ওরা সদ্য ফোটা ফুল। ওরা ভোরের ঘুম জাগানিয়া পাখি। ওরা টিনের চালের ঝমঝম বৃষ্টি। ওরা ছয় ঋতুর কোকিল। ওরা আরো অনেক কিছু।
১)
২)
৩)
৪)
৫)
৬)
ওরা নিষ্পাপ।এরপরও এদেরমত পৃথিবীতে আরও অনেক শিশুর বেঁচে থাকা এখন অনিশ্চিত। কারণ ওরা এইচ আইভি পজিটিভ।
আসুন, কোন রোগকে ঘৃণা না করি। এইচআইভিরোগকে ঘৃণা করি। মূলত কারণ হচ্ছে এটা য়ৌন রোগ বলে পরিচিত। কিন্তু এটা যৌনাঙ্গ ছাড়াও আরও অনেক ভাবে ছড়াই।
এইচআইভি পজিটিভ কেউ অভিশপ্ত নয়। বরং এইচআইভি নিজেই অভিশ্পত। আসুন এই ভাইরাসকে আমরা অভিশাপ দিই।
এইচআইভি পজিটিভ কাউকে ঘৃনা না করে। বরং তার সুন্দর জীবনের জন্য একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিই। ওরা আমাদের কেউনাকেউ।
আসুন নিজে সচেতন হই। অন্যকেও এ ব্যাপারে সচেতন করি।
এইচআইভি কিভাবে সংক্রমিত হয়
বায়ু, পনি, খাদ্য অথবা সাধারণ ছোঁয়ায় বা স্পর্শে এইচআইভি ছড়ায় না। এইচআইভি মানবদেহের কয়েকটি নির্দিষ্ট তরল পদার্থে (রক্ত, বীর্য, বুকের দুধ) বেশি থাকে। ফলে, মানব দেহের এই তরল পদার্থগলো আদান-প্রদানের মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে যে যে উপায়ে এইচআইভি ছড়াতে পারে তা হল:
১) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগীর রক্ত ব্যাক্তির দেহে পরিসঞ্চালন করলে
২) আক্রান্ত ব্যাক্তি কতৃক ব্যবহৃত সুচ বা সিরিঞ্জ অন্য কোন ব্যাক্তি ব্যবহার করলে
৩) আক্রান্ত ব্যক্তির কোন অঙ্গ অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করলে
৪) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত মায়ের মাধ্যমে (গর্ভাবস্থায়, প্রসবকালে বা সন্তানের মায়ের দুধ পানকালে)
৫) অনৈতিক ও অনিরাপদ দৈহিক মিলন করলে
এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ
এইচআইভি সংক্রমণের উপায়গুলো জেনে এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা এইডস প্রতিরোধ করতে পারি। এইডস প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা হল:
১) অন্যের রক্ত গ্রহণ বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনে আগে রক্তে এইচআইভি আছে কিনা পরীক্ষা করে নেয়া
২) ইনজেকশন নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবারই নতুন সুচ/সিরিঞ্জ ব্যবহার করা
৩) অনিরাপদ যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা
৪) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত মায়ের সন্তান গ্রহণ বা সন্তানকে বুকের দুধ দেয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া
৫) কোন যৌন রোগ থাকলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া
ছবিগুলো নেপালের রাজধানীর অনতিদূরে কির্তিপুরের সাফাল্টা এইচআইভি শিক্ষা সদন স্কুল থেকে তোলা হয়েছে। সূত্র: http://www.timesonline.com/
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫২