somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা বনাম আমড়া

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবি ক্রেডিটঃ গুগল

তখন আমরা তিন বান্ধুবী ক্লাস নাইনে পড়ি। আমার স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি সবজায়গায় তিন ভালো বান্ধুবীই হয় কেন জানিনা! তিন আমার লাকি নাম্বার কিনা তাও জানিনা! আমাদের ঐ সময় টিনএজদের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ ডে উদযাপন শুরু হয়। এইদিনে আমরা একে অপরকে ফ্রেন্ডশিপ বেল্ট পরাতাম আর ভাই-বোন, কাজিন দ্বারা এমনকি নিজে নিজের হাতে ফ্রেন্ডশিপ বেল্ট পরিয়ে হাতে বেলতের সংখ্যা বাড়িয়ে ভাব দেখাতাম আমার তোমাদের থেকে বেশি ফ্রেন্ড। তখন যার হাতে যত বেশি বেল্ট থাকতো তাকে ততো বন্ধুমহলে ফেমাস মনে করা হতো।

আমাদের মেয়েদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা হতো কে কার চেয়ে বেশি সুন্দর বেল্ট বানিয়ে আনতে পারে বাসায় সুতো দিয়ে। তাই সুন্দর ফ্রেন্ডশিপ বেল্টের চক্করে না কিনে বাসার সব সুতা করতাম সাবাড়। তো আমরা তিন বান্ধুবী আমি, মুক্তা, সুইটি একে অপরকে নিজেদের বানানো ফ্রেন্ডশিপ বেল্ট পরিয়ে টিফিন পিরিয়ডে নিচে গেলাম টিফিন করতে। হঠাৎ সুইটি জিজ্ঞেস করল, 'আমরা কত?' আমরা দুজন হতভম্ব হয়ে বললাম, 'আমরা তিনজন'। ও আবার জিজ্ঞেস করল, 'আমরা কত?' আমরা দুজন একে অপরের মুখের দিকে তাকালাম। ও দেখতে পারছে আমরা তিনজন তবুও ও জিজ্ঞেস করছে! তাই অগত্যা আবার বললাম, 'আমরা তিনজন'। এবার ধৈর্যহারা হয়ে ও আবার জিজ্ঞেস করল, 'আ-ম-রা কত?' এইবার আমরাও বিরক্ত হয়ে উত্তর করলাম, 'আ-ম-রা তি-ন-জ-ন'। ও বোঝাতে পারছে না ও কোন আমড়ার কথা বলছে, আমরাও বুঝতে পারছি না ও কোন আমরার কথা বলছে। এবার ও আর না পেরে বলল, 'আরে! খাওয়ার আমড়া! কত?' আমরা দুজন আকাশ থেকে পড়ব না মাটি খুঁড়ে বের হব বুঝতে না পেরে সারেন্ডারের সুরে বললাম, 'ও! আমড়া! তিন টাকা।' উফ! কি ছিল সেই দিনগুলো! উফ! সেই বয়স! উফ! কি ছিলাম আমরা! বোকা!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×