আর সবকিছুর পরও কবিতার সাথে বৃষ্টির সম্ভাবনা তো থাকছেই।
এমন সম্ভাবনাকে পাশে রেখে কবিতা রেলগাড়ির পথ বেড়ে চলে নিরন্তর। আমাদের নদীগুলোকেও বহমান রাখার জন্যও তাই কবিতা খুব বেশি দরকারি মনে হয় আমার কাছে।
যে দেশে শুধু নদী শুকিয়ে যায়Ñ আমি বুঝে নেই সেই দেশে শুকনো অথবা বিবর্ণ কবিতা হচ্ছে অথবা কবিতার অমাবস্যা চলছে সেই দেশে। আবার কোনো দেশে কোনো স্থানে কোনো একটি দিন কবিতাহীন কেটে যায় এমনটি ভাবা আমার পক্ষে বেশ কঠিন। ভাবনাটা ত্রুটিপূর্ণ বলেও মনে হয়।
এমনই যখন আমার কবিতা নিয়ে ভাবনাÑ তার রূপটাতো তো এমনই হবে। কবিতায় দার্শনিকতা অথবা দার্শনিক কবিতা অথবা সান্ধ্যকালীন চা-সিগারেট মার্কা কথাবার্তা শহরের কোনো এক মোড়ে অথবা মার্কেট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ কোনো ডোবাÑ এই জলে কিছুই করা যায় না।
কবিতা এমন না। কবিতা আরো বিস্তীর্ণ মাঠ আর বিপুল জলরাশি।
কবিতার রঙ বিষয়ে যদি আমাকে বলা হয়Ñ আমার মনে হয় কবিতার রঙ অপরাজিতার মতোÑ একেবারে ঠিক তেমন না, তবু তার অনেকটা কাছাকাছি।
পৃথিবীর প্রায় সব শহরের কোনো একটা মোড় অথবা কোনো একটা মার্কেট বা কোনো কফি হাউস কবিতার জন্য বিশেষ হয়ে ওঠে।
সেখান থেকে কবিতার নানা অর্থ উৎপাদিত হতে থাকে
আমি কবতিার বধ্যভূমেতে বেড়ে উঠি
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




