somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জিয়াউল শিমুল
.. তবুও আমি আঁধার পথিক, আঁধারের অতিথি হয়েছি আজ বিনা নোটিশে। ঘুম নেই চোখে, ক্লান্তি নেই চরণে... জানি না চলছি কোন্ মেঠো পথ ধরে! *facebook.com/shimulzia *facebook.com/ziaulshimul *ziaulshimul.blogspot.com

চন্দ্র ।। পর্ব - ১০

২১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবুলকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো রুদ্র। ওর উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে অনেকটা দুরের সেই জঙ্গল, যে জঙ্গলে প্রায় তিন বছর আগে চন্দ্রকে মারার ভয়ে লুকিয়ে ছিলো ও। অনেকটা মেঠো পথ হাটার পরে আবুল যখন দুরে বিশাল জঙ্গল দেখতে পেলো তখন রুদ্রের উদ্দেশ্য বুঝতে না পেরে প্রশ্ন করে বসলো- কোথায় যাচ্ছি আমরা? সামনে তো বন!

- বনেই যাচ্ছি।

- এটা কি সেই বন যে বনের কথা তুই বলেছিলি?

রুদ্র ওর বনে লুকিয়ে থাকার কথা, গোপাল ঠাকুরকে বোকা বানানোর কথা আবুলকে বলেছিলো। এটা বিশাল বন। স্থানিয় ভাবে এটাকে জঙ্গল বলা হয়। আবুলের প্রশ্নের জবাবে ও ছোট্ট করে শুধু মাথা ঝাকিয়ে বুঝিয়ে দিলো এটাই সেই বন।

- বনে গিয়ে কি করবি? তুই কি বনে চন্দ্রকে খুজবি!

রুদ্র প্রশ্নের উত্তর দিলো না। ও ভাবছে- তিন বছর আগে যখন ও প্রথম দিন দিনের বেলায় মন্দিরে ঢুকেছিলো তখন মন্দিরের ভিতরটা যেমন দেখেছিলো তার পরের দিনও মন্দিরের ভিতরটা তেমনই ছিলো। কিন্তু তারপরেও ওর খটকা লেগেছিলো কেন? মনে হচ্ছিলো প্রথম দিন আর পরের দিনের মধ্যে মন্দিরের ভিতরে কোথাও যেন একটা অসামঞ্জস্যতা ছিলো। তবে এটা নিয়ে তখন ও ভেবে দেখেনি কারন তখন গোপাল ঠাকুরকে দিয়ে কিভাবে ওর কাজ করিয়ে নেয়া যায় শুধু সেটারই ছক কষতে ব্যস্ত ছিলো। আর তারপর বাড়ি আসার পরে মনের ভুল ভেবে এটা ও ভুলে যায়। যখন রিমনের কাছে চন্দ্র হারিয়ে যাওয়ার খবরটা শুনতে পায় তখনই ওর মন বলে ওঠেছিলো এটা শুধু হারিয়ে যাওয়া নয়, এর ভিতরে গভির কোন চক্রান্ত লুকিয়ে থাকতে পারে। আর বাড়ি এসে যখন জানতে পারে চন্দ্রকে তখনও খুজে পাওয়া যায় নি তখন এটা হতে পারের পর্যায়ে আর থাকে না, এটাই হয়েছে বলে ওর মন দৃঢ় সংকেত দেয়। তারপর সবাই যখন কেদে চলছে তখন একটু ভাবতেই ও বুঝতে পারে এর ভিতরে সুচতুর এবং দুর্ধর্ষ কোন শক্তি লুকিয়ে আছে। এই শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হলে ওকে কি করতে হবে সেটারও একটা ছক ওর মনে আবছা ভাবে ভেসে ওঠে। আর তখনই বিদ্যুত চমকের মতো চোখের কোনে ভেসে ওঠে তিন বছর আগের মন্দিরের সেই অসামঞ্জস্যতার বিষয়টা। কি সেই অসামঞ্জস্য? ও যেটা ভাবছে সেটাই কি? যদি সেটাই হয় তবে চন্দ্রকে খুজে পাওয়ার জন্য সেটার আজ ভিষন প্রয়োজন ওর।

