somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিশু নির্যাতন আর কত ? শেষ পর্যন্ত পুলিশ ?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ছবি গুলো চন্দিমা উদ্দানে তোলা।




শিশু নির্যাতন আর কত ? শেষ পর্যন্ত পুলিশ ?
পুলিশ প্রতিটা সমাজের মানুষের কাছে একেক জন পুলিশ সুপার হিরো।
কোথাও যখন ঠাই পায় না তখন মানুষ ছুটে আসে পুলিশের কাছে। কিন্ত এই রক্ষকেরা যখন ভক্ষক হয় তখন সমাজের অসহায় মানুষ গুলো কার কাছে যাবে ?
এটা বিবেকের কাছে প্রশ্ন।

ৈসকত মজুমদার ছবি গুলো তুলেছেন। ফেসবুকে প্রথম প্রকাশিত।

সাংবিধানিক ভাবে বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন !
*এই শিশুটি চোর ?
*এই শিশুটি কি জামায়েত ইসলামের শিবির কর্মি ?
* লিগের কর্মি ?
* আদালতের সর্বচ্চ শাস্তি পাওয়া পালাতক আসামি ?
বা অন্য কিছু ?

পুলিশি বিবেকের কাছে প্রশ্ন !

*বাচ্চাটা কি খুব বেশি বড় অপরাধ করেছিলো ?
*এই বাচ্চাটা আপনার হলে কি এমনটাই করতেন নিজের বাচ্চার সাথে?
*বাচ্চাটার জন্ম বস্তিতে , এটাই কি ওর জন্ম আজন্মের পাপ?
*চোর ,ডাকাত বা যাই হোক না কেনো , শিশু মানষিক উন্নয়ন কেন্দে পাঠালে পারতেন না ?

শিশু আইন, ২০১৩
( ২০১৩ সনের ২৪ নং আইন )

শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব ও কার্যাবলি-

১৪। শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা:

(ক) শিশুবিষয়ক মামলার জন্য পৃথক নথি ও রেজিস্টার সংরক্ষণ করা;

(খ) কোন শিশু থানায় আসিলে বা শিশুকে থানায় আনয়ন করা হইলে-

(অ) প্রবেশন কর্মকর্তাকে অবহিত করা;

(আ) শিশুর মাতা-পিতা এবং তাহাদের উভয়ের অবর্তমানে শিশুর তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবক বা কর্তৃপক্ষ অথবা আইনানুগ বা বৈধ অভিভাবক বা, ক্ষেত্রমত, বর্ধিত পরিবারের সদস্যকে অবহিত করা এবং বিস্তারিত তথ্যসহ আদালতে হাজির করিবার তারিখ জ্ঞাত করা;

(ই) তাৎক্ষণিক মানসিক পরিসেবা প্রদান করা;

(ঈ) প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং, প্রয়োজনে, ক্লিনিক বা হাসপাতালে প্রেরণ করা;

(উ) শিশুর মৌলিক চাহিদা পূরণ করিবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা;

(গ) সঠিকভাবে শিশুর বয়স নির্ধারণ করা হইতেছে কি না বা নির্ধারণ করিবার ক্ষেত্রে শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ বা এতদ্‌সংশ্লিষ্ট বিশ্বাসযোগ্য দলিলাদি পর্যালোচনা করা হইতেছে কি না তদ্‌বিষয়ে লক্ষ্য রাখা;

(ঘ) প্রবেশন কর্মকর্তার সহিত যৌথভাবে শিশুর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মূল্যায়নপূর্বক বিকল্পপন্থা অবলম্বন এবং সম্ভাব্যতা যাচাইপূর্বক জামিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;

(ঙ) বিকল্পপন্থা অবলম্বন বা কোন কারণে জামিনে মুক্তি প্রদান করা সম্ভবপর না হইলে আদালতে প্রথম হাজিরার পূর্বে সংশ্লিষ্ট শিশুকে নিরাপদ স্থানে প্রেরণের ব্যবস্থা করা;

