আমার ইদানীং এমন একটা অবস্থা হয়েছে, কেন যেন মনে হচ্ছে তাবৎ দুনিয়ার ভাল অ্যানিমে আমার দেখা শেষ, আর কিছু দেখার বাকি নেই। পিসি ভর্তি অ্যানিমে পড়ে থাকলে যা হয় আরকি। জেতসুবোশিতা জেতসুবোশিতা বলে মাথা কুটতে কুটতে হঠাৎ মনে হল, তাহলে জেতসুবো সেনসেই কেই একবার সুযোগ দেই, তার নেগেটিভ অরা আর আমার নেগেটিভ অরা কাটাকাটি হয়ে যাক!!
দেখলাম, সায়োনারা জেতসুবো সেনসেই এর প্রথম সিজন। ইতোশিকি নোজোমু একজন ভয়াবহ লেভেলের পেসিমিস্টিক মানুষ। সবসময় ট্রাডিশনাল জাপানিজ আউটফিট পরে থাকা এই স্কুলশিক্ষক পুরো পৃথিবীজুড়ে শুধু ডেসপেয়ারই খুঁজে পান। বসন্তের মৃদু হাওয়া, কিংবা শরতের মেঘমুক্ত আকাশের মাঝেও তিনি খুঁজে পান বিষণ্ণতা!!
বসন্তের এক আলোকজ্জ্বল সকালে এক পূর্ণ প্রস্ফুটিত সাকুরা গাছের ডালে ঝুলে আত্মহনন করছিলেন ইতোশিকি সেনসেই। আর তখনই ঘটল এক ঘটনা, যা তার বিষণ্ণ জীবনটাকে পদে পদে আরও বিষণ্ণ করে তুলল!!
শ্যাফটের অ্যানিমে, বোঝার জন্য গুগল ঘাটতে হয়নি, সেনসেই এর চোখা নাকমুখ আর অস্বাভাবিক বাঁকা ঘাড়ই ফাঁস করে দিয়েছে, আর কনফার্ম হয়েছি অ্যানিমের মাঝে হঠাৎ হঠাৎ এক সেকেন্ডের জন্য ডায়ালগ এসে হাওয়া হয়ে যাওয়া দেখে। আমি শ্যাফটের ভক্ত নই, তবে এই স্টাইলটা এই অ্যানিমেতে বেশ মানিয়েছে। সেনসেই মুখ খোলার সাথে সাথে বুঝেছি এটা হিরোশি কামিয়ার কণ্ঠ, তাই আগ্রহটা বেড়ে গেছে। আর কাহিনীটা যেমন ইউনিক, এক্সিকিউশনের কারণে আরও বেশি ভাল লেগেছে। বহুদিন পর টানা একের পর এক এপিসোড দেখার আগ্রহ পেলাম!
সবচেয়ে মজা লেগেছে এই ব্যাপারটা, সেনসেই যা যা করতে যান, আউটকামটা হয় ঠিক তার উল্টো!! তিনি তার বিষণ্ণতা কাটাতে পারলেন কিনা, বা তার স্টুডেন্টদের বিষণ্ণ করতে পারলেন কিনা, সেটা দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি!!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২