somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"WAR HORSE"- যুদ্ধ জয়ের গল্প !!! (মুভি FULL-VIEW)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পূর্ববর্তী- ইংল্যান্ড।
'ডেভন' নামক একটি গ্রাম।
সেখানে থাকে অ্যালবার্ট নামক শান্ত স্বভাবের একটি ছেলে। ঘোড়ার প্রতি ছেলেটার অন্যরকম আগ্রহ। পাশের জমিতে চরে বেড়ানো ঘোড়াটার দিকে সে অপলক চেয়ে থাকতো।

একদিন, সেই ঘোড়াটা একটা সন্তান জন্ম দিলো। ছেলেটার চোখের সামনেই ধীরে ধীরে বড় হতে লাগলো বাচ্চা ঘোড়াটা। দূর থেকেই ঘোড়াটার প্রতি এক ধরনের মায়া জন্মালো অ্যালবার্টের ।
বিশ্বযুদ্ধের পূর্ববর্তী সে সময়টাতে গ্রামের জমি চাষের জন্য ঘোড়াদের নিলাম ডাকা হতো। যথেষ্ট সুদর্শন আর কর্মক্ষমতার কারনে সদ্য তরুন সেই ঘোড়াটাও নিলামে উঠলো। সেই নিলামে যোগ দিলেন অ্যালবার্টের বাবা। জমি চাষের জন্য আলাদা এক শ্রেণীর শক্তিশালী ঘোড়া রয়েছে, চাষ- ঘোড়া। তিনি মুলত সে ধরনেরই একটা ঘোড়া কিনতে এসেছিলেন কিন্তু ঘটনাক্রমে নিজের বাড়িওয়ালার সাথে একপ্রকার জিদ করেই তিনি কিনে নেন সেই সদ্য তরুন বিলাসবহুল ঘোড়াটি।

ঘোড়াটি নিয়ে বাসায় এলে তার স্ত্রী ঘোড়াটি দেখে ভীষণ ক্ষেপে যায়। কারন, তাদের প্রয়োজন ছিলো জমি চাষের ঘোড়া। বিলাসবহুল ঘোড়া নয়। চাষের জন্য এই ঘোড়াটি উপযুক্ত নয়। একজন অবশ্য ঘোড়াটিকে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পরে। সে অ্যালবার্ট। ঘোড়াটিকে নিয়ে সে মেতে ওঠে খেলায়। নাম রাখে Joey. একজন আরেকজনের অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিনত হয়ে পরে তারা।

ওদিকে, ক্ষিপ্ত বাড়িওয়ালা সেদিন রাতেই অ্যালবার্টের বাড়িতে ভাড়া আদায়ের জন্য আসে। অ্যালবার্টের পরিবার গরীব। ভাড়া দিতে অপারগ। তবু অ্যালবার্টের বাবা আশ্বাস দেয়, পাশের জমিটা চাষ করে ফসল ফললে সে টাকা দিয়ে সে খুব দ্রুত ভাড়া পরিশোধ করে দেবে। পাশের জমিটা পাথুরে। সেখানে চাষ করে ফসল ফলানো মুখের কথা নয়। আর এই ঘোড়া দিয়ে তো সম্ভবই নয়। বাড়িওয়ালা হুমকি দেয়, পরবর্তীতে ভাড়া না দিতে পারলে ঘোড়াসহ সবকিছুই ছিনিয়ে নেয়া হবে। চিন্তায় পরে যান অ্যালবার্টের বাবা।

পরদিন বাধ্য হয়ে সেই ঘোড়াটিকে দিয়েই চাষ করানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ঘোড়াটি কোনভাবেই কাঁধে জোয়াল নিতে চায় না। অ্যালবার্টের বাবা ক্ষুদ্ধ হয়ে ঘোড়াটিকে মেরে ফেলার প্রস্তুতি নেন। তার কাছে মনে হয়, জেদ করে ঘোড়াটা কেনা বোকামি হয়েছে। এগিয়ে আসে অ্যালবার্ট। সে দায়িত্ব নেয় ঘোড়াটিকে দিয়ে চাষ করানোর। প্রচণ্ড কষ্ট স্বীকার করে তারা দুজন মাঠে নামে। কাজ হয় না। Joey চাষ- ঘোড়াদের মতো শক্তিশালী নয়। তবুও হাল ছাড়েনা অ্যালবার্ট। Joey-র প্রতি তার পূর্ণ বিশ্বাস, সে পারবে। প্রতিবেশীরা হাসাহাসি করে তাদের বৃথা চেষ্টা দেখে। কটূক্তি করে, কিন্তু তারা থামেনা। একসময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে পাথুরে জমির বুক চিঁরে বেরিয়ে আসে নরম মাটি। সবাই হতবাক হয়ে দেখে তাদের কর্মকাণ্ড।

