সংসদীয় গনতন্ত্রের ২৩ বছরের ইতিহাস যদি কেউ পর্যালোচনা করে তাহলে দেখা যাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী-বাম গোষ্ঠীর ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা ছিলো দিনের আলোর মতোই পরিস্কার। ৯১তে ক্ষমতায় আসতে না পারাটা ছিলো তাদের জন্য রীতিমত অবিশ্বাস্য। জনগন তখন তাদের প্রত্যাখান করে ছিলো, কারন ৭২-৭৫ এর কালো শাসন, জিয়া হত্যা-কান্ড, এরশাদের ক্ষমতায় আরোহন ও তার সাথে আওয়ামী-বামের লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি তখনো জনগনের মন থেকে মুছে যায় নাই। তখন থেকেই এই গোষ্ঠী বুঝতে পারে এদেশে সোজা রাস্তায় ক্ষমতায় আসাটা তাদের জন্য কঠিন। ৯১ এর নির্বাচনে এই গোষ্ঠী পরাজয়ের জন্য তাদেরই সমর্থক সাবেক প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিনকে ক্রমাগত গালমন্দ করে। কিন্তু নির্দলীয় তত্বাবধায়ক পদ্ধতির ব্যপারে বিএনপির অনীহাকে পুজি করে দেড় শতাধিক জঙ্গী হরতাল করে এই গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসে। তত্বাবধায়ক পদ্ধতি নিয়ে করা দীর্ঘ সময়ের সে আন্দোলনে জামাত ছিলো এই গোষ্ঠীর সঙ্গী। ৯৬ এর পরবর্তী নির্বাচনে স্বৈরাচারের সাথে জোট বদ্ধ হয়ে তারা ক্ষমতায় আসে। ৯১ তে নির্বাচনী জোটে ১৮ আসন পাওয়া জামাত ৯৬ তে একা নির্বাচন করে মাত্র দুটি আসন পায়। জামাতের এই পরোক্ষ সহযোগীতার জন্য আওয়ামীলীগ সে সময় জামাতকে মন্ত্রীত্বের অফার দেয়, কিন্তু জামাত তা প্রত্যাখান করে।
৯১ এর নির্বাচনের পরে গালমন্দ পাওয়া বিচারপতি শাহাবুদ্দিনকে হাতে-পায়ে ধরে আওয়ামীলীগ প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দেয় এই আশায় যে উনার নিরপেক্ষ পরিচালনার উপর আস্থা রাখা জনসমর্থনকে নিজেদের দিকে টানা। কিন্তু সে সময়ের আওয়ামী দুঃশাসন (আইন-শৃংখলা, দূর্নীতি, শেয়ারবাজারলুট, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের দালালী) সে আশায় গুড়েবালী করে দেয়। এ সময়ে রাজনৈতিক মেরুকরনে জামাত অন্যান্য ইসলামী দলসহ বিএনপির নেতৃত্বে জোটবদ্ধ হলে জামাতের সাথে এত দিনের আওয়ামী সখ্যতা দূর হয়ে তা বিদ্বেষে পরিনত হতে থাকে। ২০০১ এর নির্বাচনের পূর্বে এক সময়ের আওয়ামী সমর্থক বিচারপতি লতিফুর রহমান নেতৃত্বে তত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন আওয়ামী সমর্থিত সাবেক আমলা এম এ সাঈদ। তত্বাবধায়ক ও নির্বাচন কমিশন প্রধান দুজনই আওয়ামী বলয়ের হওয়ায় তখনকার বিরোধীদলীয় জোট শুরুতে খানিকটা অনীহা প্রকাশ করলেও দেশের স্বার্থে তারা নির্বাচন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব পাওয়া মাত্রই নির্বাচন কমিশনের সমর্থনে আওয়ামী-বামের তৈরি করা ইলেকশন-ইন্জিনিয়ারিং এর পুরো সেটআপ ভেঙে দেয় যেটা ছিলো ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর থাকা আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন চোদ্দদলীয় জোটের জন্য চরম এক ধাক্কা। এমনকি সে সময়েও এই গোষ্ঠীর সমর্থনে মিডিয়াগুলো ইনিয়ে-বিনিয়ে এই সেটআপ ভেঙে দেয়ার ব্যাপারে সমালোচনা করে। কিন্তু তত্বাবধায়ক ও নির্বাচন কমিশনের শক্ত অবস্থান ও এর পক্ষে জনসমর্থন থাকার কারনে এই গোষ্ঠীর মিডিয়ার প্রচারনা খুব বেশি দূর এগুতে পারে নাই। স্বাধীনতার পর ইতিহাস সেরা নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট চারদলীয় জোট বিপুল সমর্থন লাভ করে।
