somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবিশ্বাসীর দিনলিপি-২ | ইসলাম কি সোনালী অতীতের স্বপ্নে বিভোর?

২৬ শে জুন, ২০১০ রাত ২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জ্ঞান অর্জনের দর্শন ও ধর্মের দর্শনের পার্থক্য ও শত্রুতা নিয়ে লিখেছিলাম.এখানে দেখুন –
অবিশ্বাসীর দিনলিপি-১ পর্বে।
আজকের পর্বে আলোচনা করব ইসলামের সোনালী অতীতের স্বপ্নে বিভোর থাকার কথা নিয়ে।

জ্ঞান বিজ্ঞান, অর্থনীতি, নৈতিক বা সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠির কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। তার মধ্যে একটি হল সব কিছুর পেছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া, আরেকটি হল সোনালী অতীতের স্বপ্নে বিভোর থেকে আজকের ব্যর্থতাকে ভুলে থাকার চেষ্টা।
মুসলিমদের জ্ঞানের পশ্চাদপসরতা সবারই জানা। জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করলে অবধারিতভাবে মুসলিমরা বলবে কোথায়, বিজ্ঞানে আমাদের অবদানও কম নয়। এই বলে তারা ১০০০ বছর আগের আট দশ জন মুসলিম বিজ্ঞানীর নাম দিয়ে দিবে (ইবনে সিনা, আল রাজী, জাবের ইবনে হাইয়ান ইত্যাদি ইত্যাদি)। যেনবা, ১০০০ বছর আগের বিজ্ঞানের অবদান তাকে আজকেও বিজ্ঞানময় জাতী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে দেবে। বিজ্ঞান তো আর ধর্ম গ্রন্থ নয় যে একবার নাজিল হয়ে গেলেই হল। ১০০০ কেন, ১০০ বছর আগের বিজ্ঞানও আজকে আর সেই জায়াগায় নেই। নিয়ত আপডেটেড হচ্ছে, উন্নত হচ্ছে। বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত চর্চা করে আরো উন্নত জায়গায় নিয়ে যেতে হয়। অতীত যুগে কে কি করেছে সেটা দিয়ে ধর্ম চলতে পারে কিন্তু বিজ্ঞান চলে না। সেই স্বর্ণযুগের পর থেকে ইসলামের ইতিহাস বিজ্ঞান তো দুরের কথা বংশবৃদ্ধি ছাড়া আর কিছুতেই যে বিশেষ কিছু করতে পারেনি তা ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেবে। এর পেছনে যতই ইহুদী নাসারার ষড়যন্ত্রের কথা বলি না কেন, নিজের ব্যর্থতা শেষ পর্যন্ত ঢাকা যায়না। কোন কিছু অর্জন করা কঠিন আর ততটাই সোজা ব্লেইম গেইম খেলা।

একথা সত্য যে, একাদশ থেক ত্রয়োদশ শতাব্দী ছিল ইসলামী ইতিহাসের স্বর্ণযুগ। বিজ্ঞান, দর্শন ও সাহিত্যে ইসলামী শাসনামল হয়ে উঠেছিল পরিপুর্ণ। ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে সেই স্বররণযুগের পতন শুরু হয়। কেনই বা ইসলামী শাসনামলে এরকম জ্ঞান বিজ্ঞানের উত্থান হয়েছিল আর কেনইবা তার পতন হয়েছিল সে প্রশ্ন আজকে সততার সাথে নিজের কাছে করা উচিত মুসলিমদের। এরকম আত্মজিজ্ঞাসার ভেতর দিয়ে না গিয়ে শুধুমাত্র ইসলাম বিচ্যুতির ধুঁয়া আর ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজা কোন সমাধান দিতে পারবে না। উপরোক্ত প্রশ্নদ্বয়ের আলোকেই পরবর্তী আলোচনা।

