###
প্রথমে আমরা চুম্বক পাহাড় সম্পর্কে জানবো! ### আমাদের সকলের কমবেশি জানা থাকার কথা সামুদ্রিক কিংবদন্তিতে অসংখ্যবার উঠে এসেছে এই চুম্বক পাহাড়ের কথা। এর আকর্ষণে ### নাকি নাটবল্টু আর লোহালক্কড় খুলে বেরিয়ে জাহাজডুবে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটে। তেমন পাহাড়ের অস্তিত্ব সমুদ্রে রয়েছে কিনা জানা নাই তবে জমিনের ওপরে যে অন্তত একটা স্থান আছে আর সেটা আছে ভারতেই।লাদাখের একটি পাহাড়কে চুম্বক পাহাড় বলে ডাকা হয়। না এর সেই কিংবদন্তির সামুদ্রিক পাহাড়ের মতো বিধ্বংসী ক্ষমতা নেই।তবে এই পাহাড় যেটা করে থাকে সেটাও কম আশ্চর্যের না। এই পাহাড়ের চূড়ার দিকে যে সড়ক চলে গেছে তা বরাবর গাড়ি চালিয়ে যেতে যেতে যদি কেউ গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে দেন এবং গিয়ারকে নিউট্রাল পজিশনে রাখেন তবে দেখা যাবে সেই গাড়ি খাড়া রাস্তা বেয়ে নিজে নিজেই চলতে শুরু করেছে। এবং তার গতি নেহাত মন্দ নয়। ২০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা বেগে সেই গাড়ি উপর দিকে ধাবিত হতে থাকবে। এহেন মজার কারণে ম্যাগনেটিক হিল আজ একটি জনপ্রিয় পর্যটনক্ষেত্র।কিন্তু আসলে সেখানে আদৌ কোনও চুম্বক পাহাড়ের অস্তিত্ব নেই। ওই এলাকায় যা ঘটে, তা একেবারেই দৃষ্টিভ্রম। ওই স্থানটিতে পাহাড়, রাস্তা ইত্যাদি এমন ভাবে অবস্থিত যে, এলাকাটিকে খাড়াই বলে মনে হয়। আসলে রাস্তাটি সমান্য উৎরাই-যুক্ত। সেই ঢালু পথ বেয়েই নিউট্রাল গিয়ারে থাকা গাড়িটি গড়াতে থাকে। দৃষ্টিবিভ্রমে মনে হয়, তা খাড়াই বেয়ে উপরে উঠছে । তবে ২০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা বেগে গাড়ি উপর দিকে ধাবিত হওয়ার কারণেই কিন্তু ম্যাগনেটিক হিল আজ বেশ জনপ্রিয় একটা পর্যটনক্ষেত্র।
মাউন্ট রোরাইমা বা টেপুই রোরাইমা ভেনিজুয়েলার ৩০,০০০ বর্গকিলোমিটার ১২,০০০ বর্গমাইল দূরে ক্যানাইমা জাতীয় উদ্যানের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে গায়ানা শিল্ডের উপরে এটি অবস্থিত ।রোরাইমা পর্বতের উপরে অনন্য প্রাণীর একাধিক উদাহরণ রয়েছে। ওরিওফ্রিনেলা কোলেচি, সাধারণত রোরাইমা বুশ টোড নামে পরিচিত, এটি একটি ডোরালাল টড যা সাধারণত খোলা শিলা পৃষ্ঠ এবং গুল্মভূমিতে দেখা যায়।খুবই দুর্গম আর মেঘে আবৃত-ভেজা রহস্যময় টিপুই পর্বত বা মাউন্ট রোরাইমা। এমনকি এখানে শুকনো মৌসুমে এই মাউন্ট রোরাইমা মেঘে ঢাকা থাকে। ১৫৯৬ সালে প্রথম মাউন্ট রোরাইমা প্রথম ভূ-বিজ্ঞানীদের নজর কাড়ে। ৩১ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান আর চারদিক ৪০০ মিটার লম্বা ক্লিফ দ্বারা বেষ্টিত এই পর্বতমালার অবস্থান তিন দেশের সীমান্তে ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল আর গায়ানা। কিন্তু একমাত্র ভেনিজুয়েলা সীমান্ত দিয়েই এই দুর্গম পর্বতে প্রবেশ করা যায়।
অনেকের মতে ‘ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী’ বিশ্বের সবচেয়ে গোপন জায়গা। এই জনমানবহীন উপত্যকাটি বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমির একটি এবং সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক জায়গা। এন্টার্কটিকার বরফ ও তুষারের মধ্যস্থলে অবস্থিত হলেও প্রতিবছর এখানে মাত্র ৪ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়।তবে এখানে কিছু শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ দেখা গেলেও কোন বড় গাছপালা নেই। বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবী এই স্থানটির সাথে অদ্ভূত ভাবে মিল আছে মঙ্গল গ্রহের পরিবেশের সাথে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩০