ছোটবেলা থেকে অনেক কিছুর শখ হইতো। আমার ধারণা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা সবসময় এমন সব শখ করে যা বেশিরভাগ সময় তার পরিবারের পক্ষে মিটানো সম্ভব হয় না। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয় নাই। তবে বড় দুই ভাইয়ের দুঃসাহসী সিন্ধান্তের কারণে প্রথমে মেজো ভাইয়ের বাংলা গিটার আর পরে বড় ভাইয়ের গিভসনের কল্যানে ছোটবেলায় গিটারে হাতেখড়ি হয়েছিলো। দুঃসাহসী বললাম, কারণ ১৯৯৫-৯৬ সালে, টানাটানির সংসারে মেজো ভাইয়ের এক বাংলা গিটারের পিছনে ৮০০ টাকা আর বড় ভাইয়ের গিভসনের পিছনে ১৮০০ টাকা ঢালা দুঃসাহসীই বৈকি। তবে দুঃখের ব্যাপার ছিলো যে, ওনারা চাকরিবাকরিতে ঢোকার আগেই নানাকারণে ওনাদের গিটার শেখাতে ইস্তফা দিয়ে ফেলেছিলেন এরপর আমার পালা এলো। বড় হলাম। লেখাপড়া করে খানিকটা শিক্ষিত(!) হবার সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরিতে ঢুকলাম। পুরানো শখ মাথাচাড়া দিলো। ২০১৬ সালে একটা অ্যাকুয়েস্টিক কিনলাম। J&D কোম্পানির জাম্বোটা নিয়ে যারপরণাই খুশি ছিলাম। গত দুই বছর নানাধরনের গান কাভার করে এবং তা ইউটিউবে আপলোড ও শেয়ার করে লোকজনকে জ্বালিয়ে মারছিলাম। অনেক লোকজনই একটু নেগেটিভ রিঅ্যাকশন দিলো। কথাবার্তায় বুঝিয়ে দিলো যে, আমার বুইড়া বয়সে ভীমরতি হইছে। আরে ভাই, আমি যদি এই জিনিসটা করে আনন্দ পাই এবং এতে যদি অন্যের ক্ষতি না হয়, তাহলে আপনার সমস্যা আছে? আজাইরা প্রানী সব! আবার এই ব্লগেই এজন্যে কয়েকজন গালাগাল দিলো গালি দেবার আগে সবার মনে রাখা উচিত যে, সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে আয়নার মতন। যদি ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার মতন গঠনমূলক সমালোচনা করা যায় তবে তা করুন। আর ভালো না লাগলে ইগনোর করুন। গালিগালাজ করলে নিজের দৈন্যতা প্রকাশ করা ছাড়া অন্যকিছু হয়না। আবার ফিরে আসি শখে। গিটারের শখ এবারে ভয়াল আকার ধারণ করলো। তাই শখের জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়ার আগেই ইলেকট্রিক গিটার কিনে ফেললাম ibanez grg170dx। এটার রিভিউ বেশ ভালো। সেমি-প্রো ইলেকট্রিক গিটার। এর চাইতে দামী অনেক মডেলের চাইতেও এটার পারফরমেন্স অনেক ভালো। তবে আমার মতন আনাড়ির জন্যে এটাই অনেক অনেক ভালো গিটার। ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় সবাই গরু কিনে বাসায় ফিরছে, আর আমি গিটার কিনে বাসায় ফিরছি। ব্যাপারটা মজার ছিলো। আমি ব্যাপক আনন্দিত। ডিস্টোরশনে দিয়ে খালি রিফ বাজাই আর শেয়ার দিয়ে মানুষজনকে পেইন দেই এই পোস্টে গত কয়েকদিনে নতুন গিটারে কাভার করা কয়েকটা গান শেয়ার করছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে
ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন