বঙ্গবন্ধু একদা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন ।যে বেড়া তিনি দিয়েছেন সেই ঘেড়াও অর্থাত বেড়াই তার উৎপাদিত ফসল খেয়ে ফেলছে।তা প্রতিরোধের প্রচেষ্টা তিনি করেছিলেন।কিন্তু আস্তিনের নিচে লুকিয়ে থাকা যে সর্প ছিল তার মস্তক কুচলে দিতে তিনি পারেন নাই।অর্থাৎ তার মিশনটি ছিলো অসমাপ্ত।এই ভুলের খেসারত তাকে দিতে হয়েছে জিবন দিয়ে।আন্তর্জাতিক অপশক্তি আর ৭১-এর পরাজিত শক্তি ইন্ধন দিয়েছিলো সেই পৈশাচিক হত্যাকান্ডে। বাংলাদেশকে ব্যার্থ করে দিতে সচেষ্ট শক্তি ডাল পালা গজিয়ে দির্ঘ ২২টি বছর ধরে ভুতের পায়ে হাটিয়ে নিয়ে গেছে তারা।যুদ্ধাপরাধের বিচার করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলার সুযোগ নেই এখনও। শেকড় এতটাই গভীরে চলে গেছে যে তারা এখন আওয়ামি লীগের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। এখন আর অন্য দলের উপড় সওয়ার হয়ে নেই। বাগিয়ে নিয়েছে আওয়ামি লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠণের বড় বড় পদ।এই সুযোগ করে দিয়েছে উমিচাঁদ ও জগত শেঠের মত আওয়ামি লীগাররা।যাদের মূল কাজ হলো অবৈধ ব্যাবসা। রাজনিতীটা তাদের কাছে এক প্রকার ব্যবসাই।মুনাফার জন্য তারা মির্জাফরের ভুমিকায় অবতির্ন হবে এটা খুবই স্বাভাবিক।বর্তমান পরিস্থিতির সঠিক বিবেচনা করতে ভুল করলে আর রক্ষা নেই।
মাননিয় প্রধানমন্ত্রি যে ডাইভ দিয়েছেন সেটা অসমাপ্ত রাখার কোন সুযোগ নেই। তিনি যদি ব্যার্থ হন এই যাত্রায় তাহলে বাংলাদেশ হবে মদ,জুয়া ও জঙ্গীবাদের চারন ভুমি।ফেইল স্টেটের পথে যাত্রা সুগম হবেই হবে.।যতটুকু অর্জণ তিনি করেছেন তার চাইতে বহুগুণ অতলে চলে যাবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।তিনি যদি বেঈমান মোস্তাকের কথা স্বরণে রাখেন তাহলে কঠোর হতে সুবিধা হবে।আমার ধারনা হতবাক করে দেওয়ার মত ঘটনা দেখতে হতে পারে শেখ হাসিনাকে।আজকের শেখ হাসিনা যে কোন পরিস্থিতি সামলানোর মত ক্ষমতা রাখেন । এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।বর্তমান বিশ্বে দশজন নেতার মধ্যে তার অবস্থান অবধারিত। এটা তার নিন্দুকেরাও খুব ভালো করেই জানে।সততার সঠিক প্রয়োগে নিষ্ঠুরতার কোন বিকল্প নেই । হয় সৎ নাহয় অসৎ- মাঝামাঝি কিছু নেই।বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার যে সংকল্প মাননিয় প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন ।তার সঠিক সমাপ্তী তখনই সম্ভব যখন জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত হবে। যা শুরু করেও শেষ করা হয়নি তা শেখ হাসিনাকেই শেষ করতে হবে।আশা করি তিনি সফলতার সাথেই তা করতে পারবেন।যদি তিনি সত্যিই বিশ্বাস করন তার চাওয়া ,পাওয়া ও হারানোর কিছু নেই। যে কথাগুলো তিনি অহরহই বলে থাকেন।এখনই সঠিক সময় তা সাধারণ মানুষের কাছে প্রমাণ করে দেওয়ার।
যদি তিনি অমর হয়ে থাকতে চান এটাই সুযোগ।বাংলার মেহনতি জনতা আজিবন কৃতজ্ঞ থাকবে তার কাছে।আমি বিশ্বাস করি তিনি সফল হবেন ইনশা-আল্লাহ্ ।ব্যার্থতার কোন সুযোগ তার নেই ,তিনি ব্যার্থ হলে বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডের অস্তিত্য বিলিন হওয়াটা হবে শুধুই সময়ের ব্যাপার।
জয় বাংলা ,বাংলার জয় ।
জয় বঙ্গবন্ধু।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২৮