অ্যালবার্টের বাবা ছিলেন একজন ব্রিটিশ সৈনিক। আফ্রিকার সাথে Boer এর যুদ্ধে তিনি তার এক পায়ে আঘাত পান। সেই থেকে সে খুঁড়িয়ে হাঁটে। সে যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য সরকার তাকে regimental pennant বা 'সেনাদলের ক্ষুদ্র পতাকা' সম্বলিত একটি মেডেল দেন। অ্যালবার্টের বাবা এই মেডেলটি কখনও গ্রহন করেননি। কারন, তিনি তার কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না সেই যুদ্ধে। তিনি তার মেডেলটি নিয়ে কখনও গর্ব করতে পারেননি। তিনি সেটা ফেলে দিয়েছিলেন। অ্যালবার্টের মা অবশ্য মেডেলটিকে যত্নের সাথে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। জমি চাষে অ্যালবার্টের সফলতা দেখে তিনি সেটা সেদিনই তার ছেলের হাতে তুলে দেন।

অ্যালবার্টের বাবা খুশিমনে জমিতে ফসল বুনেন। ভাগ্য হয়তো এবার ফিরবে। কিন্তু, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। অতিবৃষ্টির কারনে সব ফসল নষ্ট হয়ে যায়। বিক্রি করার মতো তাদের কাছে অবশিষ্ট আর কিছুই থাকে না।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে গোটা দেশে।
অ্যালবার্টের বাবা বাড়িওয়ালার ভাড়া পরিশোধ এবং ফসলের ক্ষেত বাঁচানোর জন্য অশ্বারোহী সৈন্যদলের ক্যাপ্টেন নিকোলাসের কাছে অ্যালবার্টের ঘোড়া Joey-কে বিক্রি করে দেন। অ্যালবার্ট ঘটনা জানতে পেরে ছুটে আসে Joey-কে বাঁচাতে কিন্তু ততক্ষনে বিক্রি হয়ে যায় Joey. যুবক অ্যালবার্ট এই বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেনা। সেও Joey-র সাথে যুদ্ধে অংশ নিতে চায়। অল্প বয়সের কারনে ক্যাপ্টেন তাকে যুদ্ধে নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। অনিচ্ছাসত্ত্বেও Joey-র কাছ থেকে দূরে সরে যেতে হয় অ্যালবার্টকে। অ্যালবার্ট তার বাবার মেডেল অর্থাৎ সেই ছোট্ট পতাকাটি Joey -র মুখের লাগামের সাথে বেধে দেয় এবং প্রতিজ্ঞা করে যে, সে তাকে যেখান থেকেই হোক, খুজে বের করবে এবং তারা অবশ্যই আবার একত্রিত হবে।

Joey-কে সামরিক প্রশিক্ষন দেন ক্যাপ্টেন নিকোলাস। সেখানে Joey-র সাথে পরিচয় হয় আরেকটি কালো ঘোড়ার সাথে। তার নাম Topthorn. মহরা শেষে একদিন তারা সদলবলে তাদের অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান তাদের শত্রু জার্মান শিবিরের ওপর। জার্মানরা প্রথমে অপ্রস্তুত থাকলেও পরবর্তীতে সামলে নেন। তারা মেশিনগান দিয়ে পাল্টা আক্রমন চালান। ভারী মেশিনগানের কাছে হার মানতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ অশ্বারোহী বাহিনী। মারা যান ক্যাপ্টেন নিকোলাস।

ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় Joey. বন্দী করা হয় তাকে। Topthorn- কেও বন্দী করা হয়। জার্মান শিবিরের এক সৈন্য গান্টার Joey- কে পছন্দ করে ফেলে। দুটা ঘোড়াকেই নিয়ে আসে তাদের শিবিরে। গান্টারের ছোট ভাই মাইকেল। বয়স মাত্র ১৪, সেও এসেছে যুদ্ধ করতে। গান্টার তাকে বিভিন্নভাবে মানা করে যুদ্ধে যেতে, কারন তার বয়স খুবই কম এবং গান্টার তার বাবা মা'র কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলো যে সে মাইকেলের কোন ক্ষতি হতে দেবে না। মাইকেল তার কথা কানে দেয় না। তাই, পরদিন গান্টার জোর করে মাইকেলকে নিয়ে জার্মান শিবির থেকে পালায় Joey এবং Topthorn- এর পিঠে চরে। বেশ দূরের একটি গ্রামে গিয়ে তারা আশ্রয় নেয় একটি windmill-এর ভেতর। সকালেই জার্মান বাহিনী তাদেরকে খুজে বের করে ফেলে। যুদ্ধের ময়দান থেকে পালানোর শাস্তি হিসেবে দুই ভাইকেই ফায়ারিং স্কোয়াডে মেরে ফেলা হয়।

যেখানে তারা ঘোড়াদুটোকে রেখেছিলো, সেখানে থাকতো এক বৃদ্ধ, নাম বোনার্ড এবং বাপ-মা হারা একমাত্র নাতনী এমিলি। এমিলি ঘোড়াদুটোকে windmill-এর ভিতরে পেয়ে বেশ অবাক হয়।

স্বভাবতই সে Joey- কে পছন্দ করে ফেলে। এমিলি এবং তার দাদা ঘোড়াদুটিকে নিয়ে আনন্দেই কাটাতে থাকে দিনগুলো। Joey-র সাথে বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় এমিলির। ওদিকে, জার্মান সৈন্যরা খাবার সংগ্রহের জন্য ঘুরতে ঘুরতে চলে আসে বৃদ্ধ বোনার্ডের ফার্ম হাউসে। যাবার সময় তারা জোর করে নিয়ে যায় Joey এবং Topthorn-কে। এমিলি প্রচণ্ড কষ্ট পেলেও কিছুই করতে পারে না বৃদ্ধ বোনার্ড।

জার্মানরা Joey এবং Topthorn- কে পুনরায় তাদের শিবিরে নিয়ে আসে। ভারী অস্ত্র টানার কাজে Topthorn- কে নিয়োগ করতে চান জার্মান ক্যাপ্টেন। Topthorn- এর পায়ে ক্ষত থাকা সত্ত্বেও ক্যাপ্টেন সেটা গ্রাহ্য করেন না। Joey সে মুহূর্তে Topthorn-এর বিপদ বুঝতে পেরে নিজেই ছুটে এসে যুক্ত হয় অস্ত্র টানার কাজে।

Joey-র খোঁজে এবং বিবেকের দংশনে একসময় অ্যালবার্টও এসে যোগ দেয় যুদ্ধে। সাথে তার বন্ধু অ্যান্ড্রু। মরনপন যুদ্ধ করে তারা দখল করে নেয় শত্রুপক্ষের ঘাটি। কিন্তু, ঘাটিতে ফিট করে রাখা বিষাক্ত গ্যাসের বিষক্রিয়ায় মারা যায় অ্যালবার্টের বন্ধু অ্যান্ড্রু। অ্যালবার্টের চোখও সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরে।

ওদিকে দীর্ঘ পথ পরিক্রমা, আর অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে না পেরে একসময় মারা যায় Topthorn.
Joey কষ্ট পায় তার বন্ধু Topthorn- এর মৃত্যুতে। হঠাৎ করেই সে পাগলামি শুরু করে দেয়।

শুরু করে ছুট। কোন থামাথামি নেই। মনে হয় যেনো, যুদ্ধের ভয়াবহতা, অমানবিকতা থেকে দূরে কোথাও পালাতে চায় সে। কাঁটা তারের বেড়া, গোলাগুলির শব্দ, বোমা কোনকিছুই তাকে থামাতে পারে না। একসময় ছুটতে ছুটতে সে দুই শিবিরের মধ্যবর্তী জায়গা 'নো ম্যানস ল্যান্ডে' কাঁটা তারের বেড়ায় আটকা পড়ে যায়।

