বিস্ময়ের কালো মেঘে মনন ছেয়ে যাওয়ার এক ঘন্টা পর,
দোতলার খোলা জান্লা গলে ধোঁয়ার মতো চাঁদের কিরণ,
এবং মুচকি হেসে মেনে নেয়া সব প্রথা, পাথরের মতো
ঝরণার পথে বাঁধ দেয় কর্তব্য মাথায় করে নিয়ে।
একফোঁটা গোপনীয় জল, বদলে দিতে চায় অতীতের পাতা
সবুজ থেকে ক্রমে তারা সোনালী ধূসর অথবা হলদেটে
ফিকে হয়ে মিলিয়ে যায় স্মৃতির কুয়াশায়।
একপাক ঘুরে আসে মেরুরজ্জু বেঁয়ে, বিদ্যুৎ!
চাঁদ ওঠে পশ্চিম দেয়ালের গল্প-বলা একমাত্র সত্যবাদী
লাজুক অকর্মন্য ধেড়েটার ঘাড়ে; চাঁদ এতো জায়গা রেখে
ওখানেই ওঠে কেনো?
রাগ, কষ্ট, চুল, ঘুম, স্বপ্ন, চুল, সময়, সময়, সময়...
ছাদের জলে নোংরা যত গল্প, ভুল করে তারই একটা
পড়ে ফেলা; তারপর যখন কথাবলার কেউ ছিলো না-
তখন আরও একটা। ছাদের জলের সাথে মেলে না
অনেক কিছুই, তবুও, সময়- সময়কে অগ্রাহ্য করে কে!
একাকীত্ব ফুল ফোঁটায়, আল্পনা আঁকায়, গানের কথা লেখায়,
একাকী সময় গন্ধ শেখায়, একাকী সময় বলে কার কাছে কি
পাওয়া যাবে! চাঁদ যে দিন ওঠে না- ধরে নাও সেদিন একটাও
গানের সুর কথা পায়নি, সে দিন সময় কাটে নি। সময় সেদিন
পালিয়ে গিয়েছে প্রাত্যহিক দ্বায়িত্ব কাঁধে করে নিয়ে!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




