somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এস এম সুলতানের ছবির ফর্ম ও বিষয়বস্তুর সরলপাঠ

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গত ১০ অক্টোবর, ২০১৮ ছিল শিল্পী এস এম সুলতানের চব্বিশতম প্রয়াণ দিবস। সেই উপলক্ষে শিল্পীর জীবন ও ছবিসমূহ পুনঃপাঠ করতে গিয়ে সুলতানের ছবির ব্যাপারে সুন্দরতমউপমা লক্ষ্য করি চিন্তক আহমেদ ছফারলেখনীতে।সুলতান সম্পর্কিত তাঁর প্রামাণ্য প্রবন্ধ– ‘বাংলার চিত্র ঐতিহ্যঃসুলতানের সাধনা’য়তিনি সুলতানের ছবিকে তুলনা করেছিলেন– শহরের চৌমোহনার ইট সিমেন্টের কঠিন আবরণ ফাটিয়ে একটা বন্য আদিম ভঙ্গিমায় জেগে ওঠা বুনো ঝর্নার সাথে, যার স্বতঃস্ফূর্ত উদ্গিরণে শহরবাসী বুঁদ হয়েছিল বহুদিন পর্যন্ত। ছবির পাঠের ব্যাকরণ অনুসরণ করে এবং ইতিহাস ছেনেছুনে দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধত্তোর বাংলার শিল্পীদের ছবি দেখলে ছফা সাহেবের এউপমারযথার্থতা উপলব্ধি করা যায়। স্রেফ রেখায় রাজত্ব নয়, বা নকশার ইন্দ্রজালে নয়, অথবা কম্পানি ইশকুলের হাত ধরে বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করা ছবি অঙ্কনের ব্যাকরণ অনুযায়ী নয় – এস এম সুলতানের অনন্যতা তাঁর নিজস্বতায়। তাঁর ছবির সুলতানিয়তে। এক গ্যালারি ভর্তি রথি মহারথির অঙ্কিত ছবির মাঝেও আলাদা করে সুলতানের ছবি চিনে নিতে অসুবিধা হয় না, হয়না তাঁর অনন্য নিজস্বতার জন্যেই।

সুলতানের জীবন নিয়ে যে বয়ান আমরা চিত্র সমালোচকদের লেখনিতে পাই, তার অধিকাংশই ক্ষণিকের জন্যে পাওয়া সুলতানের সান্নিধ্য ও তাঁর অঙ্কিত ছবির সাথে একান্ত বোঝাপড়ার ফসল। দীর্ঘকাল ধরে সুলতানের সাথে থেকে তাঁর জীবনদর্শন, তাঁর ছবি আঁকার অনুপ্রেরণা বোঝার বা গবেষণা করার সুযোগ হয়নি প্রায় কারোই। সুলতান নিজেই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে পছন্দ করতেন। আসলে সুলতান কে, বা তাঁর জীবনদর্শন অথবা শিল্পদর্শন কী- তার সঠিক বিবরণের বদলেতাঁকে নিয়ে আমাদের শিল্পাঙ্গনে প্রচলিত আছে অসংখ্য মিথ।সে মিথতাঁর একটানে স্রেফ এক নির্ভুল বৃত্ত এঁকে কলকাতা আর্ট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় উৎরে যাওয়া হোক, অথবা তাঁর বাউল সন্ন্যাসীর জীবনযাপন হোক, শাড়ি পরে রাধার বেশে কখনো কৃষ্ণকে খুঁজে ফেরা হোক বা কখনো নিজেই কৃষ্ণের মত বাঁশি বাজিয়ে রাধার অন্বেষণ হোক– সুলতানের জীবনকে নিয়ে চমকে দেয়ার মত অসংখ্য গল্প প্রচলিত আছে বাংলাদেশের শিল্প পাড়ায়, শিল্পী ও শিল্পানুরাগিদের মুখে মুখে। সেই মিথ বা গল্পের সুলতান নয়, ছবির সুলতানকে নিয়ে কিছু আলাপ আমার এই রচনায় করার আছে। আমার এ আলাপের ভিত্তি হচ্ছে সুলতানের যত ছবি একালে পাওয়া যায়– সে সমস্তের অবলোকন ও পঠন, জয়নুল-কামরুল – সফিউদ্দিন সাহেব এবং তাঁদের হাত ধরে উঠে আসা পূর্ব পাকিস্তান আর্ট কলেজ বা বর্তমান যে চারুকলা, তার প্রথম ধারার শিল্পীদের কাজগুলিকে পাশে রেখে সুলতানের ছবি পুনঃপাঠ এবংসবশেষে সুলতানের ছবির ব্যাপারে আমাদের শিল্পবোদ্ধাদের ব্যক্তিগত মতামত ও বিশ্লেষণ।

সুলতানের বিখ্যাত ছবিগুলির অধিকাংশই আঁকা বড় ক্যানভাসের বিশাল জমিনে। ছবির বিষয়বস্তু মূলত নিসর্গ চিত্র, প্রকৃতির সরলপাঠ অথবা ঘটনার ঘনঘটা সম্বলিত অবয়বধর্মী চিত্র। ছবি আঁকার বিষয়বস্তু, বা সাবজেক্ট ম্যাটারের দিকে যদি নজর দিই তবে ক্যানভাসের আকার, ক্যানভাসের মধ্যে থাকা ফর্ম/ফিগার এবং বিষয়বস্তু এই তিনে মিলে সুলতানের কাজকে – মহাকাব্যিক বা মহাকাব্য সৃষ্টির তাড়নাজাত বিশেষণে আখ্যায়িত করতে পারি। এদের মধ্যে কিছু ছবি আছে যাতে একটি মুহূর্ত এবং একটি ফর্ম/ফিগার কেন্দ্র করে মহাকাব্যিক আখ্যানের জন্ম দেয়া হয়েছে,যেমন তাঁর সাধক (৭১ বাই ৫২ সেমি), নায়র (১২০ বাই ৮০ সেমি), মা ও শিশু (১২০ বাই ৭৫ সেমি), কলসি কাঁখে রমণী (১২০ বাই ৬৮ সেমি)। আবার কিছু ছবিতে আছে ঘটনার ঘনঘটা, টেনশন, গতিশীলতা। উল্লেখযোগ্য– প্রথম বৃক্ষরোপণ (১৪৫ বাই ১০৮ সেমি), হত্যাযজ্ঞ (১৮০ বাই ২১০ সেমি), যাত্রা (১২০ বাই ১৮০ সেমি), চর দখল ( ১৫০ বাই ১৮০ সেমি), ক্ষেত দখল (১২০ বাই ৪৮০ সেমি)। সুলতানের ক্যানভাসের বিশালতা, বিষয়বস্তু আর ফিগার দেখে কখনো মনে হয় তাঁর চিত্রের কুশীলবেরা উঠে এসেছে গ্রিক মিথলজির পাতা থেকে, কখনো আবার মনে হয়– এই যে মায়ের ক্রোড়ে উৎফুল্ল বাংলার শিশু যেন মাতা মেরির কোলে যীশু খ্রিষ্ট, আবার লড়াইয়ের ছবিগুলি দেখলে মুহূর্তেই দ্যোতনা সৃষ্টি হয় কুরুক্ষেত্রের বা ট্রয়ের যুদ্ধক্ষেত্রের।

