somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবরুদ্ধ আকাশ ।। পর্ব-১৩

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১২ পর্বের লিঙ্ক- Click This Link

শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের বইয়ের দোকানগুলোতে ঢুঁ মারছিল মণিকা ও সজল। ঘুরতে ঘুরতে একটা দোকানে এসে ঢুকল তারা। মণিকা দোকানিকে বলল, ভাইয়া খামার ব্যবস্থাপনার উপর কী কী বই আছে দেখান তো ?
দোকানি ছেলেটা ছিপছিপে লম্বা। বয়স পচিশ ছাব্বিশের বেশি হবে বলে মনে হয় না। পরেছে কলারহীন সাদা টি-শার্ট। দোকানি কয়েকটা বই বের করে মণিকার সামনে রাখল। আর বারবার সজলের চেহারার দিকে তাকাচ্ছিল। সজল বিষয়টা মার্ক করল। বুঝতে পারল দোকানির মধ্যে একটা কৌতূহল কাজ করছে তাকে নিয়ে। সজল বিনীতভাবে জিজ্ঞেস করল, কিছু বলবেন ?

দোকানি ইতস্তত করে। আপনি কী মেহনতি জনতা পার্টির সজল আহমেদ ?
সজল মুচকি হাসল। কোন সন্দেহ আছে ? সজল পাল্টা প্রশ্ন করল।
না। আপনাকে কখন ও সামনা-সামনি দেখিনি তো। পত্রিকায় ছবি দেখেছি। আজকের পত্রিকায়ও আপনার ছবি আছে নারায়ণগঞ্জ মিটিংয়ের।
আপনার কাছে পত্রিকা আছে ?
দোকানি মাথা নাড়ল। আছে।
দেখতে পারি ?
অবশ্যই। দোকানি পত্রিকাটি বাড়িয়ে দিল শো-কেসের উপর। মণিকা বলল, কই দেখি ?

সজল ও মণিকা ঝুঁকে এল পত্রিকার উপর। মণিকা মনে মনে খুব গর্বিত হল। ভাবল মানুষের কাছে সজলের একটা পরিচিতি আছে তাহলে। মণিকা তিনটি বই বাছাই করে দোকানিকে বলল, এগুলোর দাম হিসাব করুন। আপনার কাছে ফলজ, বনজ কিংবা ফুলের চাষ সম্পর্কিত কোন বই আছে ?

দোকানি ক্যালকুলেটর টিপতে টিপতে জবাব দিল, আপা এখন নেই। শেষ কপিটি গতকালই বিক্রি হয়ে গেছে। আপা চারশ ষাট টাকা দেন

মণিকা জানতে চাইল, ডিসকাউন্ট কত দিয়েছেন ?
আপা ফিফটিন পারসেন্ট।
কিন্তু ভাইয়া আমি তো টুয়েন্টি পারসেন্টে প্রায়সময় বই কিনে থাকি।
আপা সব বইতে সমান ডিসকাউন্ট হয়না। তারপরও আপনাকে আমি টুয়েন্টি পারসেন্ট দিচ্ছি। আপনার কারণে সজল ভাইয়ের মত নেতা আমার দোকানে এসেছে।

সজল বলল, আমি তো ভাই রাজপথের মানুষ। কেনাকাটা করার অবসর কই ?
মণিকা বিল মিটিয়ে দিল। আবার আসবেন আপা। আপনার জন্য সবসময় টুয়েন্টি পারসেন্ট। দোকানি বলল।
মণিকা হাসল। ধন্যবাদ। সজলকে উদ্দেশ্য করে বলল, বাংলা বাজার চল।
সজল ঘাড় কাত করে। আবার বাংলা বাজার !
মণিকা মাথা নাড়ে।
মনে হচ্ছে পুরো লাইব্রেরী বাসায় নিয়ে যাবে। সজল বলল ।
বাসায় নিতে পারলে তো ভালই হতো। আর দোকানে আসা লাগত না। তুমিও বউয়ের ডিউটি করা থেকে বেঁচে যেতে।
ভালই বলেছ। ধন্যবাদ। কৌন আইসক্রিম খাবা ?
মণিকা মাথা দোলাল। কৌন আইসক্রিম খাব না।
কেন ?
লিপস্টিক নষ্ট হবে। দুটো কাপ নাও। যেতে যেতে রিক্সায় বসে খাব।
রিক্সায় বসে ! আমার পরিচিত কেউ দেখে ফেললে মন্তব্য করবে, ঐ দেখ সজল বউয়ের সাথে রিক্সায় বসে আইসক্রিম খাচ্ছে। সাংবাদিকরা দেখলে গোপনে ছবিও তুলে রাখবে।
এতে সমস্যা কোথায় ? এখন বল রিক্সায় বসে আইসক্রিম খেতে কেমন লাগছে ?
ভালই লাগছে। মনে হচ্ছে আবার ছাত্র জীবনে ফিরে গিয়েছি।

শাহবাগ থেকে তাদের রিক্সা কিছুদূর আসতেই একটা ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে পড়েছে। হঠাৎ সাত আট বছরের একটি মেয়ে ফুলের মালা হাতে দৌড়ে আসল। স্যার মালা লইবেন ?

