বিএনপিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতেই হয় - দেরিতে হলেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাড়িয়েছে - সংবিধান রক্ষা আর মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভুমিকা নিয়ে সোজাসাপ্টা কথাগুলো উচ্চারন ঐতিহাসিক ভাবে বিএনপিকে এখন মেইনস্ট্রীম বাংলাদেশী রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রতিষ্টিত হবার সুযোগ করে দিচ্ছে।
যদিও বিএনপি এই অবৈধ সরকারের সহযোগী জামায়াতের ফাঁদে পা দিয়ে ইতোমধ্যে কিছু ভুল করে ফেলেছে - যা মাইনাস টু পথে সরকার অনেকটা এগিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে আওয়ামীলীগের উপর প্রতিশোষ নেওয়ার পর দলে শৃংখলা আর দল গোছানোর দিকে মনোযোগী হলে হয়তো দলীয় কর্মীরা দখল আর চাঁদাবাজীর দিকে তেমন ব্যস্ত হতো না। এখনও সময় আছে - দলের প্রতিটি কমিটির সন্মেলন করে কমিটিগুলো শক্তিশালী-জনমুখী আর সুশৃংখল করে আসল শত্রু জামায়াতের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার এখনই সময়। ইউনুস গং তার নিজের বানানো দল আর জামায়াতকে নিয়েই নির্বাচন করবে - এখানে তার খর্বশক্তির বিএনপিকে আশা করছে।
ইতোমধ্যে জামায়াত বিএনপির বিরুদ্ধে তাদের পরিকল্পনা মতো কাজ শুরু করেছে - যেমন ওদের পেইড ওয়াজী মাওলানাদের মাঠে নামিয়েছে - যারা আওয়ামীলীগের সমালোচনার চাইতে বিএনপির সমালোচনা বেশী করছে - তাদের ধর্মীয় আলোচনার নামে বিএনপিকে কোনঠাসা করার পক্ষে জনমত তৈরী করছে। সাম্প্রতিক যশোরে এক মাওলানা একটা বাক্য দিয়ে বিএনপিকে ব্যস্ত করে ফেলেছে - তার বিএনপি নেতাদের তার প্রতিক্রিয়া ছিলো অত্যন্ত অরাজনৈতিক - বিএনপির এই প্রতিক্রিয়াই জামায়াত চায় - এইটা ছিলো একটা ফাঁদ - তেমনি বঙ্গবন্ধুর খুনীর লাইভ সেই ষড়যন্ত্রের আরেকটা ধাপ - সেখানে ব্ঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড নিয়ে এলোমেলো কথা বলেছে যা তার লেখা বই এর সাথে সাংঘর্ষিক - বুঝা যায় এই লাইভ আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ছিলো না - ছিলো বিএনপির প্রতিষ্টাতা জিয়ার বিরুদ্ধে - সে সরাসরি বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের জিয়াকে জড়িয়েছে - সেখানে ধর্মীয় আবেগ বাড়ানোর জন্যে কোরআন শপথের কথাও বলেছে - যা বিএনপিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে - কিন্তু আওয়ামীলিগের জন্যে একটা প্লাস পয়েন্ট তুলে দিয়েছে -যা হলো এতোদিন আওয়ামীলিগ বলে এসেছিলো - বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জিয়া জড়িত ছিলো তার পক্ষে একটা জোড়ালো প্রমান চলে এসেছি।
এই সব কিছুই জামায়াতের চক্রান্ত - বলাই বাহুল্য - বিএনপি যে জামায়াতকে দীর্ঘদিন লালন-পালন করেছে - মুনাফেকের সঠিক চেহারা এখন বিএনপিকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে - এইটাই অনিবার্য ছিলো - জন্মলগ্ন থেকেই জামায়াত মুনাফেক হিসাবে নিজেদের স্বার্থে কাজ করেছে।
তাই মাইনাস টু (মুলত টু পয়েন্ট ফাইভ - দুই নেত্রীর সাথে তারেক রহমানও এই প্লানের টার্গেট ছিলো) থেকে নিজেদের রক্ষা করা - বাংলাদেশের সংবিধান-স্বাধীনতা আর গনতন্ত্রী অবস্থায় ফিরে যেতে বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সুষ্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে - আওয়ামীলীগ ভুল করেছে - বিএনপিও তেমনি নানান ভুল করেছে - কিন্তু দেশের স্বার্থে আওয়ামীলিগের সাথে নীতিগত পার্থক্য কমানোর জন্যে দ্রুত আলাপ আলোচনা করে এই অবৈধ ইউনুস সরকার আর তার পশ্চিমা দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহন করে একটা নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে সকল পক্ষকে নিয়ে আন্দোলন করা ছাড়া বিএনপির জন্যে আর কোন পথ খোলা নেই - এই অবৈধ পশ্চিমা দালাল সরকার যত দিন বেশী থাকবে ততই বিএনপি পিছিয়ে পড়বে - আর এই সুবিধা নিতে যে ষড়যন্ত্র করছে জামায়াত - সেই য়ড়যন্ত্র থেকে মুক্তি জন্যে এখনই সুষ্পষ্ট অবস্থান নিয়ে কাজে নেমে পড়ার জন্যে বিএনপির প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
ইতিহাসে বাঁক পরিবর্তনের এক কঠিন দায়িত্ব পড়েছে বিএনপির উপর - মনে প্রানে বিএনপির এই কঠিন কাজে সাফল্য কামনা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


