ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি আমাকে কলম বলেনা। কলম বলার কথাও নয়। আমি দেখতে মোটেই কলম নই। তবে ভাগ্যের বদৌলতে আমি আজকে কলমের মর্যাদা লাভ করেছি।
আপনাদের প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে আমি কে আর কেনইবা কলমের মর্যাদা পেলাম। এই কারণটা বলার আগে বলি আপনারাতো জানেন ছাত্ররা আগামী দিনের সম্পদ। তারা আগামী দিনে দেশকে গড়বে। তাই ছাত্রদের হাতে থাকে বই খাতা কলম। তবে ইদানীংকালে কিছু ছাত্র কলমের বদলে আমাকে এতবেশি ব্যবহার করছে আমার নিজেকে কলম বলে মনে হচ্ছে।
আমাকে ব্যবহারের কিছু নিশ্চিত সুবিধা পাবেন। যেমন, ট্র্যাডিশনাল কলমের হাতল হয় অনেক বড় আর নিব হয় ছোট। কিন্তু আমার হাতল হইল খুবই ছোট আর নিব হইল বিশাল। এটা হল এক নাম্বার সুবিধা। দুই নাম্বার সুবিধা হল আমার গায়ে কোন কালি ঢুকাতে হয় না। আমি বরং আমাকে দিয়ে যেখানে লেখা হয় সেখান থেকে কালি বের হতে থাকে। তৃতীয় সুবিধা হল আমার গায়ে যেহেতু কালি ঢুকাতে হয় না সেইহেতু কালি শেষ হওয়ার কোন ভয় থাকে না।
এখন আপনাদের মনে হতে পারে আমাকে ব্যবহার করে কারা? আসেন আমরা সচিত্র দেখি আমাকে ব্যবহার করে। আমাকে যারা ব্যবহার করে তাদের নাকি সবাই ছাত্রলীগ বলে।

![]()
আমাকে কলম হিসেবে ব্যবহার করার একটা বিশেষ ফায়দা হল আমাকে ব্যবহার করলে পড়ালেখা করতে পারেন বা না পারেন আপনি কিন্তু আমাকে কোন মালদার লোকের সামনে প্রদর্শনকরলে বিশেষ অর্থানুকুল্যে থাকবেন।
শেষ কথা হিসেবে বলতে চাই সবাই কলমকে সম্মান করে এইটা বিদ্যার বাহন বলে। আমি নিজেই কলম হিসেবে পরিগণিত হওয়ায় গর্ববোধ করছি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