কোন সামাজিক আন্দোলনের বিচার করতে হয় আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট, ইতিহাস এবং ওই সময়ের ঘটনাবলী দিয়ে। ইসলামী জ্ঞান বিজ্ঞানের উত্থানের পেছনে প্রধানত তিনটি কারন আছে – আব্বাসীয়দের উদারনৈতিক শাসন, মুতাজিলাদের উত্থান এবং গ্রীক ও রোমান জ্ঞানের প্রবাহ।
ইসলামী জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসার হল দুটি জায়গাকে কেন্দ্র করে। বসরা এবং বাগদাদ। মোহাম্মদের ছোট চাচা আব্বাসের বংশধররা প্রতিষ্ঠা করেন আব্বাসীয় খেলাফত । আব্বাসীয় খেলাফত তথাকথিত পিউর ইসলামী মৌলবাদী আদর্শে চলত না। বরং উমাইয়াদের অতি গোড়ামীর বিরুদ্ধে ছিল আব্বাসীয় শাসকদের অবস্থান। তারা ছিলেন অনেক বেশি ইহজাগতিক এবং যুক্তবাদীতার পক্ষে। পরলৈকিকতা এবং অন্ধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। বাগদাদে তাদের রাজধানী। আব্বাসীয় খেলাফতের দুই দিকপাল হারুন অর রশীদ এবং আল মামুন। ইরাক এবং ইরাক ঐতিহাসিকভাবেই জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চাকেন্দ্র ছিল। অন্যান্য আরবদেশের মত বর্বর ছিলনা। অন্য আরব নেতাদের মত যুদ্ধবাজ ছিলেন না। তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় মুলত বাগদাদ কেন্দ্রিক জ্ঞান চর্চা গড়ে উঠেছিল। তার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হাউজ অব উইজডম বা বাইতুল হিকমা । বেশিরভাগ মুসলিম শাসকদের মত তারা খালি মসজিদ বা মাজার প্রতিষ্ঠাই করেন নি তারা জ্ঞান চর্চার জন্য গড়ে তোলেন এক অত্যান্ত সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। সেখানে বসে জ্ঞান চর্চা করত মুসলিম, ইহুদী আর খৃষ্টান পন্ডিতেরা একই সাথে। কোন ধর্মীয় ক্যাচাল তাদের মধ্যে ছিলনা। শোনা যায় খলিফা রশীদের দরবারে ছিল একরাশ খৃষ্টান অনুবাদক। তিনি তাদের পারশ্রমিক দিতেন অনুবাদকৃত বইয়ের সমপরিমান ওজনের স্বর্ণ দিয়ে। গ্রীক এবং ল্যাটিন ভাষার প্রচুর বই তিনি অনুবাদ করান এবং গড়ে তোলেন সে সময়কার সব চেয়ে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। আজকের দিনে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ মিলিয়ে বছরে গড়ে ৫০০ র মত বইএর অনুবাদ হয়। অথচ ১০০০ বছর পুর্বে খলিফা আল মামুন তার শাসনামলে প্রায় এক লক্ষ বইয়ের অনুবাদ করান। আরো জানতে পড়ুন-- অনুবাদ বিপ্লব