ও এখন ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে চন্দ্রকে যে বা যারা কিডন্যাপ করেছে তারা সুধু দুর্ধর্ষই নয়, বুদ্ধি এবং কৌশলের দিক দিয়েও সেরা। এখন জানার দরকার তারা কতোটা সেরা? তাদের সাথে লড়তে হলে ওকে প্রথম থেকেই নির্ভুল ছক কষে মাঠে নামতে হবে। ওকে নিরিবলি সময় কিছুটা ভাবতে হবে। ওর মন যা বলছে সেটার কারন আছে। কোন কঠিন অংক বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন কেউ কয়েক লাইন বাদ দিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে দুই এক লাইনেই শেষ করে দিতে পারে। কারন সে কয়েক লাইনের ক্যালকুলেশন তার মনের ভিতরেই হয়ে যায়। কিন্তু সাধারন কেউ সেই বাদ দেয়া লাইনগুলো জুরে না দেয়া পর্যন্ত কিছুই বুঝতে পারে না। তেমনি ওর মনও অনেক কার্যকারন বাদ দিয়ে ওকে হঠাত করে শুধু ফলাফলের সংকেত দেয়, যেটা প্রথমে ও বুঝতে পারে না। কিন্তু পরে ভাবলে ঠিকই সেটা বুঝতে পারে। ওর মন যে আশংকা করছে সেটার কারন ও বুঝে গেছে। ওর মনে আবছা ভাবে চন্দ্রকে খোজার ছকও তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু আবছা হলে ওর চলবে না। এটাকে শান দিয়ে তিব্র ধারালো করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন গভির ভাবে ভাবা। আর ভাবার জন্য প্রয়োজন নিরিবিলি পরিবেশ।

এক সময় জঙ্গলে ঢুকে পড়লো ওরা। জঙ্গল আগের চেয়ে গভির হয়েছে। রাস্তা নেই, তাই ঝোপ ঝার সরিয়ে ওদেরকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। দিনের বেলাতেও জঙ্গল আবছা অন্ধকার। আবুলকে লক্ষ্য করে রুদ্র বললো- তোর কোন সমস্যা হচ্ছে না তো?

- না। তোর সাথে এসে আমার হয়তো একটা স্বপ্ন পুরন হচ্ছে।

- কি স্বপ্ন?

- অ্যাডভেঞ্চারের স্বপ্ন।

- আমার সাথে থাকলে এমন অ্যাডভেঞ্চার পাবি হয়তো তোর জিবনটাই তাতে বদলে যেতে পারে।

- দেখা যাক, কি হয়? কিন্তু তুই এই গভির বনে ঢুকলি কি জন্য? চন্দ্রকে খোজার সাথে এই বনে ঢোকার সম্পর্ক কি? তুই কি আশা করছিস তোর মতো চন্দ্রও বনে লুকিয়ে আছে!

- চন্দ্র লুকিয়ে নেই। বলেছি না- চন্দ্রকে কিডন্যাপ করা হয়েছে।

- তুই এতোটা শিওর হচ্ছিস কি করে?

- আয়, পরে বলছি।

দির্ঘক্ষন পরে ওরা মন্দিরে এসে হাজির হলো। আগে থেকে না জানলে রুদ্র মন্দিরটাকে চিনতেই পারতো না। কারন মন্দিরটা জঙ্গলি গাছে পুরো ঢেকে গেছে। প্রথম যখন তিন বছর আগে ও মন্দিরে ঢোকে তখন ঢোকার রাস্তাটা ছিলো পরিষ্কার। এখন ছোট ছোট ঝোপে পুরোটাই ঢেকে গেছে। ঝোপঝার সরিয়ে মন্দিরের দরজায় দাড়ালো ওরা। রুদ্র প্রথম যেদিন যেমন দেখেছিলো তেমনি এখনও দরজা বাহির থেকে ছিটকিনি দেয়া। ছিটকিনি খুলে ভিতরে ঢুকলো ওরা। মন্দিরের ভিতরটা পরিষ্কারই আছে। বেদির উপরে বালিশ আর কাথা দেখতে পেলো ওরা। মশাল আর ম্যাচও আছে। তিন বছর আগে গোপাল ঠাকুরকে দিয়ে এ সব আনিয়েছিলো রুদ্র। তারমানে এর মধ্যে আর কেউ ঢোকে নি এই মন্দিরে! বেদির উপরে শুকিয়ে যাওয়া কিছু ফলও দেখতে পেলো ওরা যা রুদ্র তিন বছর আগে না খেয়ে রেখে দিয়েছিলো। আশ্চার্য! ফলগুলো পিপড়ে পর্যন্ত খায় নি! মন্দিরের ভিতরটা আবছা অন্ধকার হয়ে আছে। রুদ্র আলো জালানোর জন্য পকেটে টর্চ নিয়ে এসেছিলো। টর্চ জালিয়ে ভিতরটা এক বার পুরো দেখে নিয়ে বেদির উপরে উঠলো। আবুলও উঠলো ওর সাথে। রুদ্র মুর্তির পিছনে গিয়ে মুর্তির নিচে টর্চ ধরে ঝুকে মুর্তি আর বেদির সংযোগ স্থানটা ভালো করে দেখলো। ও যা ধারনা করেছিলো তাই। মুর্তিটা যেখানে থাকার কথা সেখানে নেই! সেখান থেকে কিছুটা সরে গেছে। ভালো করে লক্ষ্য না করলে বোঝার উপায় নেই। তাহলে ও প্রথম যেদিন মন্দিরে ঢোকে সেদিন মুর্তিটা ঠিক জায়গাতেই ছিলো। মুর্তিটা সরে গেছে রাতে। পরদিন সরে যাওয়াটা বুঝতে না পারলেও ওর কাছে খটকা লাগে যে কোথাও একটা অসামঞ্জস্যতার সৃষ্টি হয়েছে। রুদ্রকে ওভাবে ঝুকে থাকতে দেখে আবুল অবাক হয়ে বললো- কি দেখছিস ওভাবে?

