somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিচূর্ণ আয়নায় নিজেদের মুখ?

১৩ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিশাল সমাবেশ করল বিএনপি। আরও বিশাল করবে আওয়ামী লীগ। দলীয় নেতা কর্মী, যারা দল ক্ষমতায় গেলে লাভবান হবে, এরা ছাড়াও নিশ্চয় আরও বহু লোক এসব সমাবেশে আসছে। কেন আসছে/আসবে? এত সচেতন এরা? কিসের জোরে এরা আসছে সবাই জানি। একেক জন হয়ত একেক রকম মূল্য পাবে। কেউ নগদ, কেউ অন্য কোন সুবিধা।

সকাল-বিকাল রাজনৈতিক নেতাদের গালি দিই, কিন্তু একি নেতা যখন আমার ভাইয়ের শ্যালিকার শ্বশুরের বড় ভাইয়ের মেঝো জামাতা, তখন তার কাছ থেকে সুবিধা নিতে কিংবা পাবলিকের সামনে কিঞ্চিৎ গর্ব ভরে ‘আরে উনি তো আমার আত্মীয়’ বলতে লজ্জা করে না।
এলাকার গডফাদার (প্লাস কোন বড় দলের স্থানীয় নেতা) যখন এলাকার বুড়া চাচা মিয়ারে নির্বাচনের আগে আগে এসে বুকে জড়িয়ে ধরেন, তখন চাচা মিয়া ভাবেন, আহ! কত বড় কলিজার মানুষ। আমারে বুকে জড়িয়ে ধরছে। ভোটটা উনারেই দিই।
এখানে দেখলাম, এক সম্মেলন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এলো, আর বিভিন্ন বাঙ্গালী সংগঠনের সদস্য, নেতা পাতিনেতা সবার হিড়িক লেগে গেল উনার সাথে দেখা করার জন্য। বউ ছেলেমেয়ে নিয়া একটা পোজ দিয়া ছবি তুলবো, এইটা ছাড়া তাদের আর কোন উদ্দেশ্য নাই। প্রবাসী বাঙ্গালীদের সমস্যা বলার কোন উদ্দেশ্য নাই। কিংবা মতবিনিময়ের কোন সুযোগ যদি থাকেও, সরকারের সমালোচনা দূরে থাক, কোন প্রশ্নই কখনই করবে না।
ওই নেতার ‘আত্মীয়’, কিংবা বুড়া চাচা কিংবা এইসব প্রবাসী, এরা কেউই কিন্তু ‘খারাপ’ মানুষ না। এরা খুবই টিপিক্যাল মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও উচ্চবিত্ত। তবে?
বড় দুই দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, ছাত্রনেতাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে মেলামেশার সুযোগ অনেকেরই হয়েছে। এরা দেশের জন্য বা মানুষের ভালোর জন্য রাজনীতি করে এটা আমার কখনই মনে হয়নি। সবার লক্ষ্য এক ও অভিন্নঃ দল ক্ষমতায় গেলে নিজের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিল করা। এদের কেউই তো এক সময় দলের বড় নেতা হবে, এমপি/মন্ত্রী হবে।
তবে সমাধান কোথায়? নাকি আমরা নিজেরাই ঠিক না? আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক না? সাহসের অভাব?
ব্লগে সারাক্ষণ কত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এসব বাস্তব সমস্যা নিয়ে কেন কেউ আলোচনা করে না? বাস্তবসম্মত আলোচনা
প্রিয় ব্লগার উদাসী স্বপ্নের এই পোস্টে কিছু আলোচনা হইছে। এইটা সামুতে আমার সবচেয়ে প্রিয় পোস্ট View this link
আরেকটা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ, আমাদের ভালো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেগুলোতে আগে ছাত্র রাজনীতি ছিল না, কিন্তু গত কয়েক বছরে বিস্তার লাভ করছে, এর জন্যও আমার মনে হয় বিভিন্ন চাকরিতে দলীয় নিয়োগের মহামারীই কারন।
অন্যদের কথা জানি না, কিন্তু দেশের বাইরে আসার পর; আগে যে নিউজ সারাক্ষণ পড়লেও, দেখলেও কিছু মনে হত না, এখন ঐসব নিউজ দেখলে খালি হতাশ লাগে। এর কারন বোধহয় অবচেতনভাবে সারাক্ষণ দুই দেশের তুলনা। দেশের হাজারটা সমস্যাঃ অর্থনীতি, মধ্যপ্রাচ্য সহ প্রবাসীদের সমস্যা, শেয়ারবাজার, সামাজিক কত সমস্যা। গবেষণা করার, সমাধান করার কত কিছু, কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। কয়দিন আগে এখানের পত্রিকায় একটা নিউজ পড়লাম, একটা গবেষণার ফলাফল, বাণিজ্যিক এলাকার আশেপাশে বসবাসকারীদের সন্তান তুলনামূলক কম ওজনের হয়। পড়ে মনে মনে হাসলাম। কত তুচ্ছ একটা বিষয়।
(পোস্ট হয়ত আধ খেঁচড়া হইছে। মাফ কইরা দিয়েন। )



০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×