সিগ্রেটে পুড়ছে আগুন। প্রতি টানে নিচ্ছি ধুঁয়া। সামনে ধুঁয়া-পিছনে ধুঁয়া। ক্রমান্বয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে কাগজে মুড়ানো তামাক। হয়ে যাচ্ছে ধুঁয়া। এপাড়ে আগুন- ওপাড়ে আগুন। ক্ষনিকের পর সব উধাও। তারপর কেবল শুণ্যতা। বিনাশেই পরিসমাপ্তি। জীবনতো এমনই। আশা আর সম্ভাবনার এক বায়বীয় আহবানে জীবন চলা। জীবনের পথ চলায় নেই কোন বিরাম-নেই ক্ষান্তি। অথচ একসময় সবই শুণ্যতা। পেছনে কেবলই পথচলা। যে পথের নেই কোন শেষ নেই কোন সীমানা। কেবল আশা আর আকাংখার অদম্য ঘোড়া ছুটিয়ে চলা। কোন একদিন ভালো থাকব এই আশায় সিগ্রেটের মত ক্ষয় করছি প্রতিটি মুহুর্ত। কিন্তু পরিপূর্ণ ভালো আর থাকছি কোথায়? ভালো থাকার আশায় আগুনে পুড়ছি প্রতিটি মুহুর্ত। শত কোটি মুহুর্ত আগুনে পুড়ে ভালো আর থাকা কী আদৌ হচ্ছে? প্রশ্ন করিনা কখনো নিজেকে। শত কোটি মুহুর্ত পুড়ে ভালো থাকার সেই সোনার হরিন কী সতিই মিলছে আমাদের ভাগ্যে? মনে হচ্ছে উত্তরটা "না"। তাহলে প্রতিটি মুহুর্ত পুড়ছি কেন? এর উত্তর জানা নেই। আমি তুমি সে-আমরা সকলে মিলে প্রতিদিনই নষ্ট করছি অনবধ্য এক অমূল্য সময়-সম্পদ। আজ টাকা কামাচ্ছি-কাল খাব বলে। সমস্ত সম্পদ গচ্ছিত করছি ভবিষ্যতের উন্নতি আর সমৃদ্ধির আশায়। কিন্তু কী এক আশ্চর্য কান্ড সেই ভালো থাকাটি আর হচ্ছেনা । তাহলে এই অযথা সময় নষ্ট করা কেন? মা বাবা বলছেন-আমরা কষ্ট করছি তোমাদের ভবিষ্যতের জন্য। আর আমরা আমাদের ভবিষ্যত স্বপ্ন দেখছি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে। বউ বলছে-একটু জমা টমা করো-ভবিষ্যত আছেনা আমাদের? প্রতিবেশীরা টাকা জমাচ্ছে, অমুক ধনী হয়ে গেল শেয়ার ব্যবসা করে। তমুকরা সংসারের সদ্স্য সংখ্যা আমি-তুমি ও সে ছাড়া ভাবছেনা। তারা কত ভালো আছে। সংসারের সদস্য সংখ্যায় তদানীন্তনরা যোগ দিলে শান্তির মা পালাই পালাই করে। সুন্দর এ জীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে এভাবেই পদ্ম গোখরোর লালায় অভিসিক্ত করে চলছি। আহ! সেই ভালো থাকা, সেই অনিন্দ সুন্দরের প্রত্যাশা কখনো কী পুরণ হবে? এভাবেই চলছে অমোঘ সময়। নিরন্তর পথচলা থামছেনা কারো। আমি বলি-একটু থামো তোমরা। আসো আমরা সবাই মিলে বর্তমানের প্রতিটি মুহুর্তকে সুন্দর করে তুলি। আর প্রতিটি মুহুর্তেই ভালো থাকি। তাহলে দেখবে তোমার গোটা জীবনটাই সুন্দরের পত্র পল্লবে ছেয়ে গেছে। তুমি প্রতি মুহুর্ত ভালো থাকছ আর অনাবিল আনন্দে ভরে ওঠছে তোমার চারিধার। একটি স্বপ্নময় জীবন তুমি অতিবাহিত করবে। ভালো থাকার স্বপ্ন তুমি জাগিয়ে তুলবে অন্যদেরও মাঝে। তোমরাতো সবাই জানো ছোট ছোট বালুকনা আর বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল। জানো? সত্যিই কী জানো? তাহলে মানছোনা কেন? উদ্বাহু আহবান আমার আসো তুমি আমি আমরা সবাই মিলে এই এক্ষুনি-এই মুহুর্ত থেকেই ভালো থাকতে শুরু করি। আমার ভালোর জন্য অন্যের দরজা বন্ধ না করি। দেখবে জগৎটা কত সুন্দর। শুধু ভবিষ্যতে ভালো থাকব বলে অন্যের কষ্টের কারণ না হই। প্রতিটি মুহুর্ত ভালো থেকে সুন্দরের রঙে রাঙিয়ে তুলি এই সুন্দর বসুধা।
আলোচিত ব্লগ
=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।
আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন
"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?


৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন
টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।