০১ এর নির্বাচনী পরাজয় জনসমর্থন সম্পর্কিত আওয়ামী-বামের পূর্ব ধারনাকে আরো পাকাপোক্ত করে। এমনকি তাদের সমর্থিত আমলা-বিচারপতিদেরও তারা পুরোপুরি বিশ্বাস করে না। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের পরামর্শে তখনকার সেনাবাহিনী দুর্বৃত্ত-সন্ত্রাসীদের ধরার জন্যে অপারেশন ক্লীন-হার্ট সফলভাবে পরিচালনা করে যেটা জনমনে সেনাবাহিনীর আস্থা বৃদ্ধি করে। এ সময় সন্ত্রাসী-চরমপন্থী-জঙ্গীদের নিয়ন্ত্রনের জন্য সেনা-পুলিশের সহযোগীতায় র্যাব গঠন করা হয়, যাদের দল-নিরপেক্ষ কার্যক্রম সে সময় জনসমর্থন আদায়। অপরদিকে ৭৫ এর ঘটনায় সেনাবিদ্বেষে ভুগতে থাকা আওয়ামী-বাম গোষ্ঠী এটাকে নেতিবাচক হিসেবে ধরে নেয়। তখন অনেকটা স্থায়ীরূপ নেয়া রাজনৈতিক মেরুকরণকে এই গোষ্ঠী ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত মনে করে। সংসদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়কালী আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী বদরুল হায়দার তখন গোলাম আযমের পা-ছুয়ে সালামের পরও সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হন। এটা ক্ষমতারর রাজনীতীতে আওয়ামী-বাম গোষ্ঠীকে ভবিষ্যতে জামাতের অবস্থানের ব্যাপারে পরিস্কার ধারনা দেয়। এসবের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে মিডিয়াসহ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে ব্যবহার করা শুরু করে দেয়। মেরুকরণকে ভাঙার উদ্দেশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে ইস্যু বানিয়ে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম গঠন করে যার আহবায়ক ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান লেঃজেঃ হারুন যিনি বর্তমানে ডেস্টিনির চেয়ারম্যান থাকা কালীন ঘটা দূর্নীতি দায়ে অভিযুক্ত। এসময় মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক সহযোগীতায় সরকার মনোনীত নির্বাচন কমিশন প্রধান ও সম্ভাব্য তত্বাবধায়ক প্রধানের বিরুদ্ধে জঙ্গী আন্দোলন শুরু করে। কোন ধরনের মতৈক্য ছাড়াই বিএনপি জোটের মেয়াদ শেষ হয় এবং বিচারপতি কেএম হাসান আওয়ামী-বাম গোষ্ঠীর চরম বিরোধীতার মুখে (এখানেও গোষ্ঠী বিশেষের মিডিয়া তাদের গোষ্ঠী দায়িত্ব পালন করে) তত্বাবধায়ক প্রধান হতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে তত্বাবধায়ক সরকার গঠন হয়। কিন্তু তৎকালীন সেনাপ্রধান, মিডিয়া ও পার্শ্ববর্তী দেশের সহযোগীতায় তত্বাবধায়ক সরকার ভাঙার প্রকিয়া শুরু হয় যেটাতে সরাসরি সহযোগীতা করেন গোড়া আওয়ামী সমর্থক তত্বাবধায়ক উপদেষ্টা (বর্তমানে টিআইবি চেয়ারম্যান) সুলতানা কামাল চক্রবর্তী নেতৃত্বে কয়েকজন উপদেষ্টা। তৎকালীন সেনাপ্রধান ও নীলনক্সার একজন মঈন ইউ আহমেদের পরোক্ষ নেতৃত্বে তত্বাবধায়ক, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃংখলা বিভাগে ব্যাপক রদবদল ঘটে।
