ঘটনাটি ১ বছর আগের। আমার মা পান্থপথের একটি হাসপাতালে ভর্তি। আমি অফিস থেকে প্রতিদিন সন্ধায় মাকে দেখতে হাসপাতালে যাই। মাকে রাতের খাবার আর উষুধ খাইয়ে আমি বাসায় ফিরি। আবার পরদিন সন্ধায় যাই। আমার মায়ের পাশের সিটে আর একজন মহিলা ভর্তি ছিল। তার মেয়ে তার সাথে থাকতো। মেয়ের নাম ডাক নাম পিংকি, আসল নাম রিতিকা। উনার মেয়ে আমার মা কে উষুধ খাবার ব্যাপারে আরও ছোট ছোট কিছু ব্যাপারে সাহায্য করত। সেই থেকে তাদের সাথে ভালোভাবে পরিচয়। প্রতিদিন ই তাদের সাথে গল্প হতো। পিংকিং/রিতিকার বাবা বিদেশে থাকে অনেকদিন যাবৎ। দীর্ঘ ১৭ দিন হাসপাতালে থাকার পর মা সুস্থ হলে আমরা চলে আসি। চলে আসার পরও তারা আমার মায়ের কাছে, আমার কাছে ফোন করে আমার মায়ের খবর নিত। তখনও পিংকিংর মা হাসপাতালে ছিল। বেশ কিছুদিন পর পিংকি নামের মেয়েটা আমার কাছে ফোন করে আমার মায়ের কি অবস্থা জানতে চায়। আরও বলে ভাইয়া, একটা কথা বলব, বলতেও লজ্জা লাগছে, কিন্তু উপায় নাই, আমার মাকে আজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিচ্ছে। অনেক টাকা বিল হয়েছে। কিন্তু ১০,০০০ টাকা কম আছে আমাদের কাছে। আপনি যদি ১০,০০০ টাকা লোন দেন তবে খুব উপকার হতো। আমরা বাড়ি গিয়েই আপনার টাকা পাঠিয়ে দিবো। মানুষের এরকম বিপদ হতেই পারে, আমার কাছে ৭০০০ টাকা ছিল, তাই দিয়ে দিলাম। ভৈরবের বাড়ি পৌছে আমার কাছে ফোন দিয়ে বলে তারা ঠিকমত পৌছেছে আর টাকার জন্য যেন চিন্তা না করি। তারপর বেশ কয়েকদিন গেল আর যোগাযোগ করেনা। ২০ দিন যাবার পর আমি ফোন দিলাম, কথা হল কিন্তু টাকার ব্যাপারে কিছু বলল না। আমি তখন বললাম, পিংকিং আমার টাকা দরকার, তোমাকে যে ৭০০০ টাকা দিয়েছি সেটা কবে দিবা? উত্তরে বলল, ভাইয়া সামনের মাসের শেষের দিকে দিয়ে দিব। সামনের মাস গেল। কোন খবর নেই। আবার ফোন দিলাম, আবার আর একটা ডেট দিলো । এভাবেই অনেকগুলো ডেট গেল। কিন্তু আমার টাকা দেয় না। পরে আমি সারাদিন ফোন দিলেও আর ধরত না । সবসময় ফোন ওয়েটিং এ পেতাম। একদিন একটা মেসেজ সেন্ড করলাম। তাতে লিখলাম, পিংকিং ২ দিন সময় দিলাম আমার টাকা না দিলে তোমার মাকে ফোন করে জানাবো। একটু পর আমাকে পিংকি ফোন করে বলে আপনি কি জানাবেন? আপনার টাকা আমি নেই নি। আপনাকে আমি চিনি না। আর কোনদিন ফোন করবেন না। আমি শুনে হতবাক। তার একদিন পর আমার বাবা পিংকিংর মার কাছে ফোন করে সব জানায়। ওর মা বলে ঠিক আছে আমি পিংকির সাথে আলাপ করে দেখি। তারপর থেকে মা-মেয়ের দুজনের ফোন বন্ধ। মাঝে মাঝে খোলা পাই। কিন্তু আমার ফোন পেয়েই আবার বন্ধ করে দেয়।
পিংকিংদের বাড়ি ভৈরব। সে এখন ঢাকা ইডেন কলেজে পড়ে যতদুর জানি। দেখতে খাট, ফর্সা । এই ব্লগে যদি ভৈরবের কেহ থাকেন তবে প্লিজ আমার টাকাটা ফিরে পাবার একটা বুদ্ধি দেন প্লিজ। আর আমার মত কেহ যেন পিংকিং/ রিতিকাদের কাছে কেহ প্রতারিত না হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




