ক্রিকেট বিশ্বকে উদ্বেলিত করতে প্রস্তুত টেস্ট ক্রিকেট। আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া পার্থ ও সেঞ্চুরিয়ান টেস্ট এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে। একদিকে অ্যাশেজ গৌরব পুনরুদ্ধারে ইংল্যান্ডকে জবাব দিতে ছন্নছাড়া অসিরা, অন্যদিকে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। ক্রিকেটপ্রেমীদের বিনোদনের জন্য আর কি লাগে!
বিদেশের মাটিতে ভারতের অসহায়ত্বের নিদর্শন গত কয়েক বছর ধরে চোখে পড়ে না। মূলত "দাদা"র শাসনামল থেকে বিদেশের মাটি জয় তুলে আনার অভ্যাস করতে থাকে ভারতীয়রা। ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড জয় ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে সিরিজ জয় না হলেও গত দুটো সফরে "ভারতীয় দাপট" লক্ষ্য করা গেছে। তবে প্রোটিয়াদের ঘরে তারা এখন পর্যন্ত হরিণ শাবকের তকমাটি সরাতে পারেনি। সর্বসাকূল্যে ১টি জয়ের বিপরীতে রয়েছে বাউন্সি পিচে লুটিয়ে পড়ার বাজে অভিজ্ঞতা।
সিরিজ জয়ের জন্য দু'দলকেই তাকিয়ে থাকতে হবে পেসারদের পারফরম্যান্সের দিকে। বর্তমান বিশ্বের সেরা পেস জুটির (স্টেইন-মরকেল) বদান্যতায় এক্ষেত্রে দক্ষিন আফ্রিকা বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে। তবে জহির খানের অনুপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ায় কিছুটা ব্যাকফুটে ভারত। সেক্ষেত্রে শ্রীশান্থ-ইশান্থকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য তৃতীয় পেসার হিসেবে উমেশ যাদব কিংবা জয়দেব উনাদকাতের অভিষেকের ভালো সম্ভাবনা আছে।
তাছাড়া দু'দলের ব্যাটিং লাইন আপ ও বেশ মজবুত মনে হচ্ছে। ইনজুরি কাটিয়ে অধিনায়ক স্মিথ দলে জায়গা নিশ্চিত করায় অনেকটা স্বস্তিতে স্বাগতিক শিবির। আর ভারতীয়দের চোখ শচীন টেন্ডুলকারের স্বাভাবিকভাবে থাকবে ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট সেঞ্চুরির আরেকটি উপলক্ষ্য আসায়। লক্ষন, দ্রাবিড়, শেবাগদের পাশাপাশি হরভজনের ব্যাট ইদানিং হাসতে থাকায় ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা নির্ভার থাকতে পারে ধোনি-সেনারা। তবে উপমহাদেশের তথাকথিত উইকেটে খেলে আসা ধোনিরা আফ্রিকার বাউন্সি পিচে অনুশীলন ম্যাচ না খেলেই কতটুকু সুবিধা আদায় করতে পারব- সেটাই এখন দেখার বিষয়।
একটি ভালো টেস্ট ম্যাচের আশায় থাকলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