এতেও আওয়ামী-বাম গোষ্ঠী ও ফরখরুদ্দিন-মঈনরা ক্ষমতার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারে নাই। তাই পরিকল্পিতভাবে কোন ধরনের তথ্য প্রমাণ ছাড়াই প্রথম আলোর নেতৃত্বে মিডিয়া গোষ্ঠী বিএনপি জোটের বিরুদ্ধে দূর্নীতির কেচ্ছা প্রকাশ করে জনগনের চোখে ধুলো দেয়ার অপচেষ্টা করে। এর পাশাপাশি নাটক বানিয়ে বিদেশে চলতে থাকে হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী-বামের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। এসবেও নিশ্চিত হতে না পেরে শেষে এই গোষ্ঠী সারাদেশে রুদ্ধ হয়ে থাকা বিএনপিকে নির্বাচনের পূর্বে দু'ভাগে বিভক্ত। এর পাশাপাশি রাতের অন্ধকারে চেষ্টা চলে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশকে সরিয়ে ফেলার। এতসব (কু)পরিকল্পনার পরও দেশের স্বার্থকে সমুন্নত রাখার উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতৃত্বে জোট নির্বাচনে অংশ নেয়। অপরদিকে আওয়ামী-বাম গোষ্ঠী ফখরুদ্দিন-মঈনের সহযোগীতায় করা ইলেকশন-ইন্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে ব্রুট-মেজোরিটি লাভ করে। ২০০৮ এ ক্ষমতা লাভ করেও শান্তি লাভ করেনি আওয়ামী-বাম গোষ্ঠী, রাজনৈতিক পাপের প্রতিফলের আশংকায় শুরু হয় নতুন নীল-নক্সা। র্যাবের নিরপেক্ষতা নষ্ট করে একে পরিনত করা হয় দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের প্রতিষ্ঠানে। বিচার-বিভাগকে নিজেদের আজ্ঞাবহ করে শুরু করে স্বার্থ উদ্ধার, ফাঁসী দেয়া হয় ৭৫ এর পট পরিবর্তনের সেনা নায়কদের। বিডিআরকে পার্শ্ববর্তী রাষ্টের গোয়েন্দাবাহিনীর সহযোগীতায় হাত করে প্রতিশোধ নেয়া অর্ধ-শতাধিক সেনা অফিসারের প্রাণের বিনিময়ে, যাদের অনেকেই ঘটনার মাত্র কয়েকদিন পূর্বে ফোর্সড-ট্রান্সফার করে বিডিআরে পাঠানো হয়েছিলো। যাদের একজন ছিলেন কর্ণেল গুলজার যিনি বিএনপি জোটের মেয়াদে র্যাবের কর্মকর্তা হিসেবে চরমপন্থী-জঙ্গী-সন্ত্রাসী দূর করার ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়ে ছিলেন। এরপর দলবাজ বিচারপতি খায়রুল হকের সহযোগীতায় তত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিল করা হয়। সংসদে সর্বদলীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে পাশ হওয়া তত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিলের নাটক হয় একাধিক পর্বে। প্রথম পর্বের নাটকে খায়রুল হক বাতিল হওয়া এই পদ্ধতিকে পরবর্তী দুই মেয়াদের জন্য বহাল রাখার পক্ষে রায় করেন। কিন্তু সে রায়ও খায়রুল হকের প্রধান বিচারপতির পদে আসীন থাকার সময়ও প্রকাশ করা হয় নাই। নাটকের শেষ পর্বে খায়রুল হকের অবসরের পর রায় প্রকাশ করা যাতে পরবর্তী দু'টার্মের জন্য তত্বাবধায়ক বহাল রাখার বিষয়টি বাদ দেয়া হয়। এই বিচারপতি খায়রুল হক কতটা দূর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় তারই সহোদর ব্যাংক কর্মকর্তা দূর্নীতির দায়ে নিশ্চিতভাবে অভিযুক্ত হলে মামলার রায়ের দিন নিম্ন আদালতে প্রথা বহির্ভূতভাবে উপস্থিত হয়ে মামলা থেকে ভাইয়ের বেকসুর খালাস আদায় করেন। পরবর্তীতে এই ব্যাংক কর্মকর্তা আওয়ামী-বাম ক্ষমতায় থাকাকালীন দ্রুত পদোন্নতি পান এবং সাফল্যের সঙ্গে হল-মার্ক কেলেঙ্কারীর মত সুবিশাল দূর্নীতির সাথে যুক্ত হন।
বিচার-বিভাগ আঞ্জাবহ করে (অন্যান্য বিভাগের কথা এখানে উল্লেখ করলাম না) তত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিলের পরও সুবিশাল দূর্নীতির সাথে যুক্ত এই গোষ্ঠীর ভবিষ্যত-আশঙ্কা উবে যায় নাই। এরপর তারা শুরু করে রাজনৈতিক মেরুকরণ ভেঙে ভোটের রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করা। এর জন্যে তারা তালিকা করে জামাতের শীর্ষ সারির ও পরিচিত মুখদের সরিয়ে দেয়ার চাপ তৈরি করে জামাতকে জোটের বাইরে নিয়ে আসার ব্যাপক অপচেষ্টা চালায়। এ নিয়ে জামাতের নেতাদের সঙ্গে তাদের গোপন যোগাযোগের কথাও বের হয়ে