কারফিউ!শব্দটার সাথে আমরা বাংলার লোকজনের যে সখ্যতা তা অন্য অনেক দেশের মানুষের চেয়ে বেশি।ব্রিটিশ সময় থেকে শুরু করে বাংলা স্বাধীন হওয়ার পূর্ব মুহূর্তের ইতিহাস কারফিউ দিয়েই লেখা।তারপর দেশ স্বাধীন হল অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, কিন্তু ইতিহাসে থেকে গেল পূর্বের শ্বাসকদের অত্যাচারের অনেক কৌশল। যার অনেকগুলোই স্বাধীনতার পরও অনেক সরকার অনেক সময় ব্যবহার করেছে যুক্তিপূর্ণ দাবি আদায়কে থামিয়ে দিতে।
যে কারফিউটা গতকাল দেয়ার কথা তা একদিন পর দেয়াতে কাদের যে সুবিধা হল তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না।প্রশাসন হয়ত বলবে তারা জানতেন না গতকাল এমনটি হবে।কিন্তু বাকৃবি প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তিবর্গ জানতেন না ,এটা ন্যাকামি।
গ্রামে জন্মেছি আমি, কৈশোর পর্যন্ত কেটেছে সেখানে। মরা গরু নিয়ে হিংস্র ক্ষুধার্ত শকুনের দল টানাহ্যাঁচড়া মারদাঙ্গা করে। সে এক তুলকালাম কাণ্ড। দেখেছি নিজের চোখে।
কারফিউ কোন সত্যকে গোপন রাখতে পারেনি,পারবেও না।আমাদের আন্দোলন নাকি হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। এখন দেখছি,প্রশাসন আর সরকার অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। বেশি হিংস্র।
এই নিষ্ঠুরতা সুগার কোটেড। কখনো কখনো বন্য চারিত্রে প্রকাশিত, প্রকটিত প্রচারিত। এই যে এন্তার খুনোখুনি চলছে দেশে, গুমখুন গায়েব করে দেওয়ার সংস্কৃতি বিকশিত হচ্ছে — তার মধ্যে কি নৃশংসতা নেই? আছে, আছে। যাদের এসব প্রতিরোধ করবার কথা, শক্ত হাতে দমন করবার কথা, তারা নিজেরাই লুণ্ঠনকারী, ভক্ষক। তাদের চোখের সামনেই ঘটছে এমন সব ন্যক্কারজনক ঘটনাবলি, তারা নীরব দর্শক। কখনো কখনো প্রশ্রয়ও দিয়ে যাচ্ছেন। পারও পেয়ে যাচ্ছেন। কে কাকে ধরে! দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, হামবড়াভাবের মহাতরঙ্গে দেশ তোলপাড়। এরা কি তবে হিংস্র না?
সত্য গোপন থাকে না কখনো। মাটিচাপা দিলেও বেরিয়ে আসে। প্রতিষ্ঠিত হয় আপন তেজে ও মহিমায়।
বিপ্লবের জয় হোক । সত্যের জয় হোক...............।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