মুখ্যত তাঁর সিগনেচার অবয়বধর্মী কাজের জন্যে খ্যাত সুলতানের বাঙালিকৃষক–কিষাণি বা গাঁয়েরবঁধুর এমন মাসল সর্বস্ব শরীরের পেছনে কী দর্শন থাকতে পারে -এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা শিল্পবোদ্ধারা করেছেন । বিশেষত বাঙালি কৃষকের দুর্দশাগ্রস্থ জীবন, খেয়ে না খেয়ে কাটানো দিন এবং এর ফাঁকে ফাঁকেই করে চলা অক্লান্ত পরিশ্রম তাঁদের খুব স্বাভাবিকভাবেই কঙ্কালসার করে তুলেছে। তবুও বাঙালি চাষা–চাষা বউকে তিনি তাঁর আদর্শিক স্বাপ্নিকরূপেই ফুটিয়ে তুলেছেন ক্যানভাসে। চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের সুলতানের ওপর নির্মিত ডকু ফিল্ম আদমসুরতে সুলতান নিজেই স্পষ্ট করেন কেনোতাঁর চিত্রে বার বার কৃষক আসে। সুলতান বলেন– শহুরে জীবনের সাথে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো রকম সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও এই দরিদ্র কৃষকেরা বছরের পর বছর ধরে ক্ষেতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে চরম দুঃখ দুর্দশার মধ্য দিয়ে। তাঁদের নামে বৈদেশিক সাহায্য আসছে যার ছিটেফোঁটাই হয়তো তাঁদের কাছে পৌঁছায়, তবুও তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই। সুলতান বলেন– চাষাদের জন্যে বিদেশ থেকে আসা সাহায্য যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে হয়তো শহরের সুবিধাভোগী মানুষগুলো অচল হয়ে পড়বে, কিন্তু চাষাদের জীবনে তাঁর প্রভাব পড়বে না কিছুই। তাঁরা এমনই স্বয়ংসম্পূর্ণ। দরিদ্র, পশ্চাৎপদ এই জনগোষ্ঠীর মানসিক এই জোরকেই হয়তো তিনি তাঁদের মাসলসমৃদ্ধ চিত্রাবলীর মাধ্যমে বারবার বারবার ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেক শিল্পরসিক তাঁর এই মাসলসর্বস্ব চিত্রাবলীর মধ্যে খুঁজে পেয়েছে রেনেসাঁ মডেলিং এর গুণ। হয়তো আমাদের জানা আছে যে– রেনেসাঁর আমলের চিত্রকর বা ভাস্করেরা মানব শরীরের একদম নিখুঁত শেইপ তাঁদের শিল্পকর্মে ফুটিয়ে তুলতেন। সুলতানের ছবির ফর্ম ও ফিগারগুলিও অনেকটাই সেরকম। আমার একটি ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ হল, সুলতানের মৃত্যুর আগের কয়েকবছরের যে ছবি, বিশেষ করে ৯০’র পরের অঙ্কিত ছবিগুলির মধ্যে মানুষের ফিগার অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। মৃত্যুর আগে এসে সুলতানের কি বাংলার মানুষের অদম্যতার ওপর খানিকটা দ্বিধা জন্মেছিল? কে জানে...

সুলতানের অভিজ্ঞতার জগত বাংলাদেশের অ্যাকাডেমিক শিল্পীদের অভিজ্ঞতার জগতের চেয়ে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর বাংলাদেশের আর্ট অ্যাকাডেমিয়ায় তিনি ছিলেন প্রায় সর্বদাই একজন আউটসাইডার, কখনো ভাগ্যের পাঁকচক্রে, কখনো নিজ খেয়ালেই। তাঁর এই বোহেমিয়ান, সন্ন্যাসী জীবনযাপনের ধারা– তাঁকে তৈরি করে দিয়েছে পৃথিবী দেখার সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি চোখ। অ্যাকাডেমিক হোক বা নন অ্যাকাডেমিক, সব শিল্পীর চোখই শৈল্পিক। কিন্তু সুলতান পৃথিবী দেখেছেন একদম মাটির সন্নিকটস্থ আই রেঞ্জ থেকে। তাঁর ছবিতে মেটে কালার খুব স্পষ্ট হয়ে ফুটে থাকে। আর যেখানে বাংলাদেশের মহীরুহ চিত্রশিল্পীদের ছবি, যেমন জয়নুল আবেদিনের গুণটানা বা সফিউদ্দিন আহমেদের ধান ঝাড়া ইত্যাদিতে বাংলার কৃষকের সংগ্রামমুখর জীবন চিত্র ফুটে ওঠে, আহমদ ছফা বলেন – সুলতানের কৃষক তাঁর বিপরীতে এসে যেন মাটির বন্দনা করে। ছফা কোনো নির্দিষ্ট ছবির উদাহরণ দিয়ে বলেননি যে ঠিক কোন ছবি থেকে তাঁর এ বোধ তৈরি হয়, কিন্তু যদি আমরা সুলতানের সেই প্রথম বৃক্ষরোপণ ছবিটিকেই পূর্বোক্ত ছবিদ্বয়ের বিপরীতে স্থাপন করি তাহলে ছফার সাথে একমত না হয়ে আমাদের উপায় থাকে না।

আধুনিকতা বর্জিত – এই স্পর্ধিত অভিযোগের আঙুল এমনকি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের দিকেও তাক করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন কেউ কেউ। সুলতানের শুভানুধ্যায়ী সমালোচকেরা তাই তাঁকে লোকজ বা দেশজ আধুনিকতার জনক অভিধাও দিতে চেয়েছেন। কিন্তু সুলতান নিজে কি চেয়েছিলেন আধুনিক বা আধুনিক বলতে আসলে যা আমরা এখন গণহারে বোঝাই– সেই বিমূর্ত চিত্রকলায় সিদ্ধহস্ত হতে? আদমসুরতেসুলতানের জবানবন্দী আমাদের নিরাস করবে। তিনি বলেন–“সমসাময়িক চিত্রকলাসম্পর্কে আমার বেশি একটা ভাবতে ইচ্ছা হয় না। কারণ স্রেফ ভাববিলাস ছাড়া এর মধ্যে বিশেষ কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। সাধারণ দেশবাসি অভ্যস্ত না ঐসব মডার্নঅ্যাবসট্র্যাক্ট দেখে। তারা প্রশ্ন করে – ‘এটা কী এঁকেছেন? আমাদের বুঝিয়ে দেন, আমরা বুঝতে পারলাম না’। বলে– ‘বোধয় এ বুঝতে গেলে অনেক বেশি বিদ্যা দরকার, কিংবা অনেক বেশি পড়াশোনা করা দরকার’। তারা অনেক সময় নিজেদের দৈন্যতা অনুভব করে। এও একটা রুচি, আজকাল তো দেখি প্রায় ড্রয়িংরুমে মডার্ন অ্যাবসট্র্যাক্ট আর্ট পছন্দ করছেন। এর একটা ডেকরেটিভ ভ্যালু আছে। কিউবিস্ট অ্যাবসট্র্যাকশনিস্ট কিংবা দাদায়িস্ট– এরা কতগুলো ট্রায়াঙ্গুলার ফর্মের ভেতর দিয়ে কিছু এক্সপ্রেস করে। এটাও একটা অভিব্যক্তি, কিন্তু আমার চোখে ওর তত প্রাধান্য নাই এই জন্য যে– সাধারণ লোকের বুঝতে কষ্ট হয়”।

সুলতান যে ছবি এঁকেছেন, তাঁর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য তাঁর নিজস্বতা। আর সে নিজস্বতা ক্ষেত্র বিশেষে ব্যাকরণ ভেঙেচুরে তৈরি করে নিয়েছেন নিজের রাস্তা। সুলতান কাউকে সচেতনরূপে অনুকরণ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই, আর সুলতানের অঙ্কনশৈলী এতটাই ব্যক্তিগত যে, তারপর আর কোন শিল্পীকে সেই পথ ধরে এগুতে দেখা যায়নি। সে কারণেই সুলতানের কাজ আমাদের লোকজ বাংলার অনুকরণীয় ফর্ম বা ফোক ফর্ম হয়ে ওঠেনি। সুলতান হয়তো অ্যাকাডেমিক রীতিসিদ্ধ নন, তবুও বাংলার চিত্রকলায় তিনি এতটাই প্রবল যে, যদি আমাদের কোন অ্যাকাডেমিক রীতি নাও থাকতো, তবে হয়তো স্রেফ সুলতানের চিত্রশৈলী অনুসরণ করে একটা নতুন অ্যাকাডেমিক রীতি তৈরি করা যেতো, যেমনটা কিনা বলা হয়ে থাকে বিখ্যাত ল্যাতিন অ্যামেরিকান লেখক গ্যাব্রিয়েল গারসিয়া মারকেজের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী উপন্যাস ওয়ান হানড্রেড ইয়ার্স অফ সলিটিউড এর ব্যাপারে, যে– যদি ল্যাতিন অ্যামেরিকা বলে পৃথিবীতে কিছু না-ই থাকতো, তবুও মারকেজের এই উপন্যাসের আদলে একটা গোটা ল্যাতিন অ্যামেরিকা পত্তন করা সম্ভব ছিল। মহৎ শিল্পীরা জন্ম নেন ভিন্ন ভিন্ন দেশে, কিন্তু তাদের সার্বজনীন আবেদন এভাবেই যুগে যুগে তাদের গেঁথে রাখে একই সূত্রে।

(গতকালের ইত্তেফাক পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত)



সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৪
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×