ভেবেছিলাম এই সিরিজে আর কিছু লিখব না। একই ধরনের লেখা বিরক্তির কারন। তবে ভাল লাগে লিখতে নিজের ভাল লাগাটুকু। তাই আবারও হাত দেয়া এই লেখায়।
বরারবরই আমি হোমসিক। সেই এইচ.এস.সি'র পর ঘর ছেড়েছি। এর পর প্রিয় মানুষগুলো হয়ে গেল ফোন, চিঠি আর ইমেল। বি.এস.সি. পড়ার সময় মা প্রতিদিন ঠিক দুপুর ১.২০এ ফোন করত। ক্লাস শেষ হত ১.১০এ। ক্লাস শেষে পরিমরি করে হলে দৌড়। ফোন শেষে মনে হত দিনটি বুঝি ফুরিয়ে গেল।
অনেক দিন আগে জুয়েলের একটা গান শুনেছিলাম। গানের টাইটেল মনে নেই। চিঠি নিয়ে গান। দুপুর বেলা প্রিয়া'র চিঠি পেয়ে সারাদিন বুকপকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, রাতে পড়বে বলে। খুবই ন্যাকামি মনে হয়েছিল সে সময়। দূরদেশে আসার পর সবকিছু অন্যরকম হয়ে গেল। মাকে প্রতিদিন ফোন করা হয়। অনেকক্ষন কথাও হয়। তবে কেন যেন আশ মেটে না। কেউ চিঠি লেখে না। তবে বন্ধুরা প্রতিদিন ফেসবুকের ইনবক্সে মেসজ দেয়। আমি সকাল বেলা উঠে দেখি ক'টা মেসেজ আছে। সারাদিনে মেসেজগুলো পড়ি না।রাতে ঘুমোতে যাবার আগে পড়ে রিপ্লাই দিই। এই ছেলে মানুষিটা করতে ভাল লাগে।
ইউনিভার্সিটি'র মেইল বক্স ৪তলায়। সপ্তাহে একদিন চেক করি। ইমপর্ট্যান্ট মেইল আসার কথা থাকলে অবশ্য অন্য কথা। দেশ থেকে এসেছি ২০ দিনের উপর হয়ে গেল। এখনও স্কলারশিপের টাকা পাইনি। দু'টো চেক আটকে আছে। তাই মেইল বক্স চেক করার আগ্রহটা একটু বেশী বেশীই। সকালে ইউনিভার্সিটি গিয়েই মেইল বক্সের খোঁজ। দু'টো মেইল। ব্রাউন খামে ট্যাক্সের কাগজ। আরটা কি?!
ফোন নাম্বারটা লিখেছো কেন? আমায় খুঁজে না পেলে কি তোমায় ওরা কোনদিন ফোন করবে? ওটা ওয়েস্ট পেপার বাস্কেটে ফেলে দেবে। লিখলেই যখন +৮৮ লিখলে না কেন? নিজের ঠিকানা পুরো নেই কেন? স্ট্যাপেল করলে কেন? গাম ছিল না?
কবে পাঠিয়েছ?
কি লিখেছ?
এখনও খুলিনি। নিয়ে ঘুরছি। পড়লেই মনে হচ্ছে ফুরিয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১০ সকাল ৯:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




