somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনটা তো সুন্দর

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবি ক্রেডিটঃ গুগল

"Life is Beautiful" এই মুভিটা আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন। জীবনটা আসলেও সুন্দর। এখন ব্যাপারটা হচ্ছে আপনি কিভাবে জীবনটাকে দেখেন। জীবনটাকে সুন্দর ভাবলে সুন্দর আর বাজে ভাবলে বাজে। আমাদের জীবনে কতো রকম দশাই না আসে। মাঝেমধ্যে মনে হয় 'আমার মতো জঘন্য জীবন যেন অন্য কারোর না হয়', এরপর হয়তোবা 'আমি এখন কি করবো?' এই পরিস্থিতিতে একবার হলেও পড়তে হয়, এরপর শেষমেশ এও মনে হয় 'আমার জীবনের সব শ্যাষ, আর কিছু বাকি নাই শ্যাষ হওয়ার মতো।' যদি এতো কিছু মনে হয়ে থাকে তাহলে বুঝে নেন এরপর আপনি ভাববেনই 'লাইফ ইজ বিউটিফুল।'

একটা গাড়ি চলতে চলতে হয়তোবা একবার জোরে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুচড়ে যায় কিন্তু ওই গাড়িটা ঠিক ঠিক পেট্রোল নিয়ে চলে একটা নতুন বাঁক নেয়। মানুষের জীবনটাও তাই। পথে চলতে চলতে সজোরে ধাক্কা খেয়ে খেই হারিয়ে ফেলে। তখন 'এখন আমি কি করবো এই দশাটা আসে। তখন নৈরাশ্য, বিষণ্ণতায় মনে হয় "আমার মতো জঘন্য জীবন যেন অন্য কারোর না হয়। এই ধাক্কাটা প্রত্যেকটা মানুষ জীবনে একবার না একবার খাবেই। এই ধাক্কাটা আপনার পরাজয় বরণ করার জন্য নয় বরং জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিপক্ব হবার জন্য। যদি আপনার নৈরাশ্য বিষণ্ণতায় রূপ নেয় তবে সেই বিষণ্ণতাকেই জয় করুন। বসে বসে শোক পালন করা যাবে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

হার প্রতিটা মানুষের জীবনে আসে। হেরে যাওয়াটা ব্যর্থতা না, হারকে মেনে নেওয়াটা ব্যর্থতা। তাই কেউ যদি আপনাকে বলে 'আমি জীবনেও হারি নাই' তাইলে আপনি বুঝে নেন সে জীবনে সফলই না। কারণ অনেকগুলো ব্যর্থতার উপরে সফলতা দাঁড়িয়ে থাকে। আপনি যদি আপনার ব্যর্থতা জয় করতে পারেন তাহলে আপনার জীবনে আপনাকে আবার স্বাগতম। কারণ, আপনি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন।

'আমার জীবনে এটা পেলেই, আমার জীবন সুন্দর হয়ে যাবে' অথবা ' আমার জীবনে এটা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে' এভাবে ভেবে আমরা নিজেদেরকে বোকা বানাই। প্রেমিক হলে 'ব্যাস, ওর মনটা খালি পাই', মা-বাবা হলে 'মেয়ের বিয়েটা দিতে পারলেই হলো/ছেলেটার চাকরি হলেই হলো', বেকার হলে ' কোটি কোটি টাকার মালিক হলেই হলো' আমার আর কিছু লাগবে না। এই দুরাশায় নিজেদেরকে আর কতো বোকা বানাবো? বেঁচে থাকলে চাহিদা থাকবে না তাই কি হয়? যখন আমাদের চাহিদা মতো কিছুই পাই না বা জীবনের অমূল্য কিছু হারিয়ে ফেলি তখন আমরা এজন্য অন্যকে দোষ দিতে থাকি, নিজের দোষ কোথায় ছিলো খুঁজতে থাকি। আসলে দোষ না নিজের, না অন্যের, না পরিস্থিতির। ব্যাস, এটা সময়ের দাবি। সময়েই ঠিক হয়ে যাবে। যখন আপনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেনই তখন জীবন নিয়ে আফসোস না করে নিজেকে নিয়ে ভাবুন। কারণ আপনি যদি আফসোস করেন তবে আপনি উপরওয়ালার রহমতকে অস্বীকার করছেন। উপরওয়ালা এতো খারাপ না। তিনি আপনার সাথে অবিচার করেননি।

যা যাওয়ার তা গেছে, সেটার জন্য হাহাকার তোলার কোনো মানে হয় না। শেষ বলে কিছু নেই, মানুষের জীবনের যেখানে শেষ সেখান থেকেই শুরু। পরিবর্তনের শুরুটা হোক আপনাকে দিয়েই, আর নতুন দিনের শুরু হোক আজ থেকেই।

বি.দ্র. 'Life is Beautiful' মুভিটা কারোর কাছে থাকলে লিঙ্কটা একটু দিয়েন। অনেকদিন ভালো মুভি দেখা হয় না। আর সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। B-)"Life is Beautiful" এই মুভিটা আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন। জীবনটা আসলেও সুন্দর। এখন ব্যাপারটা হচ্ছে আপনি কিভাবে জীবনটাকে দেখেন। জীবনটাকে সুন্দর ভাবলে সুন্দর আর বাজে ভাবলে বাজে। আমাদের জীবনে কতো রকম দশাই না আসে। মাঝেমধ্যে মনে হয় 'আমার মতো জঘন্য জীবন যেন অন্য কারোর না হয়', এরপর হয়তোবা 'আমি এখন কি করবো?' এই পরিস্থিতিতে একবার হলেও পড়তে হয়, এরপর শেষমেশ এও মনে হয় 'আমার জীবনের সব শ্যাষ, আর কিছু বাকি নাই শ্যাষ হওয়ার মতো।' যদি এতো কিছু মনে হয়ে থাকে তাহলে বুঝে নেন এরপর আপনি ভাববেনই 'লাইফ ইজ বিউটিফুল।'

একটা গাড়ি চলতে চলতে হয়তোবা একবার জোরে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুচড়ে যায় কিন্তু ওই গাড়িটা ঠিক ঠিক পেট্রোল নিয়ে চলে একটা নতুন বাঁক নেয়। মানুষের জীবনটাও তাই। পথে চলতে চলতে সজোরে ধাক্কা খেয়ে খেই হারিয়ে ফেলে। তখন 'এখন আমি কি করবো এই দশাটা আসে। তখন নৈরাশ্য, বিষণ্ণতায় মনে হয় "আমার মতো জঘন্য জীবন যেন অন্য কারোর না হয়। এই ধাক্কাটা প্রত্যেকটা মানুষ জীবনে একবার না একবার খাবেই। এই ধাক্কাটা আপনার পরাজয় বরণ করার জন্য নয় বরং জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিপক্ব হবার জন্য। যদি আপনার নৈরাশ্য বিষণ্ণতায় রূপ নেয় তবে সেই বিষণ্ণতাকেই জয় করুন। বসে বসে শোক পালন করা যাবে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

হার প্রতিটা মানুষের জীবনে আসে। হেরে যাওয়াটা ব্যর্থতা না, হারকে মেনে নেওয়াটা ব্যর্থতা। তাই কেউ যদি আপনাকে বলে 'আমি জীবনেও হারি নাই' তাইলে আপনি বুঝে নেন সে জীবনে সফলই না। কারণ অনেকগুলো ব্যর্থতার উপরে সফলতা দাঁড়িয়ে থাকে। আপনি যদি আপনার ব্যর্থতা জয় করতে পারেন তাহলে আপনার জীবনে আপনাকে আবার স্বাগতম। কারণ, আপনি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন।

'আমার জীবনে এটা পেলেই, আমার জীবন সুন্দর হয়ে যাবে' অথবা ' আমার জীবনে এটা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে' এভাবে ভেবে আমরা নিজেদেরকে বোকা বানাই। প্রেমিক হলে 'ব্যাস, ওর মনটা খালি পাই', মা-বাবা হলে 'মেয়ের বিয়েটা দিতে পারলেই হলো/ছেলেটার চাকরি হলেই হলো', বেকার হলে ' কোটি কোটি টাকার মালিক হলেই হলো' আমার আর কিছু লাগবে না। এই দুরাশায় নিজেদেরকে আর কতো বোকা বানাবো? বেঁচে থাকলে চাহিদা থাকবে না তাই কি হয়? যখন আমাদের চাহিদা মতো কিছুই পাই না বা জীবনের অমূল্য কিছু হারিয়ে ফেলি তখন আমরা এজন্য অন্যকে দোষ দিতে থাকি, নিজের দোষ কোথায় ছিলো খুঁজতে থাকি। আসলে দোষ না নিজের, না অন্যের, না পরিস্থিতির। ব্যাস, এটা সময়ের দাবি। সময়েই ঠিক হয়ে যাবে। যখন আপনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেনই তখন জীবন নিয়ে আফসোস না করে নিজেকে নিয়ে ভাবুন। কারণ আপনি যদি আফসোস করেন তবে আপনি উপরওয়ালার রহমতকে অস্বীকার করছেন। উপরওয়ালা এতো খারাপ না। তিনি আপনার সাথে অবিচার করেননি।

যা যাওয়ার তা গেছে, সেটার জন্য হাহাকার তোলার কোনো মানে হয় না। শেষ বলে কিছু নেই, মানুষের জীবনের যেখানে শেষ সেখান থেকেই শুরু। পরিবর্তনের শুরুটা হোক আপনাকে দিয়েই, আর নতুন দিনের শুরু হোক আজ থেকেই।

বি.দ্র. 'Life is Beautiful' মুভিটা কারোর কাছে থাকলে লিঙ্কটা একটু দিয়েন। অনেকদিন ভালো মুভি দেখা হয় না। আর সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। B-)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×