কে কিরূপে হয় ভদ্্রযোনী?
কে হয় গো রাঢ় দিদিমনি?
সতীচ্ছদ ছিন্ন করা শিশ্ন সে অর্থে একটা সীমানা, আসমাজযোনী প্রাচীরের এপাশে ভদ্্রযোনীরা থাকে অন্যপাশে রাঢ়ের বসবাস। এবং উভয়েই একই ভঙ্গিতে ব্যাবহৃত হওয়ার প্রতীক্ষায় থাকে তাবত কিশোরীকাল।
বস্তুত পাশাপাশি বসে থাকে রাঢ় ভদ্্রযোনী শব্দ কয়টি পাওয়া মাত্রই হূররে করে যে লাফ দিতে ইচ্ছা করেছিলো এই পর্যায়ে এসে সেই উল্লাস নিভে যায়-এই রাঢ় আর ভদ্্রযোনী নিপাট নিরীহ 2টা শব্দ হলেও একটা স্পষ্ট সামাজিক বিভাজন ধারন করে- সেই গল্পটা এই শব্দদ্্বয়ের ডানায় ভেসে ওহী নাজেলের মতো নাজেল হলো ভেবে উল্লাসিত ছিলাম কিছু ক্ষণ- তবে ভুল ভাঙ্গলো সহসাই- শুধু এই শব্দদ্্বয়ের সাথে অনিবার্য চলে আসলো প্রশ্নটাও কে কিভাবে নির্ধারন করে কে রাঢ়ের ভুমিকায় এবং কে ভদ্্রযোনীর ভূমিকায় থাকে- ভদ্্রযোনী এবং রাঢ় দুজনেই ব্যাবহৃত হয়। একই কায়দায় ব্যাবহৃত হওয়ার অপেক্ষায় থাকে হয়তো। সেই আকাংক্ষিত শিশ্ন যার ভেদন ও ছেদন ক্ষমতা অসীম, যার ছেদনে এই সীমারেখা নির্ধারিত হয়। এই একটা শিশ্নের প্রতীক্ষায় সতীচ্ছদ অক্ষুন্ন রাখা, কিংবা প্রত্যাশিত জলের প্রতীক্ষা- অনেক আগে কোন এক দিদি মা'র মুখে শোনা কথাটা, যা সেই বয়েসে নিতান্ত অশ্ল ীল উত্তেজক মনে হয়েছিলো সেই বিয়ের জল গায়ে পড়লেই চামড়া টানটান হয়ে যাওয়ার অর্থটা বুঝতে পারি নি, তেমন ভাবেই বোঝা হলো না হঠাৎ পড়া জল খসার শব্দ শোনার বিষয়টা।
শব্দের যেমন ধর্ম থাকে তেমনই যৌনাঙ্গ থাকে, ধন্য বাংলাভাষা যৌনাঙ্গসমেত কোনো ক্রিয়াপদ নেই তবে ভাববিশেষ্য এবং ভাবক্রিয়াপদে হাবেভাবে যৌনাঙ্গ চলে আসে- সেই সাথে শব্দের সামাজিকতাও চলে আসে। যৌনকাতরতাস্পষ্ট থাকে কিছু শব্দগুচ্ছে- এবং যেহেতু শব্দের সামাজিক প্রতিক্রিয়া থাকে এবং শব্দের সাথেই মনস্তত্ত থাকে তাই সঙ্গম পুরুষালী হয়ে যায়- নারীর ভূমিকা শুধু সঙ্গতে- যেমন তানপূরা- তাই তৃষ্ণার তানপূরায় লিখিত আছে নারীর নাম- নারীর জন্য তুলে রাখা শোভন শব্দগুলো অবগাহনের মতো ধন্দময় প্রপঞ্চ আনে। কোথায় অবগাহন-কিসের অবগাহন-কি অর্থে কোথায় বয়াবহৃত হবে- এর সাথে চলে আসে শব্দকারিগর নারীর কথা- ভাবনার সুতো থাকে- সে সুতোটে জট থাকে, একটা থেকে অনায়াসে অন্যটাতে লাফ দিয়ে চলে যাওয়ার পর মনে হয় ভুল সাঁকো পর হয়ে ভুল গ্রামে চলে আসেছো, আদমসন্তান তোমার প্রকৃতি ডাকে-শব্দকারিগর নারী কি নারীর চোখে পৃথিবী দেখে নাকি পুরুষের চোখে পৃথিবী দেখে- এই একটা আলোচনা পর্যালোচনায় কাটিয়ে দেওয়া যাবে অনন্তকাল- আমার জলে স্লান করো এসে জাতীয় শব্দগুচ্ছেও সেই শালীনতার মায়া মাখানো। মায়া সে অর্থে আদর বা কোমলতা নয়, ধন্ধার্থে মায়া।
সেই চিরন্তন প্রশ্নের সামনে, নরীর সামাজিক ও ধর্মিয় ব্যাবহার, কে নির্ধারন করে এই শব্দ