জার্মান শিবির দূর থেকে দেখে- কি যেনো নড়াচড়া করছে নো ম্যানস ল্যান্ডে
ব্রিটিশ শিবিরও দূর থেকে খেয়াল করে ব্যাপারটা।
দুই পক্ষই বুঝতে পারে, একটা ঘোড়া আটকা পরে আছে কাঁটা তারে। কষ্ট পাচ্ছে সে।
অবশেষে ব্রিটিশ বাহিনীর এক নিম্নপদস্থ সৈনিক কোন কিছু চিন্তা না করে এগিয়ে যায় বিপদে পড়া ঘোড়াটিকে সাহায্য করতে। জার্মানরাও ব্যাপারটা বুঝতে পারে। তাদের মধ্য থেকেও একজন 'তার কাঁটার যন্ত্র' নিয়ে আসে। দুই পক্ষের দুইজন একসাথে তার কাটা শুরু করে। দুজনের মাঝে হালকা কথা বার্তাও হয়। কিছুক্ষনের জন্য হলেও তারা ভুলে যায় পারষ্পরিক শত্রুতার কথা, যুদ্ধের কথা। মোট কথা, সাধারণ একটা পশু, কিছুক্ষনের জন্য হলেও থামিয়ে দেয় মানুষ জাতির নিজেদের সাথে নিজেদের সহিংসতা, হানাহানি, হিংসা- ভেদাভেদ। উদ্ধারকারী দুই ব্যাক্তিই ঘোড়াটিকে নিজের কাছে রাখতে চায়। অবশেষে কয়েন টস হয়। Joey ফিরে আসে ব্রিটিশ শিবিরে।

সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পরে এই 'অদ্ভুত ঘোড়ার' ঘটনা, যে দুই দলের মাঝে এসেছিলো শান্তির বার্তা নিয়ে। কিছুক্ষনের জন্য থামিয়ে দিয়েছিলো যুদ্ধের ভয়াবহতা। অ্যালবার্ট তখন অসুস্থ অবস্থায় পরেছিলো সৈন্যদের চিকিৎসা কেন্দ্রে। লোকমুখে সেও শুনতে পায় সেই 'অদ্ভুত ঘোড়ার' কথা।
ওদিকে, Joey- কে সেই নিম্নপদস্থ সৈন্য নিয়ে আসে কর্তব্যরত এক সৈনিক ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার Joey- কে দেখে বলেন সম্ভবত ধনুষ্টঙ্কারে আক্রান্ত ঘোড়াটা। বাঁচিয়ে রাখা ঠিক হবে না।

অনিচ্ছাসত্ত্বেও Joey-কে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ঠিক সে মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত হয় অ্যালবার্ট। মুখে চিরচেনা সেই সাংকেতিক শব্দ। যেটা বাজিয়ে সে ডাকতো Joey-কে।

অ্যালবার্টের চোখে ব্যান্ডেজ থাকা সত্ত্বেও সে বুঝতে পারে এটাই তার বন্ধু Joey.
Joey-র সাথে করা প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করে অ্যালবার্ট।
অনেক চড়াই-উতরাই, যুদ্ধ বিগ্রহ পাড়ি দিয়ে অবশেষে পুনরায় আবার একত্রিত হয় দুই অন্তরঙ্গ বন্ধু।

ক্যাপ্টেনের নির্দেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আবারও নিলামে ওঠানো হয় Joey- কে। সব সৈন্যরা অ্যালবার্টের সাহায্যে এগিয়ে আসে কিন্তু কাজ হয়না। Joey- কে প্রচুর টাকার বিনিময়ে কিনে নেয় এক বৃদ্ধ। নাম বোনার্ড। অ্যালবার্ট ভেঙ্গে পরে। টাকার কাছে আবারও হেরে যায় সে। বোনার্ডকে সে সব বুঝিয়ে বলে কিন্তু সে তা বিশ্বাস করে না। তার নাতনী এমিলিকে জার্মান সৈন্যরা মেরে ফেলে তাই নাতনীর একমাত্র স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সে Joey- কে রেখে দিতে চান নিজের কাছে। কিন্তু Joey এবার আর যেতে চায় না। সে ফিরে আসে অ্যালবার্টের কাছে। বৃদ্ধ বোনার্ড সন্দেহে পরে যায়। পকেট থেকে সেই মেডেল অর্থাৎ, ছোট্ট পতাকাটি বের করে জিজ্ঞেস করে এর সাথে Joey- র কি সম্পর্ক? অ্যালবার্ট খুলে বলে। তখন বৃদ্ধ তার ভুল বুঝতে পারে। সে Joey- কে ফিরিয়ে দেয় অ্যালবার্টের কাছে।
দীর্ঘ পথযাত্রা, যুদ্ধ শেষে-