সজল ফিরে তাকাল মেয়েটির দিকে। রোগাটে চেহারা। পরনে অপরিষ্কার সেলোয়ার-কামিজ। কাকের বাসার মত মাথায় একঝাঁক চুল। সজল মণিকার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে, দেখ জীবন ও জীবিকা। আমরা এদের জন্যই রাজনীতি করছি।
সজল মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করল। আমার বিশ্বাস তোমাদের জীবন একদিন ফুলের মতই সুন্দর হয়ে উঠবে। মালার দাম কত ?
দশ টেকা স্যার।
সজল মেয়েটির হাতে দশ টাকা দিয়ে একটি মালা কিনে নিল। খুশিতে মেয়েটির চোখ চকচক করে উঠেছে। সিগন্যাল উঠে গেলে মেয়েটি দ্রুত সরে পড়ল।
তোমার খোপাটা একটু এদিকে ফিরাও। মালাটা পরিয়ে দিই।
মণিকা হেসে মাথা ঘুরিয়ে খোপা সজলের দিকে ফিরিয়ে বলে, লোকে দেখলে বলবে, মেহনতি জনতা পার্টির নেতা রিক্সায় বসে বউয়ের খোপায় মালা পরাচ্ছে।
সজল বেলিফুলের মালা মণিকার খোপায় প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে বলল, আরে বলতে দাও। রাজনীতিবিদদের চামড়া অনেক মোটা। এসব বলাবলিতে কিছু যায় আসে না। দেখনা প্রতিদিন জনতা রাজপথে স্লোগান দেয় এরশাদের চামড়া তুলে নেব আমরা। কিন্তু এরশাদের চামড়া এত মোটা যে সহজে উঠেনা। বাংলা বাজার থেকে আরও কয়েকটি বই কিনে সজল মণিকাকে শান্তিনগর বাসার গেটে নামিয়ে দিল। মণিকা বলল, সময় এবং ফুলের জন্য ধন্যবাদ।

মণিকা হাসি হাসি মুখ নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখে বিলকিস ড্রয়িংরুমে বসে প্রতিবেশী দুই মহিলার সাথে
গল্প করছেন, এরা সেই মহিলাদ্বয় যারা গতকাল সজল ও তার সম্পর্কে কমেন্টস করতে সে শুনে ফেলেছিল। কিন্তু মণিকার মধ্যে কোন পরিবর্তন আসল না। সে ঐসব ছোটখাট বিষয় মনে রাখতে চায় না। সে প্রথম দৃষ্টিতে তাদের উদ্দেশ্যে হাত তুলে সালাম দিল।

বিলকিস মণিকার দিকে দৃষ্টি ফিরালেন। তোমরা তো একসাথে বেরিয়েছিলে। সজলকে কোথায় রেখে এলে ?
আমাকে নামিয়ে দিয়ে বলেছে পার্টি অফিসের দিকে যাবে।
মণিকা তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিই। উনি হচ্ছেন অর্ণবের আম্মু। আমাদের সামনের বিল্ডিংযে থাকেন। আর উনি চৈতির আম্মু। আমাদের পাশের বিল্ডিং।
আসলে আসা-যাওয়ার পথে অনেকবার দেখা হয়েছে। কখনও কথা বলার সুযোগ হয়নি। আপনারা বসেন। এখন গল্প করা যাবে অনেক। আমি হাতের জিনিসগুলো রেখে আসছি।

মণিকা বিলকিসের দিকে পত্রিকাটি বাড়িয়ে দিয়ে বলে, মা দেখ আজকের পত্রিকায় সজলের ছবি ছাপিয়েছে। মণিকা পত্রিকাটি বিলকিসের হাতে দিয়ে নিজের রুমে চলে গেল।

চৈতির আম্মু বললেন, ভাবী ছেলের জন্য চুপি চুপি বউ নিয়ে আসলেন, আমাদের দাওয়াত-টাওয়াত খাওয়ালেন না।
বিলকিস হাসলেন। আসলে ব্যাপারটা হঠাৎ করে হয়ে গেল তো। আমাদের অনেক ইচ্ছে ছিল অনুষ্ঠান করার। কিন্তু কোন আনুষ্ঠানিকতার দিকে যেতে মণিকা রাজী হলনা।

অর্ণবের আম্মু খুব আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলেন, তাদের আর্থিক সমস্যা আছে নাকি?
বিলকিস আবার হাসলেন। কী যে বলেন ভাবী। আকমল চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে। ধানমণ্ডিতে বিরাট বাড়ি, সাভারে দুইটা ফ্যাক্টরি। সে তুলনায় আমাদের গরীব বলা চলে।

চৈতির আম্মু আশ্চর্য হলেন। এত বড়লকের মেয়ে চুপচাপ বিয়েতে বসে গেল।

বিলকিস বললেন, ভার্সিটিতে পড়ার সময় ওরা একে অপরকে পছন্দ করে। মণিকার তো এক কথা। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিয়ে করতে হলে ভালোবাসতে গেলাম কেন ? ওর বাবা এসে মেয়েকে আমার হাতে তুলে দিয়ে বলল, আজ থেকে মণিকা আপনার মেয়ে।
অর্ণবের আম্মু আঙুল মটকাল। তাহলে পারিবারিক কোন ঝামেলা নেই ?
না, না ঝামেলা থাকবে কেন? আকমল চৌধুরী লোক হিসেবে বিগ হার্টেট। মণিকাও বাপের মত উদার। সে আমাদের পুরো পরিবারকে খুব ভালোবাসে।

মণিকা ট্রেতে করে চা-নাস্তা নিয়ে এল। চৈতির আম্মু বললেন, একটু আগে বাসায় চা খেলাম। আপনি আবার চা করতে গেলেন কেন ?
মণিকা নাস্তার প্লেট এগিয়ে দিতে দিতে বলল, আপনারা মুরুব্বি মানুষ আমাকে তুমি করেই বলবেন। আন্টি চৈতি কী করছে ? একদিন যাব ওর সাথে পরিচয় হয়ে আসব।
হাঁ অবশ্যই আসবে। চৈতি ক্লাস নাইনে পড়ছে। ভিকারুনেচ্ছাতে।
আর অর্ণব তো এইবার কলেজে গেল। তাই না আন্টি ? অর্ণবের আম্মু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, তুমি অর্ণবকে চেন ?
আমি তো বিয়ের আগে এখানে প্রায় আসতাম। একদিন একটা ছেলে পথে আমাকে সালাম দিয়ে মাথা নিচু করে হেঁটে যাচ্ছিল। আমি ছেলেটাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলাম নাম কী, কোথায় থাকে। সে বলল, নাম অর্ণব। সামনের বিল্ডিংযের দুতলায় থাকে। সজল নাকি তাকে খুব স্নেহ করে একথাও বলল। ছেলেটা খুব ভদ্র। মনে হল একটু লাজুকও। মণিকা একবার অর্ণবের আম্মুর দিকে চোখ তুলে তাকাল। তার মনে হল মহিলার চোখ খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।

মহিলা সন্দেশের একটি টুকরা মুখে দিয়ে বললেন, হাঁ ছেলেটা একটু লাজ্জুক। ঘর থেকে কলেজে যায় আবার কলেজ থেকে সোজা বাসায় ফিরে আসে। কোন খারাপ ছেলেদের সাথে মিশে না। সেদিক দিয়ে আমি নিশ্চিন্ত। আজকাল ছেলেমেয়েরা যেভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাদের কন্ট্রোল করাটা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কী বলেন ভাবী ? তিনি চৈতির আম্মুর দিকে সম্মতির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।

মণিকা বলল, মা তোমাকে সন্দেশ দেব ?
বিলকিস মাথা নাড়লেন। শুধু চা দাও।

চৈতির আম্মু পূর্ণ উদ্যম নিয়ে বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন ভাবী। এখন তো কম বয়সী ছেলেরা নেশার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। আমার ননদের এক ছেলে এডিক্টেট হয়ে পড়েছে। হেরোইন না কী যেন খায়। মাঝে মাঝে ইঞ্জেকশনও নেয়। টাকা না পেলে ঘরের জিনিস পত্র বেচে দেয়। একবার নাকি আমার ননদের হাজব্যান্ডের প্যান্ট ইস্ত্রি করার জন্য আইরন খুঁজে পাচ্ছিলনা। পরে বুঝতে পারে ছেলে বিক্রি করে দিয়েছে। ছেলে নিয়ে তারা খুব পেরেশানির মধ্যে আছে। এখন ছেলেকে মাদকাসক্ত নিরাময় ক্লিনিকে চিকিৎসা দিচ্ছে।
মণিকার মুখ নিসপিস করছিল মাদকাসক্ত নিয়ে দুচার কথা বলার জন্য। সে জানে এর পিছনে পরিবারও কম দায়ী নয়। কিন্তু সে নিজেকে সংযত করল। ভাবল, এদের কথার মধ্যে নাক না গলানো উচিৎ। সে নির্লিপ্ত হয়ে রইল।
বললাম না, সেদিক দিয়ে আমি নিশ্চিন্ত। অর্ণবের আম্মু আবার বললেন। তারপর তিনি প্রসঙ্গ পাল্টে মণিকার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন, মণিকার সাবজেক্ট কী ছিল ?
সোসিওলজি আন্টি।
তুমি আর সজল কী একই ব্যাচ ?
না, না। সজলের যখন অনার্স ফাইন্যাল, আমার ফার্স্ট ইয়ার।
চৈতির আম্মু বিলকিসের দিকে তাকিয়ে বললেন, ভাবী আমরা উঠব। মণিকাকে নিয়ে বেড়াতে আসবেন।
অবশ্যই আসব। বিলকিস বললেন।

