আপুর বিয়ে হল ক'দিন আগে। আপু'র হলুদের দিন সন্ধ্যায় আপু বাইরের লনে হাঁটছিল। হঠাৎ ভাইয়ার (আপু'র বর) ফোন। গেটের কাছে আস। আপু গেটের কাছে যেতেই একটা মাইক্রো বাস এসে আপুর পাশে দাঁড়াল। মাইক্রোর ভিতর থেকে একটা হাত আপুকে টেনে ভিতরে নিয়ে গেল। আপুতো হতবাক- ভাইয়া। বেশীক্ষন না; ১০/১৫ মিনিট ঘুরিয়ে বাসায় পৌঁছে দিয়ে গেল। ওদিকে আমরা সবাই পরদিন বরের হলুদ- সেটা নিয়ে ব্যাস্ত। কেউ টেরই পেলাম না। রাতে ভাইয়া আমায় ফোন করে যখন গল্প করছিল তখন তো আমি হেসেই খুন। ইসস্ কি রোমান্টিক!!! কাউকে এই ঘটনা বলার অনুমতি নেই। তাই কাউকেই বলা হয়নি। আজ আর না বলে পারছি কৈ?
আজ সারাদিন মন ভাল লাগছিল না। কি যে হয়েছিল কে জানে। কিছুতেই মন বসছিল না। আজ না; আসলে ক'দিন ধরেই ভাল না লাগার শুরু। কাল রাত থেকে একেবারে শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি। ফোনেও কারো সাথে ভাল করে কথা বলছি না। চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। সন্ধ্যায় বার বার-ই বলছিলাম হাঁটতে যাব। মা তা দিতে নারাজ। কি আর করা মুখ গোমড়া করে বসে থাকা ছাড়া? একটু পর মা-ই মন খারাপ দেখে বললেন বাইরের ঘুরে আসতে। কিন্তু এখন আর আমি কেন যাব? ফোন বেঁজে উঠল। প্রিয় সেই কন্ঠ- "কি করছ? মন খারাপ হলে বাইরে ঘুরতে বের হও। আমিও হাঁটছি।" মনে মনে ভাবছি একসাথে হাঁটলে ভাল লাগতে পারে। কিন্তু সেই মানুষটি কোথায় আর আমি কোথায়। তাহলে আর বাইরে যেয়ে কি হবে? তার কথা- শুনতেই হল। বাইরে হাঁটছি। আবার ফোন। টুকিটাকি কথা চলছে। হঠাৎ একটা রিকশা এসে পাশে দাঁড়াল। সামনে দাঁড়িয়ে সে- "চল"।
কেউ বলেছিল মানুষে বুদ্ধি যখন পরাজিত হয় তখন সে হাসে। মানুষ কখন বিস্মিত হয়? মানুষের স্বপ্ন যখন বাস্তবে আসে? নাকি মানুষের বাস্তব যখন স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যায়?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