অ্যালবার্ট এবং Joey- ফিরে আসে নিজ গৃহে।
অ্যালবার্টকে যুদ্ধ থেকে জীবিত ফিরে আসতে দেখে আবেগআপ্লুত হয়ে পরে তার বাবা মা। অ্যালবার্ট তার বাবার হাতে তুলে দেয় মেডেলটি।

অ্যালবার্টের বাবা এবার মেডেলটি নিয়ে গর্ব করার মতো কোন কারন খুজে পান। শেষ হয় অসাধারন এক যুদ্ধের গল্প। জীবন যুদ্ধের গল্প। যুদ্ধ জয়ের গল্প। যে গল্পে মানুষ এবং পশুর ভূমিকা সমান ভাগে বিভক্ত।


শিক্ষণীয় দিক-
খুব সাধারণ একটা ঘটনার মাঝেও লুকিয়ে থাকে অসাধারন কোন বার্তা। 'ওয়ার হর্স' এমনই একটা মুভি। জন্মের পর থেকেই জীবন সংগ্রামে লিপ্ত হয়ে পরে পৃথিবীর সকল প্রানি। হোক সে মানুষ, অথবা কোন পশু। সংগ্রাম করতে করতেই সে বড় হয়। জীবনে যতো দুঃখ আসুক, বিপদ আসুক, ঝড়- ঝাঁপটা আসুক- সেগুলোকে ভয় না পেয়ে উচিত সেগুলোর মুখোমুখি হওয়া। আশা না হারানো। আর মানুষ নিজেরাই যখন নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ- বিগ্রহে লিপ্ত হয়, নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে; সামান্য একটু সহানুভূতি, ভালোবাসা, আর করুনাই পারে সেই অনিচ্ছাকৃত ধ্বংসকে থামিয়ে দিতে। বিপদাপন্ন কাউকে সাহায্যার্থে যখন কিছু মানুষ এগিয়ে আসে, তখন কে শত্রু আর কে বন্ধু- আলাদা করা যায় না। সুতরাং, হিংসা- বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে মানুষের প্রতি মানুষের সহানুভূতি, আর ভালোবাসাকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত। পরিশেষে- মন থেকে যদি কারও প্রতি কারও ভালোবাসা থেকে থাকে, হাজার ঝড়- ঝঞ্ছার মধ্য দিয়েও সে অবশ্যই তাকে খুজে পাবে। সেটা হোক কোন মানুষ, অথবা অবুঝ কোন পশু। চূড়ান্ত বিশ্বাস, আর আশার মাঝে রয়েছে অকল্পনীয় ক্ষমতা।

WAR HORSE

Director: Steven Spielberg
Writers: Lee Hall, Richard Curtis
Stars: Jeremy Irvine, Emily Watson and David Thewlis
Music by- John Williams
Cinematography- Janusz Kamiński
Editing by- Michael Kahn
Studio- DreamWorks Pictures
Reliance Entertainment
Amblin Entertainment
The Kennedy/Marshall Company
Distributed by- Touchstone Pictures
Release date- 25 December 2011
Running time- 146 minutes
Country- United Kingdom
Language- English
Budget- $66 million
Box office- $118,452,000

বিঃদ্র- মুভিটি ২০১১ সালের সেরা মুভির অস্কারের জন্য নমিনেটেড। এটি মূলত একজন ব্রিটিশ লেখক Michael Morpurgo- এর লেখা উপন্যাস যেটা প্রথম প্রকাশ হয় ১৯৮২ সালে, ইংল্যান্ডে।


------------------------------------------------------------------







সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৩৫
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×