মেহমান চলে গেলে মণিকা বলল, মা দুপুরের রান্নাটা আমিই করব।
তুমি একা পারবেনা। তোমাকে আমি সাহায্য করি। বিলকিস বললেন।
এখানে অল্প একটু চা আছে। আমি গরম করে দিচ্ছি। তুমি চা নিয়ে গিয়ে বাবার সঙ্গে গল্প কর। বাবার হয়ত একা একা ভাল লাগছেনা। এদিক আমি সামলে নেব। আমরা চারটা মাত্র প্রাণী। অল্প একটু রান্না। এখন হয়ে যাবে আমার।
তোমার বাবার সাথে গল্প করব ! সে তো পত্রিকা দিয়ে মুখ একটা লুকিয়ে রাখে। ওর দিকে তাকালে চেহারা দেখতে পাইনা। পত্রিকাই দেখি।
মণিকা হাসল। আসলে বাবা করবেটা কী ? যাবে বা কোথায় ? ঢাকা শহরে বাইরে কোথাও শান্তি নেই ? আসলে আমাদের একটা ট্যুরে যাওয়া উচিৎ মা। ঢাকার বাইরে। দূরে কোথাও।
তুমি কোথায় যেতে চাও ?
কক্সবাজার। আসার পথে চিটাগাং সুমির ওখানে।
সজল কী রাজী হবে যেতে ? বিলকিস একটু চিন্তিত হয়ে বললেন।
সজলের দায়িত্ব আমি নিলাম। বাবা রাজী হলে আর কোন সমস্যা থাকে না।
আচ্ছা আমি তোমার বাবাকে বলে দেখি। বিলকিস যাওয়ার জন্য উদ্যত হল।
চা টা নিয়ে যাও মা। একদম খালি মুখে প্রস্তাব দেবে নাকি ?
ঠিক বলেছ। খালি মুখে প্রস্তাব দিতে নেই। কাপটা দাও।

বিলকিস চলে গেলে মণিকা কী কী রান্না করবে মনে মনে সাজিয়ে নিল। প্রথমে সে বেগুন বর্ত্তা বানাবে, এরপর আলু দিয়ে চিংড়ি ভাজি করবে, এরপর সর্ষেবাটা দিয়ে ইলিশের টুকরোগুলো রান্না করবে। সবশেষে করবে ডাল রান্না। দুটো বড় বড় বেগুন আগুনে পুড়ে একটা বাটিতে তুলে রাখতেই তার বেলিফুলের কথা মনে পড়ল। সে তো একবারও মালাটি আয়নাতে দেখল না। হাতের কাজ ফেলে সে দৌড়ে নিজের ঘরে গিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়াল। ঘাড় বাঁকিয়ে খোপাটি দেখল। নিজে নিজে বলল, খুব সুন্দর। ভালই প্যাচিয়ে দিয়েছে সজল। সে আয়নায় ঘুরেফিরে নিজেকে ব্যাঙ্গাল এবং খিলখিল করে হেসে উঠল। তারপর দৌড় দিল রান্নাঘরে।
আলু চিংড়ি চুলা থেকে নামিয়ে মণিকার আবার ইচ্ছে হল খোপাটি দেখবে। সে দৌড় দিল ড্রেসিং টেবিলের সামনে। সে বেলিফুলের উপর হাত রাখল। তিনশ ষাট ডিগ্রী ঘুরল একবার। কোমরে হাত দিয়ে মেদ পরীক্ষা করল। বুঝতে পারল শরীরে এখনও মেদ জমেনি। কোমর মসৃণই আছে। সে আবার দৌড়ে রান্নাঘরে চলে এল। এভাবে সে দুপুরের রান্না শেষ করে নিল।

চলবে------
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×