somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাধুবাদ জানাই বাংলাদেশের আগ্রাসী প্রতিরক্ষা নীতির

২৪ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নয়া বিশ্বব্যবস্হায় নিয়ন্ত্রণ অটুট রাখার জন্য পরাশক্তিদের প্ররোচনায় একটা নতুন তত্ত্ব ওঠে যে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য সামরিক বাহিনী একটি অনুৎপাদনশীল খাত, এবং এ খাতে টাকা খরচ করা অর্থহীন। বহুদিন বিশ্বের অনেক ব্যক্তির মনে এই তত্ত্বটি ঠাঁই করতে সক্ষম হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এসে এই তত্ত্ব বেশ বড় হোঁচট খেয়েছে। জাপানের মতো দেশ এখন সম্পূর্ণ ঘুরে গিয়ে আগ্রাসী প্রতিরক্ষানীতি গ্রহণ করে দেশটির হীনবল প্রতিরক্ষা বাহিনীকে শক্তশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। একই কথা মালয়েশিয়া, ইউক্রেন, ফিনল্যান্ড, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে।
তবে নীতি পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় নজির বোধহয় আমাদের বাংলাই! স্বাধীনতার পরই এদেশের সামরিক উচ্চাভিলাষ নাকচ করা হয়। সামরিক বাহিনীর জন্য সময়ে সময়ে কিছু উন্নয়ন প্রকল্প গৃহীত হলেও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষানীতিকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় রক্ষণাত্মক বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। এদেশকে 'প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড' বানানোর স্বপ্নের কথা আউড়ে অনেকে সামরিক বাহিনীর উন্নয়নের বিরোধিতা করেছেন। যদিও সুইজারল্যান্ডের কেবল একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনীই নয়, বরং দেশটির সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের বাধ্যকতাও আছে!
যাহোক, বাংলাদেশের পূর্বেকার প্রতিরক্ষা দর্শন দুমড়ে মুচড়ে গেছে। বাংলাদেশ যে এখন আর নেহায়েত বহিঃশত্রুর হামলা ঠেকিয়েই খালাস হবার নীতিতে নেই, তার প্রমাণ বঙ্গোপসাগরে প্রভাব বিস্তারের জন্য নৌশক্তি বাড়াতে সরকারের ঘোষণা। নীতির পরিবর্তনটি আরো খোলাসা হয়, যখন দেখি নিজস্ব অস্ত্র নির্মাণ শিল্প গড়ে তোলার তোড়জোড় চলছে ভালো করেই। এখন সরকারের সাথে সামরিক বাহিনীর কোন বৈঠক হলেই তাতে সব পক্ষ থেকে জলদী নিজেদের অস্ত্র নির্মাণ শিল্প সমৃদ্ধ করার তাগাদা আসে।
বস্তুত, এই ব্যাপারটা দ্ব্যর্থহীনভাবে সাধুবাদ পাবার যোগ্য। তবে অস্ত্র নির্মাণ শিল্প গড়ে তোলা ও তার উৎকর্ষতা ধরে রাখা সহজ কাজ নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই শিল্প হরদম গবেষণা ছাড়া টিকতে পারেনা। আমার মতে, এখন সময় অস্ত্র নির্মাণ শিল্পতে পুরোদমে নজর দেয়া। আর এর জন্য পৃথক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো করা দরকার।
সেমতে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সমরাস্ত্র শিল্পের বিকাশ, এবং সামরিক প্রযুক্তির আধুনিকায়নের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন গবেষণার পথ সুগম করতে রণসজ্জা বিভাগ তথা Armament Division নামে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করতে হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে Ministry of Defence and Armament নাম দেয়া যায়। এই Armament Division এর কাজ হবে সামরিক প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা করা ও দেশের অস্ত্র নির্মাণ শিল্পকে বিকশিত করতে গৃহীতব্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের তালাশ করা। এই বিভাগকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনে এতে উচ্চপদস্হ কর্মকর্তার অধীন স্বতন্ত্র লোকবল দেয়া যেতে পারে...।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×