আমরা জড়ো হয়েছিলাম
পরপর কয়েকটা নিদাঘ দুপুরে
নিতান্ত প্রয়োজনে,
মাইমার বাড়ির এই ছোট্টো চিলেকোঠায়।
এই দারুণ দুপুরেও আমগাছের ছায়ামাখা
ঘরটা, বেশ শীতল ঠান্ডা।
দুপুর রোদের গরম হলকা,
এখানে কখনও খুঁজে পাইনি আমরা।
কাছেই একটা স্কুলে ছেলেরা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
আর আমরা মায়েরা ঘন্টা তিনেকের সেই উৎকন্ঠা ভুলে যেতে
পরস্পর পরস্পরকে নিয়ে ব্যস্ত হয়েছি
মাইমার বাড়ির এই চিলেকোঠার ঘরে।
আমরা সবাই ব্যস্ত গৃহিনী,
সংসারে কারো মা,কারো স্ত্রী
কারো পুত্রবধু,নানা সর্ম্পকে বাঁধা,নানান দায়িত্ব
কিন্তু এখানে আমরা খুঁজে পেলাম নিজেকে, প্রতিদিন
একটু একটু করে সংক্ষিপ্ত সময়ে।
খুঁজে পেলাম আমারই অজান্তে
সংসারের আড়ালেহারিয়ে যাওয়া আমি কে।
আর তাই ঐ খর দুপুরেও ছুটেছি আনন্দে
কোনদিন সাঁইবনের নির্জন প্রকৃ্তির কোলে
নন্দদুলাল দর্শনে, কখনও পৌঁছে
গিয়েছি শ্যামের বাড়ির দোরগোড়ায়
আবার কোনদিন মাইমার চিলেকোঠার ঘরে
মেতে উঠেছি টুকটাক হাসি,
গল্প,আবৃত্তি,উপহার
খুচখাচ খাওয়া দাওয়ায়
সব মিলে বেশ জমাটিআড্ডা।
কেটে গেল স্বপ্নের মত দিনগুলো আনন্দে
রয়ে গেল সোনালি স্মৃতি হয়ে।
আর উপরি পাওনা হিসাবে পেলাম
কিছুসময়ের জন্য,হারিয়ে যাওয়া দুশ্চিন্তাহীন ছেলেবেলা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



