জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছি। এক গলির ভেতরের এক বিল্ডিংয়ের উপর থেকে ১০০ টাকার নোট পড়লো আমার সামনে। তারপর এক মেয়ে উপর থেকে বলল, ' আমাদের মহিলা হোস্টেল। এই ১০০ টাকা মসজিদে দিয়ে দেবেন ভাই।'
মেয়েটির হয়তো খুব ইচ্ছে হয়েছে, জুম্মার দিন মসজিদে দান করবে। কিন্তু পরিবারের কেউ নেই। হয়তো সবাই এলাকাতে। মানুষের জীবন কতোইনা বৈচিত্র্যময়!
মেয়েটিকে দেখিনি, তবে তাকে বোনের মত মনে হয়েছে। তার জন্য দোয়া রইলো।
উপরের ঘটনাটি লেখক ফরিদুল ইসলাম নির্জনের টাইমলাইম থেকে নেওয়া
আমার সাথেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল,
গলির মুখ দিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ এক ছাত্রী হোস্টেলের উপর থেকে একটা পলেথিনের ব্যাগ নিচে এসে পড়লো। উপরে তাকিয়ে দেখি জয়া আহসানের মতো একটা সুন্দরী হাতের ইশারা করে বলছে, বাসায় কেউ নেই তাই নীচে যেতে পারছি না। কষ্ট করে একটু সামনের ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েন। উপকার হবে।
মানুষের জীবন কতোইনা বৈচিত্র্যময়!
মেয়েটিকে ভালো করে দেখিনি, তবুও তাকে জয়া আহসানের মতো মনে হয়েছিলো । তার জন্য দোয়া করেছিলাম । সে যেনো একটা ভালো পাত্রের সন্ধান লাভ করে যে রোজ করে বাসার ময়লা ডাস্টবিনে ফেলে আসবে।
আজ কয়েক বছর পর, হয়তো সেই মেয়েটি ফরিদুলের সাথে একই কাজ করেছে। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভিন্নরূপে। এভাবে বদলে যাক সমাজ।