প্রায় সময় স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ইপিজেড শাখায় যেতাম । অসম্ভব ভালো লাগার একজন মানুষ ছিলো মন্জু ভাই । তাকে ভালো লাগার অন্যতম কারণ তিনি মজা করে কথা বলতেন আর কখনো তার চেহারায় বিরক্তিবোধ প্রকাশ পেতো না ।
.
তারপর তিনি আগ্রাবাদ কর্পোরেট হেড অফিসে চলে এসেছেন ট্রান্সফার হয়ে এমন । তবুও ইপিজেড শাখায় গেলে একবার হলে জিঞ্জেস করি, মন্জু ভাই কই? বারবার একই উত্তর আসে । উনি এখানে নেই ।
.
মাঝে মাঝে ব্যাংকের সার্ভিস কেমন জানতে উপর থেকে ফোন আসে । বলি সার্ভিস ভালো আছে তবে মন্জু ভাইয়ের সার্ভিস বেশী ভালো । রিভিউ দেওয়ার পর হঠাৎ মনে পরে, মন্জু ভাই তো নাই এই ব্রাঞ্চে । উল্টো উপর মহল হয়তো মনে করতে পারে মন্জু ভাই আমাকে ঘুষ দিয়েছে ভালো রিভিউ দেওয়ার জন্য । আসলে বেপারটা হলো কিছু মানুষ মনে দাগ কাটে । কিছু মানুষ কাটে না ।
.
এলাকায় তুমুল জনপ্রিয় একজন মানুষকে একবার প্রশ্ন করেছিলাম, আপনাকে সবাই এতো ভালোবাসে কেনো? সে বললো, ভাই দুটা জিনিস । এক হাসিমুখে সালাম দিবেন তারপর পারলে সর্বোচ্চ এক কাপ রং চা খাওয়াবেন । এর বেশী কিছু না ।
.
যাই হোক, সেদিনও গিয়ে রুহেল ভাইকে অভ্যাসবশত জিজ্ঞেস করলাম, মন্জু ভাই কই? সে বললো, উনি তো আর নাই । আমি ভাবছি, হয়তো আমার রিভিউয়ের কারণে তার চাকরটা চলে গেছে ।
.
এই পর্যন্ত বেপারটা রম্যের মতো ছিলো । ভাবছিলাম ঘটনাটা কষিয়ে লিখলে ভালো একটা রম্য হবে ।
.
আবার জনতে ইচ্ছে হলো, কোথায় চলে গেছে । উত্তর আসলো, হুট করে স্ট্রোক করে মারা গেছে । হতভম্ব হয়ে গেলাম । প্রতিদিন কত খবর আসে পত্রিকার পাতা ভরে, জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে ।