চারদিক থেকে ভেসে আসছে নির্দয় ও পাষণ্ড স্বামী নামের হিংস্র পশুগুলোর আক্রমণের শিকার অসহায় ও অবলা নারীর করুণ বিলাপ। অহরহ ঘটছে দায়ের কোপ, লাথির আঘাত, অ্যাসিডে ঝলসানো, আগুনে পুড়ানো, বিষ প্রয়োগ এবং বালিশ চাপাসহ নানা দুঃসহ কায়দায় নারী মৃত্যুর ঘটনা। কারণ তাদের পাঠ্য সূচি থেকে ওঠে গেছে বিশ্ব নবির বাণী “তোমরা নারীদের প্রতি কল্যাণকামী হও।” “তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম, আমি আমার স্ত্রীদের নিকট উত্তম।”
অপর দিকে চারদিক বিষিয়ে তুলছে, তাগুতি আইনের দোহাই পেড়ে পতিভক্তিশূন্য, মায়া-ভালোবাসাহীন স্ত্রী নামের ডাইনীগুলোর অবজ্ঞার পাত্র, অসহায় স্বামীর ক্ষোভ ও ক্রোধে ভরা আর্তনাদ। কারণ, তারা রাসূলের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত “আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সেজদা করার অনুমতি থাকলে, আমি নারীদের নির্দেশ দিতাম তোমরা স্বামীদের সেজদা কর।” মান-অভিমানের ছলনা আর সামান্য তুচ্ছ ঘটনার ফলে সাজানো-গোছানো, সুখের সংসার, ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন ও তছনছ হয়ে যাচ্ছে মুহূর্তে। ক্ষণিকেই বিস্মৃতির আস্তাকুরে পর্যবসিত হচ্ছে পূর্বের সব মিষ্টি-মধুর স্মৃতি, আনন্দঘন-মুহূর্ত। দায়ী কখনো স্বামী, কখনো স্ত্রী। আরো দায়ী বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিদ্যমান ধর্মহীন, পাশ্চাত্যপন্থী সিলেবাস। যা তৈরি করেছে ইংরেজ ও এদেশের এমন শিক্ষিত সমাজ, যারা রঙে বর্ণে বাঙালী হলেও চিন্তা চেতনা ও মন-মানসিকতায় ইংরেজ। মায়ের উদর থেকে অসহায় অবস্থায় জন্ম গ্রহণকারী মানুষের তৈরি এ সিলেবাস অসম্পূর্ণ, যা সর্বক্ষেত্রে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ। যে সিলেবাসে শিক্ষিত হয়ে স্ত্রী স্বামীর অধিকার সম্পর্কে জানে না, স্বামীও থাকে স্ত্রীর প্রাপ্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। একজন অপর জনের প্রতি থাকে বীতশ্রদ্ধ। ফলে পরস্পরের মাঝে বিরাজ করে সমঝোতা ও সমন্বয়ের সংকট। সম্পূরকের পরিবর্তে প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করে একে অপরকে। আস্থা রাখতে পারছে না কেউ কারো ওপর। তাই স্বনির্ভরতার জন্য নারী-পুরুষ সবাই অসম প্রতিযোগিতার ময়দানে ঝাঁপ দিচ্ছে। মূলত হয়ে পড়ছে পরনির্ভর, খাবার-দাবার, পরিচ্ছন্নতা-পবিত্রতা এবং সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রেও ঝি-চাকর কিংবা শিশু আশ্রমের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে... পক্ষান্তরে আসল শিক্ষা ও মানব জাতির সঠিক পাথেয় আল-কুরআনের দিকনির্দেশনা পরিত্যক্ত ও সংকুচিত হয়ে আশ্রয় নিয়েছে কুঁড়ে ঘরে, কর্তৃত্বশূন্য কিছু মানবের হৃদয়ে। তাই, স্বভাবতই মানব জাতি অন্ধকারাচ্ছন্ন, সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত, কিংকর্তব্যবিমূঢ় নিজদের সমস্যা নিয়ে। দোদুল্যমান স্বীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে।
এ থেকে মুক্তির উপায় কি কেবলি নারীকে স্বল্পবসনে মিডিয়ায় দাড় করিয়ে দিয়ে নারী অধিকারের নামে দু চারটি স্লোগান। ঈদানীং সবচেয়ে স্বাধীনতা ভোগ করা মিডিয়ার নীল জগতের নারীদের যে কুকর্মের কথা বাতাসে ভাসছে তখন আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবির মন্তব্য হল মিডিয়া privacy মানছেনা।ওয়াট এ মোকারী?
রাতের আধারে তারা অপকর্ম করে যাবে দিনের পর দিন,আর সকাল হলেই টাই-স্যূট পরে টক শোতে বসে পুরো দেশের মানুষকে সার্কাস দেখিয়ে বেড়াবে সে দিন বোধ হয় শেষ।
দেশের মানুষগুলো অধিকাংশই অশিক্ষিত বলে বোকা বলে ধরে নিয়েছে তারা।কিন্তু যারা অমন এসির বাতাসে দিনাতিপাত করে তাদের জানা উচিত,প্রকৃতির কাছ থেকে শিক্ষা নেয়া এ মানুষগুলো অশিক্ষিত হলেও বোকা নয়।প্রতি বছর প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেচে থাকা মানুষগুলোর বিবেক এখনো ঐ কদাকার মানুষগুলোর চেয়ে অনেক ভালো।তাইতো যখন নারী অধিকারের ধোয়া তুলে মিডিয়াকে মেয়েদের জন্য রঙীন করে তোলা হচ্ছে,তখন সচেতন বাবা মায়েরাই তাদের মেয়েদের অনাগ্রহী করে তুলছেন মিডিয়ার প্রতি।নৃত্যকলার নামে যখন সুকৌশলে অশ্লীলতা ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে তখন মায়েরা মাদরাশার দ্বারে উপনীত হচ্ছেন।যখন একজন মন্ত্রীর মুখে উচ্চারিত হচ্ছে বোরকা পরা মেয়েদের হৃদয় কুৎসিত তখন তাকে গনতন্ত্রের মানস নাতীন কে অবাক করে দিয়ে বোরকা কিংবা হিজাব ব্যবহারকারীর সংখ্যাই কেবল বাড়ছে।
তাই কোন ফক্কিকার মার্কা দেশপ্রেমের বুলি না আউড়িয়ে একটি মূল্যবোধ ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হউক ।তবেই বন্ধ হবে নারীর প্রতি সহিংসতা।
তবেই বিজয়ের ৪০ বছর পরও নারী কখনো পরাধীনতায় ভুগবেনা,ভুগবেনা অজানা কোনো আশঙকায়........।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