(চ) প্রতি মাসে শিশুদের মামলার সকল তথ্য প্রতিবেদন আকারে থানা হইতে নির্ধারিত ছকে প্রবেশন কর্মকর্তার নিকট এবং পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এর কার্যালয়ের মাধ্যমে পুলিশ সদর দপ্তর ও, ক্ষেত্রমত, জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির নিকট প্রেরণ করা;

(ছ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করা; এবং

(জ) উপরি-উক্ত কার্যাবলি সম্পাদনের প্রয়োজনে অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ষষ্ঠ অধ্যায়
গ্রেফতার, তদন্ত, বিকল্প পন্থা, (Diversion) , এবং জামিন-


৪৪। (১) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ৯ (নয়) বৎসরের নিম্নের কোন শিশুকে কোন অবস্থাতেই গ্রেফতার করা বা, ক্ষেত্রমত, আটক রাখা যাইবে না।

(২) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন শিশুকে নিবর্তনমূলক আটকাদেশ সংক্রান্ত কোন আইনের অধীন গ্রেফতার বা আটক করা যাইবে না।

(৩) শিশুকে গ্রেফতার করিবার পর গ্রেফতারকারী পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতারের কারণ, স্থান, অভিযোগের বিষয়বস্ত্ত, ইত্যাদি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন এবং প্রাথমিকভাবে তাহার বয়স নির্ধারণ করিয়া নথিতে লিপিবদ্ধ করিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, গ্রেফতার করিবার পর কোন শিশুকে হাতকড়া বা কোমরে দড়ি বা রশি লাগানো যাইবে না।

(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তা জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা, উক্ত সনদের অবর্তমানে স্কুল সার্টিফিকেট বা স্কুলে ভর্তির সময় প্রদত্ত তারিখসহ প্রাসঙ্গিক দলিলাদি উদ্‌ঘাটনপূর্বক যাচাই-বাছাই করিয়া তাহার বয়স লিপিবদ্ধ করিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি একজন শিশু কিন্তু সম্ভাব্য সকল চেষ্টা করিয়াও দালিলিক প্রমাণ দ্বারা তাহা নিশ্চিত হওয়া যায় না, সেইক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে এই আইনের বিধান অনুযায়ী শিশু হিসাবে গণ্য করিতে হইবে।

(৫) সংশ্লিষ্ট থানায় শিশুর জন্য উপযোগী কোন নিরাপদ স্থান না থাকিলে গ্রেফতারের পর হইতে আদালতে হাজির না করা সময় পর্যন্ত শিশুকে নিরাপদ স্থানে আটক রাখিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, নিরাপদ স্থানে আটক রাখিবার ক্ষেত্রে শিশুকে প্রাপ্তবয়স্ক বা ইতোমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হইয়াছেন এইরূপ কোন শিশু বা অপরাধী এবং আইনের সংস্পর্শে আসা কোন শিশুর সহিত একত্রে রাখা যাইবে না।


নিউজের পাতা বা ফেসবুকের পাতা খুললেই , শিশু নির্যাতন
কিন্তু আর কত ? মানুষের ঘুমন্ত বিবেক কি কখনোই জাগবে না?
নাকি মরিচিকার মত ক্রমশই দুরত্ব বাড়তেই থাকবে?
আমরা বাঙ্গালিরা সাংবিধানিক ভাবে আবেগ প্রিয় আবার স্বার্থপরও বটে। সমস্যা হলো এসব ঘটনা সইতে পারবো না আবার মুখ খুলতেও চাইবো না। শুধু দেখেই যাবো।

হ্যাঁ এই ছবি গুলোও দেখে যান আমার লেখা পড়ে যান। এবার চুপচাপ অন্য পাতায় ঘুরতে যান। কাহিনি শেষ। সাংবিধানিক ভাবে এটাই হওয়া চাই।

রাজন,রাজিব আর এদের মত ছিন্নমুলেরা এভাবেই হারিয়ে যাক।
“জয় বাংঙ্গালির বিবেকের জয়”


http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_pdf_part.php?id=1119
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৬
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×