somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পত্র (দেওয়া হয় নাই, কখনো হয়ত দেওয়া হবে না )

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কি বলে শুরু করব বুঝতে পারছি না। হয়ত মনে করছো আরে এরকম কত দেখলাম কত পত্র পেলাম। ব্যাপার হচ্ছে এখন পত্র মিতালী খুবই কম। আসল কথায় আসি। প্রথম যেদিন তোমাকে দেখলাম ভিতরটা কেমন যেনো কেঁপে উঠলো। কি করে এর বিশ্লেষণ দিবো বুঝতে পারছি না। যদি কমন ভাবে বলি তাহলে, হয় এর আগে অনেক প্রস্তাব পেয়েছো, অনেকের মুখে প্রশংসা শুনেছো। জানো তোমকে যতবার দেখি ভিতরটা কেমন যেনো কেঁপে উঠে। একটু দেখার জন্য মনটা ছটফট করে। তাহসানের “বিন্দু” গানের কয়েক লাইন খুব বেশি মনে হচ্ছে। “ভেবে ছিলাম নিজেকে স্রোতের বিপরীতে একজন” আসলেই তাই। এমনটা কখনো হবে ভাবিনি।

আগে কখনো স্বপ্ন দেখতাম না। কিন্তু যেদিন থেকে তোমাকে ভালবাসলাম, সে দিন থেকেই হয়ত আমার স্বপ্ন দেখা শুরু। দিনে দিনে ছোট্ট ছোট্ট স্বপ্ন গুলো মিলে এক বিশাল সাম্রাজ্য তৈরি করছে। সেই বিশাল সাম্রাজ্য জুড়ে থাকবে শুধু তুমি। তুমি হবে আমার রানী। সেই সাম্রাজ্যের এক পাশে বিশাল সমুদ্র, এক পাশে দৃষ্টির সীমানা জুড়ে লাল গোলাপের বাগান. . আর আমাদের জড়িয়ে থাকবে অন্তহীন নীল আকাশ। কখনো হাত ধরে রক্ত লাল ফুলেদের মাঝ দিয়ে হেটে যাব। সন্ধে বেলায় তোমায় বুকে জড়িয়ে ধরে বিশাল সমুদ্রের মাঝে সূর্যটাকে বিদায় জানাব। তুমি অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকবে। আমি তোমার এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে হেসে ফেলব। তুমি সেই হাসি দেখে একটু লজ্জ্বা পেয়ে যাবে। আমি তখন আলতো করে তোমার চোখের সামনে নুয়ে আসা চুল গুলো সরিয়ে দিব. . আগে কখনো স্বপ্ন দেখা হতো না। আর এখন এক মুহূর্তের জন্য স্বপ্ন দেখা থামাতে পারিনা। এখন আর আমার এক মুহূর্তের জন্য একা থাকা হয় না।

মনে হয় যেন প্রতিটা মুহূর্ত তুমি সাথে আছো।এখন আর আমার এক মুহূর্তের জন্য একা থাকা হয় না। মনে হয় যেন প্রতিটা মুহূর্ত তুমি সাথে আছো। আচ্ছা, ছোট্ট একটা প্রশ্ন করি? কাউকে ভালোবাসা কি পাপ না অন্যায় না অপরাধ না নিষেধ?আমি তোমাকে ভালোবাসি–তোমার দৃষ্টিকোণ থেকে এটা কি?নিশ্চয় অন্যায়? পাপ ও হতে পারে?তাই না?থাগুলো তোমার সামনে দাঁড়িয়ে বলা উচিৎ ছিল। কিন্তু আমি তোমার সামনে যেতে পারি না। বড্ড ভয় লাগে। তোমাকে দেখলে অনেকটা এলোমেলো হয়ে যাই। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলি।কেন এমনটা হয় বুঝি না। এটাই বুঝি ভালোবাসা,এটাই বুঝি প্রেম।” আমার কপালটা সত্যি ই অনেক অদ্ভুত। যাকে এত ভালোবাসি,সে আমাকে একদম ই দেখতে পারে না।আচ্ছা, তুমি কেন ছেঁড়া কাগজের মত আমাকে বারবার ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছ?”

একটা মেয়েকে কিভাবে প্রেম নিবেদন করতে হয় সেটা আমার জানা নেই।তবে এটা জানি,আমি তোমাকে অসম্ভব ভালোবাসি।আমার সুর্যের আলোর মত নিরপেক্ষ।কিন্তু আমি তোমাকে তা বুঝাতে পারি না।আমি যে এমনি। আর্টসেল এর দুঃখবিলাস গানটার মতো বলতে ইচ্ছে করছে …আমি বড় অসহায় অন্য পথের একটি নাটকই দেখি মহাকালের মঞ্ছে। আজকাল বর অদ্ভুত আচরন হচ্ছে । আমি ঘুমাই রাত৩-৪ টার দিকে। একদিন বিছানায় শুয়ে আছি মনে হচ্ছে তুমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছো। ঘুম চলে আসল। এমন ঘুম আমি আর কখনো ঘুমাই নেই। লাস্ট ঘুমিয়েছিলাম এমনটি আমার মায়ের কোলে। একটি কথাও বানিয়ে বলছি না। তোমার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারি না তাই ভিতরের সব কষ্ট আনন্দ গুলো লিখে দিচ্ছি। জানিনা ভালোবাসবে কিনা! তুবুও আমি তোমাকে ভালোবেশে যাব। কল্পনার রাজ্যে। সেটাতো আর বাধা দিতে পারবে না। এই পাগলের জন্য ভালোবাসা তোমার মনে জন্মাবে কি না জানি না। ভালো থেকেও। সব সময় হাসিখুশি থাকবা। হাসলে তোমাকে ভালই লাগে। জানিনা এই লাস্ট ব্রেঞ্চ এর ছাত্রের কি পরিনতি হয়। আমি আছি থাকবো সবসময়। একটা কথা রাখবা? একদিন আমার সাথে বাদাম খাবা? স্রেফ ৫ মিনিটের জন্য. বাদামের খোসা না হয় আমিই ভেঙ্গে দিবো। তোমার কষ্ট করতে হবে না । আরো অনেক কিছু লিখার ইচ্ছা ছিলো।

এসো চলে যাই দূর পাহাড়ে,
যেখানে আমি আর তুমি,
নাহ তুমি আর আমি,
সময় এসেছে আমার চলে যাবার,
এবার আর ফিরবো না,
চলে যাব ঠিক তোমার আত্মার কাছে,
আত্মার সাথে আত্মার কথা হবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×