সংস্কৃতি প্রসঙ্গে আমাদের উপলব্ধিতে যা আসে তা হচ্ছে জীবন ঘনিষ্ঠ কাজই সংস্কৃতির অঙ্গ। মানুষ তার জীবনকে সাজাতে চায় তার জন্য বন থেকে কাঠ কেটে আনে, সে কাঠ যখন সুন্দরভাবে কাটা হয় তাতে শ্রম যুক্ত হয়, যুক্ত হয় মেধা ও সৌন্দর্যবোধ তখন এটি শিল্পে রূপান্তরিত হয়। তৈরি হয় মনোরম আসবাবপত্র। জীবন সাজানোর অন্যতম সৌন্দর্যবোধ হচ্ছে শিল্প। সে শিল্পের ও জীবনধারার অবিরত চর্চা হচ্ছে সংস্কৃতি। সূক্ষ্মতম সৌন্দর্যবোধ সৃষ্টির কারণে মানুষকে শিখতে হয়। শেখার জন্য প্রয়োজন তার শিক্ষা। অনুভব, অনুভূতি, রাগ-অনুরাগ প্রকাশের জন্য প্রয়োজন তার ভাষা। ভাষার মাধ্যমে সূক্ষ্মতম সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য সৃষ্টি হয় কবিতা, গান, যাত্রা, নাটক ইত্যাদি। প্রতিটি সৃষ্টিতে তার সৌন্দর্যের বিকাশ ঘটে। মানুষ এমনিভাবে সংস্কৃতি চর্চা শুরু করে। মানুষ সমাজবদ্ধ তাই সমাজ সংগঠনে তার প্রয়াস ঐক্যবদ্ধ। সমাজ বিকাশের ঊষালগড়ব থেকে সংস্কৃতির যাত্রা। বিশ্ব জনগোষ্ঠীর একটি অংশ আমাদের ভূ-খ- এবং এ ভূ-খ-ের নানা অংশে প্রকৃতির অপরূপ লীলা বিরাজমান। প্রকৃতির সাথে মানুষের বসবাস। তার বৈরীতায় তাকে অনুকূলে রাখা, তার জন্য প্রকৃতির সাথে মানুষের সংগ্রাম। আবার সমাজবদ্ধভাবে বসবাসের কারণে নানা দ্বন্দ্ব, বৈপরীত্য, অনুকূল-প্রতিকূল সহযোগিতা, অসহযোগিতা, সংগ্রাম, সৃজন, বিদ্রোহ মানব সমাজে অবধারিত ঘটনা। প্রকৃতি জগতও এ জগতের নানা বিষয় এবং বিভিনড়ব ঘটনা প্রবাহ মানুষের মনকে প্রভাবিত করে। ফলে প্রকৃতি ও সমাজ দ্বন্দ্বের বিষয়াবলী মানুষের ভিতর চেতনার উন্মেষ ঘটায়। সে চেতনায় রয়েছে নানা বর্ণের মিল ও অমিলের ঘূর্ণন।
বিম্তারিত