somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার

০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত একটি অত্যাধুনিক প্ল্যানেটোরিয়াম। এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি দেশের মুক্তি সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকার জন্য কোটি কোটি বাংলাদেশী দ্বারা শ্রদ্ধেয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার 2004 সালে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রচার এবং মহাবিশ্বের বিস্ময় সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্মিত হয়েছিল। প্রকল্পটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহায়তায় সম্পন্ন হয়েছিল।

থিয়েটারের নকশা ঐতিহ্যবাহী বাঙালি টুপি বা ক্যাপ দ্বারা অনুপ্রাণিত, যা তার স্বতন্ত্র আকৃতি এবং জটিল নিদর্শনের জন্য পরিচিত। বিল্ডিংটি সুন্দর পোড়ামাটির টাইলস দ্বারা সজ্জিত, যা স্থানীয় কারিগরদের দ্বারা যত্ন সহকারে তৈরি করা হয়েছে।

নভো থিয়েটারে একটি গম্বুজ-আকৃতির পর্দা রয়েছে যার ব্যাস 21 মিটার এবং এটি 23.5 ডিগ্রি কোণে কাত, যা পৃথিবীর অক্ষের কাত হওয়ার সমান। এই অনন্য ডিজাইনটি দর্শকদের রাতের আকাশ এবং তারা ও গ্রহের গতিবিধির বাস্তবসম্মত উপস্থাপনা অনুভব করতে দেয়।

থিয়েটারে 275 জন বসার ক্ষমতা রয়েছে এবং এটি জ্যোতির্বিদ্যা, মহাকাশ অন্বেষণ এবং প্রাকৃতিক বিশ্বের উপর বিভিন্ন শিক্ষামূলক শো অফার করে। অনুষ্ঠানগুলি বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় উপস্থাপিত হয় এবং সকল বয়সের লোকদের লক্ষ্য করে।

থিয়েটারটিতে একটি বিজ্ঞান জাদুঘরও রয়েছে, যা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রদর্শনী এবং মডেল প্রদর্শন করে। জাদুঘরে ইন্টারেক্টিভ ডিসপ্লে রয়েছে যা দর্শকদের মজাদার এবং আকর্ষক উপায়ে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ধারণা এবং নীতিগুলি সম্পর্কে জানতে দেয়।

নভো থিয়েটারের সবচেয়ে জনপ্রিয় শোগুলির মধ্যে একটি হল "কসমিক কোলিশনস" শো, যা দর্শকদের মহাবিশ্বের মধ্য দিয়ে ভ্রমণে নিয়ে যায় এবং আমাদের মহাবিশ্বকে আকৃতি দেয় এমন শক্তিশালী শক্তিগুলিকে প্রদর্শন করে৷ শোটি অত্যাশ্চর্য ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট তৈরি করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যা দর্শকদের স্থানের সবচেয়ে দূরবর্তী স্থানে নিয়ে যায়।

আরেকটি জনপ্রিয় শো হল "সৌরজগত ওডিসি" শো, যা আমাদের সৌরজগতের রহস্যগুলি অন্বেষণ করে এবং দর্শকদেরকে আমাদের মহাজাগতিক আশেপাশের গ্রহ এবং চাঁদের সফরে নিয়ে যায়। শোটি একটি বাস্তবসম্মত এবং নিমগ্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করতে উচ্চ-রেজোলিউশনের ছবি এবং 3D মডেল ব্যবহার করে৷

শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান ছাড়াও, নভো থিয়েটার সারা বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এই ইভেন্টগুলি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলি প্রদর্শন করে এবং বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের জনসাধারণের সাথে তাদের কাজ ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।

নভো থিয়েটার শুধু শেখার জায়গা নয়, জাতীয় গর্ব ও পরিচয়েরও প্রতীক। থিয়েটারটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রচার এবং এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে দেশের প্রতিশ্রুতির একটি প্রমাণ। আপনি চাইলেই নভোথিয়েটারে ভ্রমণ করতে পারেন।

উপসংহারে বলা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভো থিয়েটার একটি অনন্য এবং চিত্তাকর্ষক কাঠামো যা বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষা ও অনুসন্ধানের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। থিয়েটারের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং নিমজ্জিত শোগুলি মহাবিশ্বের বিস্ময়গুলিতে আগ্রহী যে কেউ এটিকে অবশ্যই দেখার গন্তব্য করে তোলে৷ নভো থিয়েটার হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকার এবং একটি আধুনিক, প্রগতিশীল এবং বৈজ্ঞানিকভাবে সাক্ষর বাংলাদেশের জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধা।

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:১১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারো বলছি দেশে জঙ্গী নেই উহা ছিল আম্লিগ ও ভারতের তৈরী

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮


আওয়ামী নস্টালজিয়ায় যারা অন্তরের ভিতর পুলকিত বোধ করে তাদের কাছে বাংলাদেশ মানেই হলো জঙ্গী, অকার্যকর অথবা পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র। ৩৬ জুলাই পরবর্তী মহা-গণবিস্ফােরনকে কোনাভাবেই মানতে পারেনি তারা ভয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী-লীগের ছায়া দায়িত্ব নিয়ে তারেক জিয়া এখন দেশে

লিখেছেন অপলক , ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬



সংবাদের টাইটেল অনেক কিছু বলে দেয়। ভেতরেটা না পড়লেও চলে। বস্তুত: এতদিন ধরে ভারতের গ্রীন সিগনাল পাচ্ছিলেন না, তাই তারেক জিয়া দেশে আসার সময় বারবার পিছাচ্ছিলেন। এখন চুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভোটের পর, আমরা পাকীদের বুটের নীচে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২



পাকীরা অমানুষ, অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক; ওরা ২টি জাতিকে ঘৃণা করে, ভারতীয় ও বাংগালীদের; ওরা মনে করে যে, বাংগালীদের কারণেই পাকিরা হিন্দুদের কাছে পরাজিত হয়েছে ১৯৭১... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফুড ফর থট!!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫



একটা বিশাল আলোচনাকে সংক্ষিপ্ত আকার দেয়া খুবই কঠিন, বিশেষ করে আমার জন্যে। তারপরেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাবলাম কিছু কথা বলা উচিত। দেশের আভ্যন্তরীন বা আঞ্চলিক রাজনীতিতে ক্রমাগত বড় বড় ভূমিকম্প... ...বাকিটুকু পড়ুন

তারেক রহমান আসবে, বাংলাদেশ হাসবে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৮


আমি যখন স্কুলে পড়তাম, দুপুরের শিফটে ক্লাস ছিল। একদিন স্কুলে যাওয়ার আগে দেখি ছোটো মামা সংসদ টিভিতে অধিবেশন দেখছেন। কৌতূহল হলো, মামা এত মনোযোগ দিয়ে কী দেখছেন। আমিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×