দেয়াল এবং আবরন তোলে কিভাবে শব্দগুলো। শব্দ শুধু অক্ষরের সহবাস নয়। শব্দের পেছনে ইতিহাস থাকে, শব্দের আগায় থাকে বিষ, মাঝে মাঝে বিদ্ধ করে-মাঝে মাঝে আদর মাখানো শব্দেরাও থাকে। তেমনই অনর্থক শব্দের শীৎকার থাকে, মানুষের জিহবায় ভর দিয়ে থাকে অর্থ ও অনর্থেরা। তাই একটা রাঢ় বা একটা ভদ্্রযোনী নিরীহ নিপাট কয়েকটা অক্ষর না, অক্ষর হয়ে থাকেও না- এটা একটা দেয়ালের এপার ওপার, যার এপাশে থাকে শালীন শোভন নারী অন্য পাশে কামার্ততা থাকে। একপাশে অবগাহনের লোভ অন্যপাশে থাকে গমন- অবগাহনের মতো সুখ থাকে না সেখানে- নিতান্ত কাজের প্রয়োজনের-
মানে দেয়ালের এপাশটাতে থাকে খুনসুটি সমেত লজ্জা এবং শালীন সঙ্গমদিন অন্য পাশে থাকে প্রয়োজন এবং দায়মোচনের রাত।
এই সংবাদ বহন করে এই নিরিহ শব্দ দুটি- আর বিভাজন করে কারা? কারা দাগ কেটে বলে দেয় এই পাড়ের আমরা ভদ্্রযোনি অন্য পাড়ে তোমরা রাঢ়-
এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় না-
কয়েকটা কথায় কি আর সহস্রাব্দের চেয়ে প্রাচীন ভাবনাকে বলে দেওয়া যায়? ভাবনারও অক্ষমতা থাকে। সেই যোগ্য প্রশ্ন করতে না পারার ব্যার্থতা থাকে আর তাই কখনই সত্যটা প্রকাশিত হয় না।
পুরুষের কামভাব জাগরুক হবে তাই আবৃত হয়, যেয়ো না নিশীথে জলের ঘাটে, একলা দুপুরে ভেজা গায়ে ফিরো না ঘাট থেকে, নিপাট মাঝিও নৌকায় ঘুর্নি তুলে নিয়ে যায় নির্জনে। এসব খুনসুটির কথা- দুজনের ভাবভালোবাসা। তবে অবগাহনের কাল শেষ হলে পুরুষ শিশ্ন দিয়ে দেয়াল ভেঙে চুড়ে অনায়াসে হয়ে যেতে পারে শালীনতার প্রতিমা আর অন্য পুরুষ সাথে নিয়ে না গেলে নারী এপাশেই পড়ে থাকে রাঢ় হয়ে অগনন শীত রাত্রির শেষে খরকুটোর প্রত্যাশায়।
[ুরুষের কামনা নিবৃত করার মতো কোনো পোশাকের উদ্ভাবন হয় নাই, নারী সমস্তটাই একটা যোনী হয়ে রাস্তা হাঁটে,উনুনে আঁচ দেয়। স্লান ঘাটে যায়, মাথায় চুঁড়ো বেধে ফিরে আসে
পাশাপাশি বসে থাকে রাঢ় ভদ্্রযোনী,
কে কিরূপে হয় ভদ্্রযোনী ?
কে হয় গো রাঢ় দিদিমনি?
সতীচ্ছদ ছিন্ন হলে
যোনীর শোনিতে গাঁথা সীমানাপ্রাচীর
আমার দুপায়ের ফাঁকে জন্মায় কোন এক অন্ধকার রাতে
এবং তার ওপাশে বসে থাকে তাবত ভদ্্রযোনী আঙ্গুল দেখিয়ে হাসে কদর্য উল্লাসে
শুধু পবিত্র শিশ্ন পারে সে প্রাচীর ভেঙে আমাকে আবার তোমাদের মহল্লায় তুলে নিয়ে যেতে
(শিশ্নের অসীম ভেদন ও ছেদন ক্ষমতা থাকে, অভেদ বিভেদ সব মুছে দিতে পারে)
আবরন আভরনে মুড়ে ফেলে দেহ প্রতীক্ষা করো আকৈশোর ,পবিত্র শিশ্ন কামনা করো, প্রত্যহ স্লান ঘরে পরিমাপ ভাঁজ খাঁজআর শঙ্কিত দিবসযাপন।
সতীচ্ছদ সীমানা প্রাচীর যোনী থেকে খসে পড়লেই রাঢ় আর ভদ্্রযোনীর সীমানানির্ধারন হয়, বীর্যবন্যা ঠেকানোর প্রাচীর এভাবেই ডান ও বামে ভাগ করে একপক্ষকে প্রাধন্য দেয় অন্যপক্ষের উপরে।
এবং আমরা চিহি্নত করতে পারি, আসলে করে ফেলি অনায়াসে,
কিভাবে কেনো করি এ প্রশ্নের উত্তর যে করে তার কাছে আছে।
অসম্পুর্ন যেহেতু কোনো ব্যাবস্থা নেই সংরক্ষনের তাই অসম্পুর্ন হলেও তুলে রাখতে হয় নিজের পাতায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