রুদ্র সোজা হয়ে বললো- খুব সম্ভব এই মুর্তির নিচে একটা গুপ্ত কক্ষ আছে।

- কিভাবে বুঝলি?

- তোকে তো বলেছিলাম, এই মুর্তির পিছনে লুকিয়ে গোপাল ঠাকুরের সাথে কালি মা হয়ে আমি কথা বলি। আর লাঠি দিয়ে শব্দ করে তাকে বুঝিয়ে দেই তার কালি মা চলে গেছে।

- হ্যা, মনে আছে।

- অন্ধকারে সেই লাঠির আঘাত এমন জায়গায় লাগে যে জায়গায় আঘাত করলে মুর্তি সরে গিয়ে গুপ্ত কক্ষে ঢোকার পথ উন্মুক্ত হয়ে যায়। রুদ্র মুর্তির নিচে টর্চের আলো ধরে আবার বললো- কিন্তু বহুদিন কেউ মুর্তি সরিয়ে গুপ্ত গুহার পথ না খোলায় আমার সেদিনের লাঠির আঘাতে মুর্তিটা শুধু সামান্য সরে যায়।

আবুল প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে টর্চের আলো অনুসরন করে মুর্তির নিচে তাকালো। হ্যা, সত্যিই তো! মনে হচ্ছে মুর্তিটা আগের জায়গায় নেই। যেখানে থাকার কথা সেখান থেকে একটু বেকে সরে এসেছে। আবুল আরো উত্তেজিত হয়ে বললো- তুই কি ভাবছিস চন্দ্রকে কিডন্যাপ করে এই গুপ্ত কক্ষে আটকিয়ে রাখা হয়েছে?

- পাগল! আমার সেদিনের লাঠির আঘাতের পর এই মন্দিরে কেউ ঢোকেই নি।

- তাহলে চন্দ্রকে না খুজে তুই এই গুপ্ত কক্ষের সন্ধানে কেন এসেছিস?

- কারন এটা আমার লাগবে।

- কেন?

রুদ্র আবুলের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বললো- আয়, আমরা এবার চেষ্ঠা করে দেখি কোন্ জায়গায় আঘাত করলে মুর্তিটা সরে গিয়ে গুপ্ত কক্ষের পথ উন্মুক্ত হয়।

এরপর লাঠি দিয়ে মুর্তির পিছনের বেদিতে ওরা আঘাত করতে শুরু করলো। বিভিন্ন স্টাইলে বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক আঘাত করতেই থাকলো। মুর্তিকে বিভন্ন ভাবে ঠেলাঠেলি করলো কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। রুদ্র মুর্তির নিচে ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করে বিভিন্ন ভাবে চেষ্ঠা করলো। এভাবে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে চেষ্ঠা করেও যখন কিছু হলো না তখন আবুল নিরাশ হয়ে বেদির উপর বসে পড়ে বললো- এ মুর্তি নড়বে না। ওটা এখন যেভাবে আছে আগেও সেভাবেই ছিলো। তোর লাঠির আঘাতে মুর্তি সরে নি।

রুদ্র আবুলের পাশে বসে বললো- এটা হতেই পারে না। মুর্তিটা যে তৈরি করেছে দেখেই বোঝা যায় তার শৈল্পিক গুন যথেষ্ট ভারি। তার মতো এক জন দক্ষ শৈল্পিক কারিগর কখনোই মুর্তিকে এমন বাকা ভাবে স্থাপন করবে না।

- বাকার মাঝেও শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য থাকে। হয়তো সে বাকাটাকেই সুন্দর মনে করেছে।

রুদ্র আবুলের যুক্তি খন্ডন করে বললো- বাকাকে যখন কেউ শৈল্পিক ভাবে ফুটে তোলে তখন বাকাটাকে তারা গোপন করে না বরং দর্শনিয় করে ফুটে তোলে। কিন্তু মুর্তিটা এখন যেভাবে আছে তাতে তার বাকাটা বোঝাই যাচ্ছে না। আমি সন্দেহ করেছি জন্যই এটা ধরতে পেরেছি। এটা কোন শৈল্পিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পড়ে না। যদি মুর্তিটা এমন ভাবেই স্থাপন করা হয়ে থাকে তাহলে সেটা অদক্ষতার অভাব। কিন্তু মুর্তিটা দেখেই বোঝা যায় এটা যে তৈরি করেছে তার মধ্যে দক্ষতার কোন অভাব ছিলো না।

- যদি সেদিন তোর লাঠির আঘাতেই মুর্তিটা সরে গিয়ে থাকে তাহলে আজ এতো আঘাতেও মুর্তিটা একটুও সরলো না কেন?

