বিবর্তনবাদ বিরোধী দশটি অপপ্রচার ও তার জবাব-১
উত্তর:
ধরুন একটি বাস ঢাকা থেকে ছেড়ে ৮ ঘন্টা পড়ে চট্টগ্রামে গিয়ে পৌছালো। পথে বাসটির গতি (অর্থাৎ দ্রুতি ও দিক) কয়েক লক্ষ বার পরিবর্তিত হয়েছে বিভিন্ন কারণে। বাসের যাত্রী বা যে কাউকে যদি বলা হয় যে বাসটি ঠিক কোন মুহুর্তে কোনদিকে কত বেগে ছুটছিলো, তার কি উত্তর থাকা সম্ভব? সম্ভব হতো যদি গতি নির্দিষ্ট সময় পরপর কোন ব্লাকবক্সে রেকর্ড করে রাখা হতো।
বিবর্তনের যাত্রা ৮ ঘন্টার নয়, কয়েক মিলিয়ন বছরের। আর যে ব্লাকবক্সে এই যাত্রার গতি রেকর্ড করা হয়েছে তা হলো ফসিল। কিন্তু ফসিলের অপ্রতুলতার কারণে বিবর্তনের প্রতিটি ধাপ জানা এখনো সম্ভব হয় নি। পৃথিবীতে কোটি কোটি প্রজাতি রয়েছে। সবগুলো প্রজাতির বিবর্তনের প্রতিটি ধাপ ব্যাখ্যা করা মানুষের পক্ষে কখনোই সম্ভব হবে না। তার মানে তো এই নয় যে বিবর্তনবাদ ভুল।
অপপ্রচার ২: বিবর্তনবাদ থার্মোডিনামিক্সের দ্বিতীয় সুত্রের পরিপন্থী
জবাব: থার্মোডিনামিক্সের দ্বিতীয় সুত্র আবদ্ধ সিস্টেমের জন্য প্রযোজ্য। পৃথিবী কোন আবদ্ধ সিস্টেম নয়। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ শক্তি সূর্য হতে পৃথিবীতে আসছে, যা এখানকার প্রকৃতিকে অর্ডারলি রাখতে সাহায্য করছে।
অপপ্রচার ৩: বিবর্তনবাদ বাইবেল/কোরান বিরোধী। তাই ভুল।
জবাব: ধর্মগ্রন্থের কথাকে আক্ষরিক অর্থে নেয়াটা বোকামি। ধর্মগ্রন্থের ভুল ব্যাখ্যা করেই মানুষের ধারণা হয়েছিল পৃথিবী চ্যাপ্টা। আর আল্লাহর সবচেয়ে বড় সৃষ্টি হচ্ছে প্রকৃতি, ধর্মগ্রন্থ নয়। প্রকৃতিতে আপনি যা দেখছেন, তা আল্লাহরই সৃষ্টি। বস্তু এবং শক্তি যেমন তার সৃষ্টি, প্রকৃতির সুত্রগুলোও (ল'স অব নেচার) তার সৃষ্টি। বিবর্তনবাদ কখনো ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে না, বরং তার কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের ভুল ধারণাকে সংশোধন করে মাত্র।
অপপ্রচার ৪: সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যহীন একটি প্রক্রিয়া হতে এত নিখুঁত জীবজগত তৈরী হতে পারে না।
বিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন উদ্দেশ্যহীন নয়। মিউটেশন হচ্ছে বিবর্তনের প্রথম ধাপ। এটি একটি র্যান্ডম প্রক্রিয়া। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপ প্রাকৃতিক নির্বাচন কিন্তু র্যান্ডম নয়। প্রথম প্রক্রিয়ায় যে প্রকরণগুলো তৈরী হয়, দ্বিতীয় প্রক্রিয়ায় সেগুলোর মধ্যে যেগুলো নিখুঁত হওয়ার কাছাকাছি (closer to perfection) সেগুলোই টিকে থাকে। আর জীবজগত সম্পূর্ন নিখুঁতও নয়। সবচেয়ে বুদ্ধিমান জীব মানুষের বুদ্ধিও সীমাবদ্ধ।
অপপ্রচার ৫: কিছু বানর যেভাবে মানুষ হয়ে গেল, অন্যগুলো তাহলে কেন মানুষ হয়ে যাচ্ছে না।
বিবর্তনবাদ কখনো বলে না যে বানর (বানরের হাজারখানেক প্রজাতি রয়েছে পৃথিবীতে) মানুষের পূর্বপুরুষ। বিবর্তনবাদ বলে যে সকল প্রাইমেটের একটি সাধারণ পূর্বপুরুষ ছিল। অর্থাৎ ঐ সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকেই মানুষ, গরিলা, শিম্পান্জি ও অন্যান্য আধুনিক প্রাইমেটের জন্ম হয়েছে। আর মিউটেশন যেহেতু র্যান্ডম সেহেতু একই প্রাণী থেকে বিভিন্ন প্রকরণ তৈরী হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।
[চলবে.........]
ফান ফ্যাক্ট: রায়হান ভাই মিউটেশন অস্বীকার করেন না, ন্যাচারাল সিলেকশন অস্বীকার করেন না, শুধু বিবর্তনবাদ (তার ভাষায় ডারউইনবাদ) অস্বীকার করেন মাত্র।
Click This Link
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা
গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন