ইসলাম যে মোটামোটি মেনে চলবে সে সুস্থ স্বাভাবিক থাকবে।যে পুরোপুরি মেনে চলতে যাবে সে স্বাভাবিক থাকতে পারবে না।ইসলামে সবকিছু আল্লাহ-খোদা ও নবী কেন্দ্রিক। যেমন—
প্রায় সর্বপ্রকার গান বাজনা নিষিদ্ধ।কিছু গান শোনা যাবে যেগুলোতে অপ্রয়োজনীয় কথা নেই।কেবল আল্লাহ রাসুলের প্রশংসা করা হয়েছে এমন গান।বাদ্য যন্ত্র ব্যাবহার করা যাবে না;কারো কারো মতে দফ ব্যবহার করা যাবে।
নাটক,সিনেমা নিষিদ্ধ।নাটক সিনেমা দেখা যাবে যদি তাতে দ্বীনের কথা থাকে।
চিত্রাংকন,ভাস্কর্য শিল্প সম্পূণ নিষিদ্ধ।
প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলা নিষিদ্ধ।কিন্তু মানুষের চাহিদা শুধু প্রয়োজনে সীমাবদ্ধ নয়।বেচে থাকতে হলে প্রয়োজনের বাইরে অনেক কিছু লাগে।যেমন-শিল্প,সাহিত্য,কলা,সঙ্গিত।সুন্দর সমাজ গঠনে এগুলোর অবদান অস্বীকার করা যায় না।
মাওলানাদের মতে বিনোদন হচ্ছে বেশী বেশী নফল নামাজ ,তাহাজ্জুজের সালাত পড়া,জিকির করা,দোয়া করা ইত্যাদি।আমরা দ্বীনের মধ্যে না থাকায় এসবের ভেতর বিনোদন খুজে পাই না।
কেউ যদি সারাক্ষন এসব করে,তাহলে তার পাগল হতে বেশী সময় লাগার কথা না।বাস্তবেও আমরা এরকম ঘটনা দেখেছি।মীরপুরের সেই মানসিক ভাবে অসুস্থ দুই বোনের কথা নিশ্চয় মনে আছে সবার।সারাক্ষন ঘরে বন্দি থেকে ইবাদত-বন্দেগি করতো আর শুধু দুধ খেয়ে জীবন ধারন করতো।এক বোন সম্ভবত চিকিৎসক ছিল।
কিছু আধুনিক স্কলার এখন শিল্প,সাহিত্য,কলা,সঙ্গিত এগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে নতুন করে ইসলামি আইনকানুন হালনাগাদ করছে।কিন্তু সেখানেও সমস্যা আছে---নানা গুনি নানা মত।এক মুফতি যদি বলে মোবাইলে কোরান শরীফ থাকলে সেটা ওজু ছাড়া স্পর্শ করে পড়া যাবে না,তো আরেকজন বলবে পড়া যাবে।কারন সেটা মূল কোরআন মজীদ নয়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