- সেটা আমাদের দোষে। আমরা নিশ্চয়ই কোথাও ভুল করছি। যারা গোপন কক্ষটা তৈরি করেছে তারা নিশ্চয়ই চাইবে না যে কেউ একটু আঘাত করলেই মুর্তিটা সরে গিয়ে গোপন কক্ষ উন্মুক্ত হোক। এখানে নিশ্চয়ই একটা কৌশল আছে। যে এই কৌশলটা জানবে এক মাত্র সেই শুধু গোপন পথটা খুলতে পারবে। আর আমার লাঠির আঘাতটা সেদিন অজান্তেই সেই কৌশলটাকে অনুসরন করেছিলো।

- সে কৌশলটা কি হতে পারে?

- হতে পারে আঘাতের পরিমাপ, হতে পারে নির্দিষ্ট কোন বিন্দুতে চাপ, হতে পারে নির্দিষ্ট কোন অ্যাঙ্গেলে আঘাত কিংবা সবগুলো এক সাথে। আমাদের সেটা খুজে বের করতে হবে। বিক্ষিপ্ত ভাবে আঘাত না করে এবার আমরা একটা সুত্র ধরে আঘাত করবো। আয়, প্রথমে আমরা আঘাতের কম বেশি করে শুরু করি।

- নে, তাহলে আবার শুরু করি। কিন্তু এই গুপ্ত কক্ষে কি থাকতে পারে? কোন গুপ্তধন পেতে পারি?

- সেটা গুপ্ত কক্ষ আবিষ্কার না করা পর্যন্ত কি করে বলা যায়?

ওরা আবার শুরু করলো। প্রথমে আঘাতের কম বেশি করে। তারপর বিভিন্ন অ্যাঙ্গলে। আধা ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্ঠা করার পর হঠাত ওদেরকে অবাক করে দিয়ে মুর্তিটা আচমকা একটু সরে গেলো। আবুল উল্লসিত হয়ে চিতকার করে উঠলো- ইউরেকা!

কিন্তু তারপরের আঘাতে মুর্তিটা আর নড়লো না। ওরা শুধু এটুকু ধরতে পেরেছে- মুর্তিটার ডানপাশের যে জায়গাটা বেদিতে লেগে আছে ঠিক সেই জয়েন্টে একটা নির্দিষ্ট অ্যাঙ্গেলে আঘাত করতে হবে। আরো বেশ কিছুক্ষন চেষ্ঠার পরে মুর্তিটা আবার একটু নড়ে উঠলো। তারপর আরো কয়েকবার চেষ্ঠার পরে সুত্রটা ধরে ফেললো ওরা। মুর্তিটার পিছনের ডান পাশের কোনাটা বেদির সাথে যেখানে লেগে নব্বই ডিগ্রি কোণ উৎপন্ন করেছে একদম সেই কোণ বরাবর আঘাত করতে হবে এবং যা দিয়ে আঘাত করতে হবে সেটা বেদির সমতল পৃষ্ঠ হতে আশি থেকে পচাশি ডিগ্রি কোনে থাকতে হবে। একটা কাঠি দিয়ে বেদি থেকে লাঠির দুরত্ব মেপে ওরা ধরে ফেললো আশি থেকে পচাশি ডিগ্রির চেয়ে বেশি বা কম পার্থক্য হলে যতোই যা করা হোক না কেন মুর্তি এক চুলও নড়বে না। এমন একটা বিষয় আবিষ্কারে চরম উত্তেজিত হয়ে উঠলো আবুল। উত্তেজনায় ও ভিতরে ভিতরে খই ফোটার মতো ফুটতে লাগলো। কিন্তু রুদ্রের ভিতরে কোন ভাবান্তর হলো না। ও জানতোই এমনটা হবে, হতেই হবে।

এরপর এই সুত্র ধরে আরো কয়েকবার আঘাত করার পরে মুর্তিটা বাম দিকে পুরোপুরি সরে গেলো। আর মুর্তির নিচে ওদের সামনে ঘোড়ানো সিড়ির একটা পথ উন্মুক্ত হয়ে গেলো। সিড়ির পথটা হারিয়ে গেছে নিচের অন্ধকার গহ্বরে।

চলবে.....

পর্ব - ১১
পর্ব - ০৯
চন্দ্র উপন্যাসের ভুমিকা ও পর্ব সমুহের সুচিপত্র
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৩
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×