(ছবি: গুলিতে নিহত একজনকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ)
রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল সমাবেশকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে পুলিশের গুলিতে চার ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
পরিস্থিতি কতখানি খারাপ ছিলো জানিনা, কিন্তু মিছিলে গুলি করার আদেশ কে দিয়েছিল, সে খবর মিডিয়া, আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি জানে কিনা জানিনা, তবে দেশের সাধারণ মানুষগুলো জানেনা।
লক্ষ্মীপুরে রোববার সকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন যুবদল নেতা রুবেল এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকায় আনার পথে বিকেলে আবুল কাশেম মৃধা (৫৫) মারা যান।
অপরদিকে, সকালেই পুলিশের গুলিতে চাঁদপুরে লিমন (৩০) ও আবুল হোসেন (৫০) নামে দু’জন নিহত হন। এদের একজন বিএনপিকর্মী, অপরজন রিকশাচালক।
আমার প্রশ্ন হলো, ৪ জন মারা যাওয়ার পরও রাজনৈতিক দলগুলো কি আশ্চর্যরকম চুপ!!!
পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ কিছু বললোনা, প্রধানমন্ত্রী চুপ!! খালেদা জিয়া কথা বলছেন আজকের গণমিছিল নিয়ে। তাহলে নিহত ৪ জনের কথা কে বলবে?
ও আচ্ছা, আমাদের মানবাধিকার কমিশন এর চেয়ারম্যান কোথায়? তিরি কেনো একটা সংবাদ সম্মেলন করছেন না?
আসুন এবার একটা বিশ্লেষণ বের করার চেষ্টা করি-- মিছিলে গুলি করতে আওয়ামীলীগ নির্দেশ দেয়নি, কারণ তারা চাইবেনা এ সময় তাদের রাজনীতির মাঠ খারাপ হোক. আর বিএনপি নিশ্চয় তাদের কর্মীদের উপর গুলি চালাতে পুলিশের সাথে আতাত করবেনা? তাহলে কি জামাত কিংবা ৩য় অদৃশ্য কোন শক্তির নির্দেশেই কাল মিছিলে গুলি চলেছে?
এদিকে সোমবার রাজধানীতে বিএনপির গণমিছিল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে। পুলিশের নিষেধাজ্ঞায় বিএনপির গণমিছিল একদিন পেছানোর পর মহানগর আওয়ামী লীগও একই দিনে কর্মসূচি ঘোষণা করে। রোববার নগরীতে বিএনপির পূর্ব ঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি ছিল। কিন্তু একই দিন আওয়ামী লীগও জনসভার ঘোষণা দিলে এদিন রাজধানীতে সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ডিএমপি।
আপনারা ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে অবস্থান করুন, কারণ আজ কোন অপ্রীতিকর ঘটনা হবেনা, তার গ্যারান্টি কে দেবে? আপনি মারা গেলে, শুধু একটা পোস্ট দিতে পারবো এই বলে যে- আপনার অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত (যদি খবরটা শুনতে পাই). অন্যথায় আপনিও হারিয়ে যাবেন, এই ৪ জনের মত।
পরিস্থিত কিন্তু খুবই খারাপ, যেকোন মূহুর্তে গুলি খেয়ে মরে যেতে পারেন।
পুলিশের গুলিতে নিহত ৪: এখানে অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক কে?
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।