আমাদের শুধূ ফাঁকা বুলি আর বড়াই করা স্বভাব হয়ে দাড়িয়েছে।গার্মেন্টস ব্যাবসায়ীরা অনবরত বড়াই করে তারাই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে।তাই তাদেরকেই সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া অত্যাবশ্যক।মানলাম আপনাদের বড় ভুমিকা আছে দেশের অর্থনীতিতে।এর জন্য সবচাইতে বেশি সুযোগ সুবিধাও নিয়ে থাকেন।প্রথমেই আসে অর্থনৈতিক সুবিধা সবচাইতে বেশি গ্রহণ করে এই সেক্টর ।এবং এর মাধ্যমে লুটপাটও বেশি করে এরাই।এই কথাগুলো কি কখনও বলে গার্মেন্ট সেক্টরের মালিকরা?
করোনার দুর্যোগ'তো হঠাৎ করে শুরু হয়নি। শুরু হয়েছে মূলত আমাদের যারা বায়ার সেসব দেশেই প্রথমে।তো-এটা'তো কমনসেন্সের ব্যাপার যে এর ধাক্কা আমাদের গায়ে এসে লাগবেই লাগবে।কারন মানুষের কাছে'তো কাপড়ের চাইতে খাদ্য ও ঔষধের গুরুত্ব আরো বেশি জিবন ধারনের জন্য।গবেটের মত শুধু সার্ট/প্যান্ট সেলাই করেই যাচ্ছি।পৃথিবির কোথায় কি ঘটছে তার কোন হদিস নেই আমাদের ।এটা কি গ্লোবাল চিন্তাভাবনা হোতে পারে! চায়না যখন এই মরণ ব্যাধির সাথে যুদ্ধ করছে তখন তারা স্টেপ নিয়েছে কারখানা চালু রেখে পিপিই,মাস্ক,গ্লোভস ,সেনিটাইজার ,হ্যান্ডসোপ সহ যাবতিয় প্রয়োজনিয় সামগ্রি উৎপাদনের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে।সেটুকু কি লক্ষ করা খুব কঠিন ছিলো।এমনকি সৌজন্যমূলক কিছু পাঠালামও আমরা।তখন কেনো এই চিন্তা আসলোনা এগুলো এখন হট আইটেম ।জিবন বাচানোর জন্য।এগুলো আমাদেরও দরকার হবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।আসলে আমরা মুখে মুখে মানবতা আর সচেতনতার কথা বলি অনবরত । কাজের বেলায় লবডংকা। পৃথিবি মধ্যে আমরা ২য় গার্মন্টস সাপ্লাইয়ার অথচ এই শিল্পের প্রচুর অবদান রাখার কথা করোনা পরিস্থিতিতে ।আমরা কি শুণ্য দশমিক এক পার্সেন্ট অবদানও রাখতে পারছি !
আল্টিমেটলি আমরা ঐ চিন্তাভাবনার ধারে কাছেও না গিয়ে সরকারের কাছে এখনি আবেদন করে রাখছি আমাদের প্যাকেজের জন্য।আবার সেই প্যাচাল আমদেরকে বাচান তা'নাহোলে দেশের চৌদ্দদটা বেজে যাবে।এক মাসের বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই যে শিল্পের তাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়াই উচিত।বছরের পর বছর ব্যাবসা করে কি উদ্ধার করলেন তাহলে ! একটি ধাক্কাও সামাল দেওয়ার সামর্থ্য আপনাদের নেই।সরকারের সাহায্য ছাড়া।আরে ভাই সরকার তাহলে অন্যান্যদের কিভাবে সাহায্য করবে এটা কি ভেবেছেন কখনও ?
বাংলা দেশে নাকি লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার।সব সময় শুধু চাকুরীর জন্য হাহাকার শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা।এই আপনাদের শিক্ষার নমুনা।শিক্ষা গ্রহণ করে তার প্রয়োগ কোথায় ! সেটা কি শুধু চাকুরীর ক্ষেত্রেই দেখাবেন ? কবে একটি চাকুরি পাবেন তারপর আপনার মহামূল্যবান মেধা দিয়ে দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করবেন। কি করেছেন এই দুঃসময়ে দেশ ও মানুষের জন্য।সাহায্য করার জন্য শুধু টাকা পয়সাই লাগেনা।ইচ্ছা থাকলে মেধা ,বুদ্ধি ও শারিরিকভাবেও অবদান রাখা যায়।এই পর্যন্ত ব্যাক্তি উদ্দোগের ব্যাবহার দেখে আমি খুবই হতাশ।গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছাত্র ছাড়া কাউকেই এগিয়ে আসতে দেখিনি।আপনরাতো কিছুটা দায়িত্ব নিয়ে অল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত জনগোষ্ঠিকে সচেতন করতে পারতেন।কিভাবে করবেন নিজেরাই'তো সচেতন নন।সম্মিলিতভাবে শৃখলা রক্ষায় অনেক অবদান রাখার সুযোগ আছে।এমনকি ডেলিভারির মাধ্যমে মানুষের পাশে গিয়ে দাড়াতে পারতেন।এলাকাভিত্তিক দরিদ্র মানুষের দায়িত্ব নিতে পারতেন।যে বিশৃংখলা দেখছি সেটাই কিন্তু করোনার সবচাইতে বড় বিপদ।আপনারা হোতে পারতেন সংযোগের সেতু।সবাইকে সাথে নিয়ে অনেক কিছুই করা যায়।সেটা না করে এখনও পাড়ার টং দোকানে গাদাগাদি করে চলছে শুধুই অনর্থক সরকারের সমালোচনা।যে কোন দুর্যোগে নিজের চারপাশের মানুষ'কে সাহায্য করতে পারলে আর কিছুই দরকার হয়না।এতেই সবাই মনে সাহস নিয়ে ঘুড়ে দাড়ায়।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০০