সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ, এই মসজিদে বাচ্চা প্রবেশ নিষেধ।
.
ইদানিং মসজিদে কিছু নব্য পীর আউলিয়ার উদ্ভব হয়েছে । বাচ্চাদের কান্না তাদের নামাজের ব্যাঘাত ঘটায় । অথচ মহানবী সঃ কাঁধে বাচ্চা উঠে গেছে তিনি সেই বাচ্চাকে কাঁধে রেখেই ইমামতি করেছেন । কোন এক বাচ্চা মসজিদে কান্না করেছে তার মা সেই কান্না শুনলে অস্থির হয়ে যাবে ভেবে তাড়াতাড়ি নামাজ শেষ করে দিয়েছিলেন অথচ সেদিন ভাবছিলেন অনেক লম্বা সূরায় নামায শেষ করবেন ।
.
মসজিদে এক গ্রামের লোক এসে প্রস্রাব করা শুরু করে দিয়েছিলো । পবিত্র স্থানে এমন কান্ড দেখে সবাই তাকে বারণ করা শুরু করতেছে এমন সময় দয়াল নবী বললেন ওকে থামাইয়ো না । প্রস্রাব করতে দাও । শেষে তিনি আবার বললেন, ওর প্রস্রাবে এক বালতি পানি ঢেলে দাও ।
.
ঘটনা এখানে শেষ না । নামাজ শেষে ঐ গ্রামের লোক দোআ করলেন । ইয়া আল্লাহ তুমি কেবলি আমি আর মহানবী সঃ কে রহমত করো আর কাউকে নয় কারণ বাকী সবাই বাঁকা চোখে তাকিয়েছে ।
.
আমরা আসলে মসজিদ বানিয়েছি । একটার জায়গায় দশটা ফ্যান । টাইলস, এসি, ঘড়ি, মাইক সবই আছে কিন্তু সেখানে আসলে আভিজাত্য ছাড়া কিছু নেই । মাটির মসজিদে একটা কাপড় বিছিয়ে তার নীচে কংকর অথচ সেই মসজিদে সিজদা করতেন প্রিয় নবী এবং সাহাবীরা ।
.
হৃদয় মসজিদ করতে হবে । ঘরকে না । এক যুগ আগেও মসজিদে শুয়ে থাকতাম । এখন সেসব মসজিদের বারান্দাও লক থাকে । কেবল নামাজের টাইমে খোলা হয় । চুরির ভয় ।
.
কবি নজরুলের মানুষ কবিতায় একটি লাইন আছে, ‘খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা?
সব দ্বার এর খোলা রবে, চালা হাতুড়ি শাবল চালা!’
.
দুনিয়ার সব নিয়ম এখন মসজিদে । আতংকে অনেক বাচ্চারা মসজিদ যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে । বাচ্চাদের দুষ্টমি একদিন ঠিক হয়ে যাবে । কিন্তু আপনার কারণে যে বাচ্চাটা মসজিদ বিমুখ হয়ে কোন একদিন নাস্তিক হয়ে গেলে তার দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৬