আমি কেনো ব্লগ লিখি না
আমি কেনো ব্লগ লিখি না? এই কৈফিয়ত আমার কাছ থেকে কেউ চায়নি। তবুও ব্লগার আন্দোলনের এই আগুন ঝরা দিনে নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করি আমি কেনো ব্লগ লিখি না? ২১ শে ফেব্রুয়ারির এই প্রথম প্রহরে নিজেকেই কৈফিয়ত দেয়ার জন্য বসলাম। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আমি সামহোয়ারইনব্লগে লিখতাম। সামাজিক অনেক সমস্যা নিয়ে মুলত লিখতাম। তখন দেখতাম এসব লেখায় কোনো সাড়া নেই। বরং রাজনীতি আর আস্তিকতা নাস্তিকতা নিয়ে কেউ একটা পোস্ট দিলেই হুমড়ী খেয়ে পড়তো সবাই। আমি অবাক হয়ে খেয়াল করলাম- অধিকাংশ ব্লগ ও মতামতে যুক্তির চেয়ে গালাগালির ধার অনেক বেশি। অশ্রাব্য, অলেখ্য, অপাঠ্য, অকথ্য ভাষায় ব্লগাররা লিখছেন। প্রতিপক্ষরাও কম যাচ্ছেন না। বাংলা বানানেও অমার্জনীয় ভুল। তখন মনে হতো বাংলা ভাষাকে আমরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছি। আরো অবাক হলাম গত কয়েকদিন আগে দেখলাম- বাংলানিউজ২৪.কমে মুক্তকলামে একজন লিখেছেন এসব শব্দ ডিকসনারীতে স্থান দেয়া হোক। যাই হোক বাংলা ভাষার এই অপব্যবহার আর অশ্রাব্য গালাগালি দেখে আমি হাত গুটিয়ে নিয়েছি। আবারো বলছি.. আমি কোনো পাঠককে এই কৈফিয়ত দিতে চাইনি। ২১ শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে নিজেকে এই কৈফিয়ত দিয়ে শান্তনা দিলাম আর কি।
পূনশ্চ: ইংরেজি ভাষায় হরমামেশা 'ওহ শিট' বলা হলেও বাংলায় তার প্রতিশব্দ 'গু, মল, হাগু' এসব ব্যবহার হয় না। কারণ বাংলা ভাষা অনেক ভদ্র ভাষা।