরে ফেলতেন,
বাবা আমার দিকে চেয়ে চেয়ে বোকা বোকা হাসতে চাইতেন,
যেনো প্রতিনিয়ত তাকে সব কিছুতেই হারিয়ে দিতে পারি,
বাবা সপ্ত আসমান কাঁধে তুলে নেবার সাহস হারিয়েছেন যদি-
সেদিন থেকেই আমার কাঁধে বোঝাটি তুলে দেবার সুযোগ খুঁজতেন।
বন্ধুরা ঝড়ের সামনে দাঁড় করিয়ে শার্টের বোতাম খুলে
আমার বুকটা পরিমাপ করতো, যেনো একটি ক্রদ্ধ জাহাজ
আমার বুকের উপর পড়ে ভেঙে খান খান হয়ে যেতে পারে।

একদিন বাঁশির মধ্যে পড়ে বনসাইয়ের জঙ্গলের পথে
হাঁটতে হাঁটতে আমার পায়ের পাতা এখন হাঁসেদের পা,
রাজপথে হাঁটতে গেলেই বুক থুবড়ে পড়ি মুখ থুবড়ে মরি।
১৬.১২.২০১২, ঢাকা।


Sorosij Alim
Duck’s Feet
Translated by Abu M Yousuf

On the first day, my large pair of eyes went to school
And my feet, was wearing my father’s pair of shoes.
From after that, my toes rested on the feet of my siblings
And that’s how my feet could enter the school-rooms.

Everyday, my mother became restless to send me to school,
And would keep staring on my feet while taking me there
As if to measure me with those passing of the days of mine
How much strength my pair of feet was being able to gather
For I to take strides moving away beyond the horizon.

The school-teacher liked to constantly measure
How much my brain was growing?
And for that, he wished to set-up a loom inside my brain
The loom he carried into the class-room on tip of his cane.

Sometimes, father touched my shoulders and anticipate
Sometimes, he wore my underwear at unmindful state
Keeping on staring at me he wished to give witless smiles
Expecting that I grow up bigger to defeat him always
The day he lost courage to pick on his shoulder the seven skies
He sought opportunity to shift on me the burden of the loads.

Friends liked to measure my chest unbuttoning my shirt
And like that, pushed me against those storms so violent
Thinking that, even a furious ship caught in open seas
Once colliding with my chest would break into piece.

One day, my fall for the flute dragged me into a long walk
And after walking long through jungles of bonsai so thick
My feet are now turned into a pair of the Duck’s feet.
And so; while I walk on the urban avenues on these days,
I keep falling flat on my chest, falling flat on my face, always.
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×