হেমন্ত চলে গেল কুকিলের ডাক শূনতে পেলামনা (ঢাকাতে)। আর গ্রীস্ম চলে যাবে, কিন্তু কাল বৈশাখীর দেখা পব না! কিন্তু না বিডি নিউজ ২৪ ডট কম এ ভিজিট করে দেখি "রংপুরে টর্নেডোয় পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৪"। তার মানে কাল বৈশাখী রংপুরে হানা করেছে, ঢাকাতে আসে নাই। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুত হতে থাকলাম কারন কেন্দ্রিয় গনগ্রন্থাগারের সামনে ১০:৩০ মিনিটে উপস্থিত হতে হবে, বিডিওএসএন এর পক্ষে উইকিপিডিয়ার জন্য। যইহোক বাসা থেকে বাহির হওয়ার সময় ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখি ৮:৩০। রাস্তায় নেমে কিছু দূর যওয়ার পরেই দেখতে পেলাম একটি মেলা হেচ্ছে, তাও আবার রস্তার উপর! মেলায় জন সাধারনের উপস্থিতি তেমন নেই। আমাদের বাসা থেকে নেমে প্রথম একটি ছোট গলি ধরে এগিয়ে যেতে বড় রস্তায় পৌছার জন্য। বড় রাস্তায় উঠেই দেখতে পাই মানুষের ঢল, সবার একটাই উদ্দেশ্য রমনা। খুব কষ্ট করে একটি বসে চরে বসলাম আসাকেও সেই রমনার দিকেই যেতে হবে, কারন গনগ্রন্থাগার আর রমনা কছা কছি । আমি পূর্বেই জানতাম আজকের বাস কউরান বাজার থেকে বাঁদিক দিয়ে মোরনিয়ে মালিবাগের দিক দিয়ে যাবে। কউরান বাজার মোরে এসে বাস থেকে নেমে গেলাম, চেয়ে দেখি এ যেন এক জন সমুদ্র। সবার যত্রা পথ এক, কিন্তু উদ্দেশ্য হয়ত সবার এক নয়(কারন আমাদের সামাজিক অবক্ষয়তা) । আস্তে আস্তে হেটে সামনের দিকে যেতে থাকলাম, শেরাটনের সামনে যেয়ে দেখি অনেক মানুষের ভীর, প্রথমে ভাবলাম হয়ত কোন ঝগরা ঝাটি হবে, কিন্তু না কিছুক্ষনের মধ্যে রহষ্যের জাল থেকে বাহির হয়ে আসলাম, এখানে কয়েক জন আমাদের অতি পরিচিত ভাইজানেরা তাদের অত্যন্ত কর্তব্য পরায়নতা করছেন । তারা হাজার হাজার মানুষকে চেকিং করতেছেন(৪/৫ জন পুলিশ)! একি অবেবস্থা এখানে একটি বড় স্কেনার বসালেই পরত। যাইহোক এ ঝামেলা শেষ করে আবারও সামনের দিকে হাঁটতে থাকলাম। ইব্রাহিম হাসপাতালের সামনে পৌছাতেই কানে ভেসে উঠল ঝৃষিজ শিল্পি গুষ্ঠির গান, আস্তে আস্তে সাহাবাগ মোর পার হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম, দখেতে পেলাম তাদের মন্চটি শিশু পার্কের ভিতরে । আস্তে আস্তে রমনার গেটের কাছে উপস্তিত হয়ে গেলাম । ভিতরে ঢোকতে যেয়ে দেখি দুই ধারে পুলিশ মধ্যে কানে একটি স্কেনার বসানো আছে। যাক, মনে মনে ভাবলাম ভিতরে গিয়ে নির্ভয়ে কথক্ষন ছায়ানটের পাশে দাড়িয়ে মন খোলে কিছু ভাল ভাল গান শুনে আসি। কিন্তু না, কিছু দূর যাওয়ার পরই দেখতে পেলাম এক টুকাই একটা ছালার বেগ হাতে নিয়ে ঘুরতেছে, শরীরটা হঠাৎ শিহরিত হয়ে উঠল। মনের মাঝে একটি ভ্রন্ত ভাবনা এসে বাসা বাঁধল, যে এই টুকাই দ্বারা কি না সম্ভব(কারন আমাদের সামাজিক অবক্ষয়তা)!
এই ভাবনা নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম। কতদূর যওয়ার আরও একটি দৃশ্য চোখের সামনে পরল, যইহোক এইটির বেপারে আর কিছূই বলতে চাচিছনা। ছায়ানটের কাছাকাছি যেয়ে কথক্ষন দাড়িয়ে দাড়িয়ে গান শুনতে চেষ্ঠা করলাম । মানুষে হৈচৈই এর জন্য তেমন ভাল শুনতে পেলাম না। এবার বাহির হওয়ার জন্য পথ ধরলাম ইন্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে দিয়ে যে গেটটি রয়েছে সেই গেট দিয়ে বাহির হওয়ার সময় লক্ষ করলাম, এই দিক দিয়ে মানুষ বাহিরও হেচেছ এবং ভিতরে ঢোকতেছেও কিন্তু এই গেটে কোন স্কেনার নেই! এই হল অতিরিক্ত নিরাপত্তা বেবস্থা। এখান থেকে বাহির হয়ে আমি আমার গন্তব্যে চলে এলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



