হাদিস অনুযায়ী ইসলামে ছবি সম্পুর্ন নিষিদ্ধ কিন্তু এই নিষিদ্ধ কর্মটি আমাদের আলেম হুজুররা জায়েজ করে ফেলেছেন। তাদের বিভিন্ন পোজের হাজার হাজার ছবি ভিডিও আমরা দেখতে পাই।
এই বিষয়ে তাদের বক্তব্য হোল, যেহেতু পাসপোর্ট বা আই ডি জন্য ছবি বাধ্যতামূলক তাই বিশেষ প্রয়োজনে এটা করা যেতে পারে।
তাহোলে পাসপোর্ট এবং আই ডি ব্যাথিত তাদের ছবি ভিডিও থাকা উচিৎ নহে কিন্তু এত হাজার হাজার ছবি ভিডিও তারা পোস্ট করছে কেন, এই হারাম কাজটা তারা জায়েজ কোরলো কি করে।
কিছু হুজুর বলে থাকে এই ছবি হাতে আকা হয় না, যন্ত্র দিয়ে তোলা হয় তাই কোন অসুবিধা নাই।
তাহোলে মদ জায়েজ নহে কেন? এখন বেশির ভাগ মদ মেশিনে বানানো হয়।
এখন আমরা দেখছি, হাদিস অনুযায়ী নিষিদ্ধ ছবিকে আমাদের হুজুরা হালাল বানিয়ে ফেলেছে।
যে সব মমিন ভাষ্কর্যের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করেছে, তাদের হাজার হাজার ছবি ভিডিও আমরা দেখতে পাই।
ছবি তুলে একটা মহা হারাম কর্মকে ওনারা জায়েজ করে ফেলেছে কিন্তু পুজাবিহীন ভাষ্কর্য সেটা কেন তাদের চুলকানি সৃষ্ঠি করছে সেটা বোধ গোম্য নহে অথচ পৃথিবীর সব মুসলিম দেশে ভাষ্কর্য আছে।
এটা আশ্চর্যের বিষয়,, মমিনরা ভাষ্কর্য নিষিদ্ধ ,, এই ফতুয়া দিচ্ছেন ছবি নিষিদ্ধের হাদিস গুলো ব্যবহার করে কিন্তু ছবিকে হালাল বানিয়ে ফেলেছেন। সব কটা হাদিস পড়ে দেখুন লিখা আছে ছবি হারাম উল্লেখ করে কিন্তু সেই ছবি এখন হালাল কিন্তু ভাষ্কর্য হারাম। এটা কি ভন্ডামি নহে?
-------------------------_-------------------------
মুহাম্মদ (র)…আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি বালিশ তৈরি করেছিলাম। যেন তা একটি ছোট গদী। এরপর তিনি আমার ঘরে এসে দু’দরজার মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ আমার কি অপরাধ হয়েছে? তিনি বললেন, এ বালিশটি কেন? আমি বললাম, এ বালিশটি আপনি এর উপর ঠেস দিয়ে বসতে পারেন আমি সে জন্য তৈরি করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন:
“(হে আয়িশা) (রা) তুমি কি জান না? যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না? আর যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি আঁকে তাকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেয়া হবে? তাকে (আল্লাহ্) বলবেন, ‘তুমি যে প্রাণীর ছবি বানিয়েছ, এখন তাকে প্রাণ দান কর।’ [সহীহ বুখারী, পঞ্চম খণ্ড, হাদিস নং ২৯৯৭ – ইফা]
ইবনে মুকাতিল (র)…আবূ তালহা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি,
“যে ঘরে কুকুর থাকে আর প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না।” [সহীহ বুখারী, পঞ্চম খণ্ড, হাদিস নং ২৯৯৮ – ইফা]
ইয়াহইয়া ইবনে সুলাইমান (র)…সালিম (রা) তাঁর পিতার নিকট হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জিবরাঈল (আ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে (সাক্ষাতের) ওয়াদা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সময় মত আসেন নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেন আমরা ঐ ঘরে প্রবেশ করি না, যে ঘরে ছবি ও কুকুর থাকে। [সহীহ বুখারী, পঞ্চম খণ্ড, হাদিস নং ৩০০০ – ইফা]
আলী ইবনে আবদুল্লাহ (র)…আবু তালহা (রা) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“যে ঘরে কুকুর এবং প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে ফিরিশতাগণ প্রবেশ করেন না।” [সহীহ বুখারী, পঞ্চম খণ্ড, হাদিস নং ৩০৮৮ – ইফা]
হুমায়দী (র)…মুসলিম (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (একবার) মাসরুকের সাথে ইয়াসার ইবনে নুমায়রের ঘরে ছিলাম। মাসরুক ইয়াসারের ঘরের আঙ্গিনায় কতগুলো মূর্তি দেখতে পেয়ে বললেনঃ আমি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে শুনেছি এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন যে,
“(কিয়ামতের দিন) মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে তাদের, যারা ছবি বানায়।” [সহীহ বুখারী, নবম খণ্ড, হাদিস নং ৫৫২৬ – ইফা]
আলী ইবনে আবদুল্লাহ (র)…আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাবূক যুদ্ধের) সফর থেকে প্রত্যাগমন করলেন। আমি আমার ঘরে পাতলা কাপড়ের পর্দা টাঙ্গিয়েছিলাম। তাতে ছিল (প্রানীর) অনেকগুলো ছবি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এটা দেখলেন, তখন তা ছিঁড়ে ফেললেন এবং বললেনঃ
“কিয়ামতের সে সব মানুষের সবচেয়ে কঠিন আযাব হবে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির (প্রাণীর) অনুরূপ তৈরি করবে।”
আয়েশা (রা) বলেন, এরপর আমরা তা দিয়ে একটি বা দু’টি বসার আসন তৈরি করি। [সহীহ বুখারী, নবম খণ্ড, হাদিস নং ৫৫৩০ – ইফা]
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৮