রাত ১২ টা । চা নিয়ে বই খুলে অংক করতে বসলাম । করছি তো করছি । খুব ফর্মে আছি । ভাগ্য হয়তো খুব ভাল । কেননা আজ সব অংক মিলে যাচ্ছে । একের পর এক করেই যাচ্ছি ।
একটু রেস্ট নেওয়া দরকার । এফ এম রেডিও টিউন করলাম । গান শুনছি । রান্না ঘরে গিয়ে চা করে, চা নিয়ে বারান্দায় গেলাম । চা শেষ করে আবার বসলাম টেবিলে । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ২.৪৫ বাজে । নতুন অংক শুরু করলাম । শেষ করলাম । কিন্তু মিলল না । আবার ট্রাই করলাম । তবুও মিলল না । চা করে আনলাম । চা খেলে হয়তো মস্তিষ্কে উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে । কিন্তু কিছুই ঘটল না । একসময় আজান শুনতে পেলাম । নিজের ব্যর্থতা বইয়ের উপর ঝাড়লাম । বইয়ের পাতায় দাগাদাগি করলাম । বই খোলা রেখেই উঠে বারান্দায় চলে গেলাম ।
অযু করে নামাজ পড়লাম । আবার চা করে বারান্দায় বসলাম । প্রচন্ড রাগ হচ্ছিল । কারন এই ধাচের অংক বি.কম, এম কম এ করেছি । এখন নতুন কিছু যোগ হয়েছে মাত্র । রুবেল উঠে এল ।
- ছোট আপু তোমার কি হয়েছে ?
- কথা বলিস না । মাথার ভিতরে ২০০০ ওয়াটের বাল্ব জ্বলছে । অংক মিলছে না ।
- তা তো বুঝতেই পারছি বইয়ের চেহারা দেখে ।
- আমি কি একটু ট্রাই করব ?
- যাহ ফুট !!! হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল ? ( আমার ভাই বোনদের তুলনায় আমি একটু ছাত্রী ভাল বলে আমি ওদের পাত্তা দেই না । তারপরেও আমার অনুমতি ছাড়াই ও গেল অংক মিলাতে । )
আমি বসে বসে গুন গুন করছি ।
- আপু দেখে যাও তো । তোমর অংক মিলে গেছে । (৬৪ টা দাঁত বের করে হাসি মেরে আমার দিকে তাকিয়ে আছে । আমি তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে তাকাইলাম । এবং উঠে গিয়ে দেখে টাস্কা খাইয়া তাকাই রইলাম ।)
- কি ? হাতি ঘোড়াদের মাঝে মাঝে মশাকেও পাত্তা দিতে হয় । আমার ইনাম দাও ।(বেগ থেকে চুইংগাম বের করে দিলাম )
( আমি নতুন লজ্জায় লজ্জিত হইলাম :!> । আর কখনো নিজেরে হাতি ঘোড়া মনে করব না )