আসে। কিন্তু জামাতকে বসে আনতে না পেরে এই গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে আঞ্জাবহ ট্রাইব্যুনালের সহযোগীতায় রায় প্রদান শুরু করে। রায়ের জাজমেন্ট, অভিযুক্তদের বিচারের ক্রম বিবেচনা করলে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়। এটাকে দিনের আলোর মত ফুটিয়ে তুলে ট্রাইব্যুনাল চীফের স্কাইপ-ভিডিও-চ্যাট ফাঁসের ঘটনার মাধ্যমে। যেই ভিডিও চ্যাটে ট্রাইব্যুনাল চীফকে মন্তব্য করতে দেখা যায়, যে অভিযুক্ত সাঈদির বিরুদ্ধে করা মামলা গুলোর কোন উপযোগীতা নাই। এসব মামলাকে তিনি গ্রামের সালিশ-দরবারের সাথে তুলনা করেন। যে অপরাধের অভিযোগে বিচারের পূর্বেই গুম হয়ে যাওয়া কথিত বাচ্চু রাজাকারের ফাসীঁর আদেশ হয়, তার চেয়েও গুরুতর অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন হয়। আসলে যাবজ্জীবনের এই নাটক ছিলো আরেক নাটকের শুরু। কথিত যাবজ্জীবনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী-বামের ছাত্রনেতা ও মিডিয়া-সাংবাদিকদের সহযোগীতায় কথিত ব্লগারদের সমন্বয়ে শাহবাগে শুরু হয় টানা নাটুকে আন্দোলন, যার মোটিভ সময়ে সময়ে পরিবর্তন হচ্ছিলো। পরবর্তীতে ভারতীয় পত্রিকা মারফত জানা যায় এতে ভারত সরকারের মদদ ছিলো যার পক্ষে বেশ কয়েকটি প্রমাণ হাতেনাতে মেলে। এই আন্দোলনের দাবী গুলোর মধ্যে ছিলো জামাতী যুদ্ধাপরাধীদের ফাসীঁ ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। এর পাশাপাশি সাবেক ট্রাইব্যুনাল চীফের ফাসঁ হওয়া স্কাইপ-ভিডিওকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে দলবাজ মিডিয়ার কল্যাণে এই গোষ্ঠীর কুপরিচিত কয়েকজন অনলাইন একটিভিস্ট অভিযুক্ত যু্দ্ধাপরাধীদের ফোনালাপ ফাসেঁর বানোয়াট নাটক ফাঁদার অপচেষ্টা করেন। ধারনা করা হয় মামলার মেরিট না থাকায় ও সরকারী রায় প্রদানের সুযোগ না দেখায় বিচারপতি নিজামুল হক স্কাইপ-ফাঁসের মাধ্যমে নিজেকে সরিয়ে নেন। নিজামুল হকের ফাঁস হওয়া ভিডিও অনুযায়ী সরকারী রায় প্রদান হওয়ার পরেই শুরু হয় সারা দেশব্যাপী জামাত-শিবিরের কড়া আন্দোলন। এর সাথে যুক্ত হয় শাহবাগ আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকা করুচিপূর্ণ ব্লগারের বিচারের দাবীতে অন্যান্য ধর্মীয় রাজনৈতিক দল ও সাধারন মুসলিমরা। সারাদেশের এই গনআন্দোলন রুখে দেয়ার জন্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী-বাম গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এমনকি আক্রান্ত আন্দোলনকারীর মাথায় ও বুক বরাবর রাইফেল রেখে গুলি করার দৃশ্য দেখা যায়। সরকারী নির্দেশে পুলিশি হত্যাকান্ডের শিকার অনেকেরই ছিলো না কোন রাজনৈতিক পরিচয়। গত দু'দিনে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে শতাধিক আন্দোলনকারী, ভিন্ন সূত্র বলছে এটা তিনশতাধিক হতে পারে, এই অনির্দিষ্ট অঙ্কের পেছনে মূল কারন আওয়ামী-বাম গোষ্ঠীর পরিচালিত মিডিয়ার একপেশি আচরন। যেসব মিডিয়া এই গোষ্ঠীদের সরাসরি মদদ দেয় নাই তাদেরও অনেক চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে।
এই নীল-নক্সার বিরুদ্ধে বিরোধী জোট ইতিমধ্যেই দেশব্যাপী টানা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। আওয়ামী-বাম গোষ্ঠীর নীলনক্সার শেষ কোথায় সেটা সময়ই বলে দেবে।
---------------------------------------------- পোস্ট শেষ ---------------------------------------------