দ্বিতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয় ছিল মুতাজিলাদের উত্থান। ইসলামী জ্ঞানের চর্চার অন্যতম প্রধান উতস মুতাজিলা সম্প্রদায়ের যুক্তিভিত্তিক চিন্তা ভাবনা। পরকালের চিন্তায় বিভোর হয়ে যেকোন কিছুকে বিনাপ্রশ্নে মেনে নিতে নারাজ ছিল মুতাজিলারা। সেকারনে তাদের উপর শুদ্ধ ইসলামপন্থীরা কম অত্যাচার করেনি। গায়েবের উপর বিশ্বাসকে তারা প্রশ্ন করেছিল। ধর্মকে বিশ্বাস নয় বরং যুক্তি দিয়ে মেনে নেওয়ার কথা বলেছিল। সে কথা পছন্দ হয়নি মোল্লাতন্ত্র এবং ইসলামী শাসকবৃন্দের। কারন তাহলে মোল্লাদের মোল্লাগিরি আর শাসকদের অত্যাচার কায়েম রাখতে অসুবিধা হয়। মুতাজিলারা মুলত শিয়া সম্প্রদায় থেকে উঠে আসেন এবং সপ্তম শতকের মাঝামাঝি তাদের উত্থান ঘটে। এই উদার এবং যুক্তিভিত্তিক চিন্তানায়কদের মধ্যে অগ্রগন্য ছিলেন আল রাজী, আল কিন্দি, আল মারী, খৈয়াম, সিনা, রুশদ, এবং সর্বশেষে ইবনে খালদুন। এই যে, পরকালের চেয়ে দুনিয়াবী চিন্তাকে প্রাধান্য দেয়া, বিশ্বাসের বদলে যুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়া- এসবই ছিল জ্ঞানের উতকর্যতার চালিকাশক্তি। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে যত জ্ঞানভিত্তিক বিপ্লব হয়েছে তার প্রায় সবগুলোর পেছনেই আছে এই ইহজাগতিক দর্শন। সেটা গ্রিক, ভারতীয় দর্শন, রেনেসার উদ্ভব, ভিক্টোরিয়ান ইংরেজদের উতকর্ষতা এমনকি আমাদের বেঙ্গল রেনেসাসের সময়ও দেখা যায়। এবং অবধারিতভাবে এই জ্ঞানের বিপ্লবের প্রত্যেকটিতেই রয়েছে প্রচলিত ধর্মমতের বিরুদ্ধাচারন। কারন প্রচলিত ধর্মমত মানুষকে চিন্তা করতে নিরুতসাহিত করে। শুধু ভেড়ার পালের মত প্রথা আর আচার মানতে প্রচলিত ধর্মের উতসাহ। কোন কিছুকে প্রশ্ন করাকে ধর্মের বড় ভয়। আজকের যুগে মুসলিম প্রতিক্রিয়াশীলতার মাঝেই তার প্রমান মেলে। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদুর- জাতীয় বিষয়ে তাদের আস্থা ছিলনা। আল রাজীর বই স্পিরিচুয়াল ফিজিক এর অনুবাদ দেখুন—
“নিজের এবং সমাজের মংগল সাধন করতে যুক্তিবোধের বিকল্প নেই। ... এর দ্বারাই আমরা জ্ঞান লাভ করেছি পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে, জানতে পেরেছি চন্দ্র, সুর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্রসমুহের তথ্য সম্পর্কে” – এরা কিন্তু বলেননি যে কোরানেই সব আছে। বরং যুক্তি এবং জ্ঞানের সাহায্যে এগিয়ে যাবার কথা বলেছেন। আরেক কবি আল মারির একটি উক্তি দেখুন—“ধর্মীয় মহাগ্রন্থগুলো এমন কিছু আষাড়ে গল্পের সমাহার যা যেকোন যুগের মানুষের পক্ষে সৃষ্টি করার ক্ষমতা আছে এবং করছেও”। ভেবে দেখুন, সেই যুগে এরকম মন্তব্যের পর তাদের উপর কি পরিমান অত্যাচার নেমে আসতে পারে। এ যুগেও এরকম কথা বলা দুসাধ্য। হাজরে আসোয়াদ কে চুমা খাওয়াকে আল মারি একটি অযৌক্তিক কুসংস্কার বলে মনে করতেন। ইবনে খালদুন কোন রকমের প্রশন ব্যাতিরেকেই অন্ধের মত কিছুকে মেনে নেয়াকে “পশুতুল্য চিন্তা” বলে মনে করতেন। অথচ ধর্ম বলে যে, তার বিধানকে বিনা প্রশ্নে মেনে নিতে হবে। কাজেই মুতাজিলাদের প্রভাবে ইসলামী জ্ঞান বিজ্ঞানের যে প্রসার সেটা ঠিক নাস্তিকতা না হলেও তা ছিল এক ধরনের অন্ধ আনুগত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, ধর্মীয় অনুশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন এবং বিশ্বাসের বিপরীতে যুক্তিবোধের প্রসার। এখানে ইসলামী প্রথার চেয়েও প্রথাকে অস্বীকারই মুলত প্রধান।

তৃতীয় গুরুত্বপুর্ন বিশয় হল গ্রিক জ্ঞানের প্রভাব। সম্ভবত এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় ইসলামী জ্ঞানের উত্থানের পেছনে। আলেকজান্ডার পারস্য দখল করেন খৃষ্টপুর্ব ৩৩১ সালে। তখন থেকেই গ্রিক জ্ঞানের প্রচার শুরু হয় আরবে। টলেমি শাসন করেন আলেকজান্দ্রিয়া। আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত লাইব্রেরির কথা কে না জানে। হালাকু খা কতৃক ধ্বংশের আগে পর্যন্ত আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরি ছিল অন্যতম সেরা। রোমানদের হাতে গ্রিকদের পরাজয়ের পর গ্রিক পন্ডিতেরা আসতে থাকে আরব ভুমির দিকে। এমন কি রোমানদের বাইজেন্টাইন সভ্যতার মুল ভুমি ছিল কনস্টান্টিপোল যা, তুরস্কের বর্ডার অবস্থিত। বাইজেন্টাইন সভ্যতার সাথে সাথে গ্রিকো-রোমান জ্ঞান আসতে থাকে আরবে। গ্রিক রাজত্বের আরেকটি কেন্দ্রে ছিল সিরিয়া। গ্রিক বিজ্ঞান ও দর্শনের বই প্রথমে অনুদিত হয় সিরিয়াক ভাষায়, সেখান থেকে আরবী। আব্বাসীয় শাসনামলের অনুবাদের কথা তো আগেই লিখেছি। গ্রিক হেলেনিক সভ্যতার কেন্দ্রেও ছিল মানুষ ও তার জয়। ফলে এখানেও ইহজাগতিকতা একটি বড় ভুমিকা রেখেছে। কোরান নির্ভরতা নয় বরং গ্রিক জ্ঞানই এই বিজ্ঞানী জ্ঞান সাধকদের উতসাহ যুগিয়েছে বিজ্ঞানের চর্চায়। ইউরোপের রেনেসা আন্দোলন এই মুসলিম জ্ঞান চর্চার কাছে অনেকাংশে ঋণী। কারন ইউরোপের অন্ধকার যুগে এই আরবরাই গ্রিক জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়ে রেখেছিল যা পরবর্তীতে রেনেসার আন্দোলনে মুখ্য ভুমিকা রেখেছিল। মুসলিম শাসকরা যখন এই মুক্তচিন্তার নায়কদের উপর অত্যাচার শুরু করল তখন তারা পালিইয়ে বেড়াচ্ছিল। আব্বাসীয় খেলাফতের পতনের পর মুসলিমদের নেতৃতে আসে ফাতেমি আমল। তারপর আসে হালাকু খার মত সন্ত্রাসীদের শাসন। তারা বিধর্মীদের মেরে কেটে ইউরোপের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল আর মুসলিম যুক্তিবাদীদের উপর করছিল অত্যাচার। ফলে এই জ্ঞান ভান্ডার আস্তে আস্তে ইউরোপের দিকে চলে যায়। গ্রিক জ্ঞান আরবী হয়ে আবার অনুদিত হয় ল্যাটিন ভাষায়। ফলে ইউরোপে শুরু হয় জ্ঞান চর্চার নতুন অধ্যায়—রেনেসা। আরো জানতে পড়ুন- গ্রিক জ্ঞান কিভাবে আরবে গেল

এই আলোচনায় দেখি যে ইসলামী জ্ঞান বিজ্ঞানের যে প্রসার সেটি যতটা না ধর্মীয় কারনে তার চেয়ে বেশি মানুষের ইহজাগতিক চিন্তা ভাবনা, বিশ্বাসকে অস্বীকার, মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধাচারণ, যুক্তিবাদ, গ্রিক চিন্তার প্রভাব, উদার সেক্যুলার আব্বাসীয় শাসনামল সর্বোপরি গোড়া ধর্মীয় মতবাদের বিরুদ্ধাচারনই প্রকারান্তরে দায়ি। কাজেই আজকের মুসলিমরা যতই বড়াই করুক সেই দিনগুলো নিয়ে, সেটার পেছনে তাদের ধর্মের অবদান বলার মত তেমন কিছু নয়।

এখন কথা হচ্ছে যে, সেই স্বর্ণ যুগের পর কেন জ্ঞান, বিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং নৈতিকভাবে ইসলামের পতনের সুচনা হল? কি সেই কারনগুলো? মুসলিমদের আজ নিজেকে সেই প্রশ্নটি করতে হবে। সেটি আরেকটি লম্বা আলোচনার বিষয়। এই লেখাটি ইতোমধ্যেই বেশ বড় হয়ে গেছে। সেটি আরেকদিন আলোচনা করব। শুধু বলে রাখি ইসলামি স্বর্ণ যুগের পতনের পেছনে রয়েছে ইসলাম নিজেই। বরং গাজ্জালীর দর্শনের শুরু দিয়ে এই পতনের শুরু। গাজ্জালী যুক্তিবোধের চেয়ে বিশ্বাসকে বেশি গুরুত্ব দেয়া শুরু করেন। ইসলাম চলে যায় মোল্লাতন্ত্রের হাতে। শুরু হয় মৌলবাদের প্রসার। যুক্তি হয় উপেক্ষিত। ফলে তার পতনের সুচনাও হয়। দুনিয়ার চেয়ে পরকাল বেশি প্রাধান্য পেতে থাকে। ফলে যা হবার তাই হয়। আজকের বিশ্ব ইবনে খালদুনের মত মানুষকে নয় বরং ওসামা বিন লাদেনের মত মানুষকে দিয়ে ইসলামকে জানে। এখানেই যত গন্ডোগোল। এ নিয়ে পরবর্তী পর্বে আলোচনা করব।
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য উপহার স্বরুপ আপনাদের জন্য ওমর খৈয়ামের একটি রুব্যাইয়াত---
“যদি শুনতে পাও ফুটন্ত গোলাপের ধ্বণি
জেনে নিও, প্রিয়া মোর, সুরা পানের সময় এখনি।
হুর পরী, হারেম, জাহান্নাম আর জান্নাত,
এসবই তো রুপকথা, ভুলে যাও তার সবই”

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ জাহেদ আহমেদ, উইকিপিডিয়া, ইসলামের ইতিহাস- মোহাম্মদ হাসান, বার্নার্ড লুইস।
চলবে--------------
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×