বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম-
বিগত নির্বাচনে বর্তমান সরকার ঘোষনা করেছিল,তারা ক্ষমতায় গেলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বেন।ডিজিটাল নিয়ে তখন হৈ চৈ হয়েছিল। বিএনপিসহ চারদলীয় জোট ডিজিটালের ব্যাখ্যা দাবী করেছিল। তরুন প্রজম্ম ডিজিটাল শ্লোগান কে খুব পজেটিভ ভাবে নিয়েছিল। তরুণদের কাছে ডিজিটাল ছিল মহা কৌতুহলের বস্তু। তারন্যের প্রবল আগ্রহে,ডিজিটাল হবার স্বপ্নে,নতুনত্বের সন্ধানে,দিনবদলের প্রত্যাশায় তারা বর্তমান সরকারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছিল।
আমি নির্বাচনের সময় রাজশাহীতে পর্যবেক্ষক হিসাবে ছিলাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আশপাশের সবগুলো কেন্দ্রে আমার যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। কোন কেন্দ্রে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনী পরিবেশ ছিল এক কথায় চমৎকার। তরুণ প্রজম্ম মন থেকেই ডিজিটাল হওয়ার আশায় ভোট দিয়েছিল। নির্বাচনের পূর্ববর্তী সমাবেশ গুলোতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জনগনের মনে আশা জাগাতে সক্ষম হয়েছিলেন।তখনকার পত্র প্রত্রিকায় আশাব্যঞ্জক কিছু খবর প্রতিদিন বের হচ্ছিল।
খবরগুলো ছিল-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী জনসভায় ঘোষণা দিয়েছেন- ৩০ টাকা চাল খাবো না- ধানের শীষে ভোট দেবো না।
নৌকা মার্কায় ভোট দেব- ১০ টাকা চাল খাবো। গরীব দিনমজুর চাকরীজীবির ছেলেমেয়েরা যাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করতে পারে সে জন্য ডিগ্রী পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের বিনা বেতনে পড়াব। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে কৃষি ভর্তুকি বাড়াব এবং কৃষকদের জন্য সার ফ্রি করে দেবো। প্রত্যেক পরিবারে একজন করে বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরি দেবো।
‘আশায় মানুষ বাধে বাসা,আশায় ফোটায় ফুল,আশার তরে জীবন মরণ, আশাই সুখের মুল’ এই কাব্যিকতা কে সামনে নিয়ে মানুষ আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়েছিল।
নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন দল হাজার মানুষের সামনে করা সকল প্রতিশ্রুতি অস্বীকার করলো। এবং বিরোধীদল মিথ্যাচার করছে বলে প্রচার শুরু করলো।
অবশেষে
আওয়ামীলীগকে এর জবাব বিরোধীদল ডিজিটালীয় কায়দায় দিতে সক্ষম হল। বিএনপি ঢাকার মহাসমাবেশে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্প্রচার করলো। যদিও আমাদের রাজনীতির ইতিহাসে এটা প্রখম যে এক দলের সমাবেশে অন্য দলের নেত্রীর বক্তব্য হুবহু প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করলো। অনেকটা হোমওয়ার্ক করেই বিএনপি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন বক্তব্যের কপি জনগনকে দিতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হয়তো এবার আর অস্বীকার করতে পারবেন না। বিএনপি র সমাবেশে আসা এক বৃদ্ধলোক শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনে মন্তব্য করেছেন-দেশ এবং বিরোধীদল ডিজিটাল।সরকারকে এনালগ হলে চলবেনা। সরকারকে যে কোন কথা বলতে সতর্ক হতে হবে।না হলে প্রযুক্তির কল্যাণে সব জনসম্মুখে চলে আসবে।
জনগনের দাবী, জনগনের সমর্থনে তুলে ধরায় আমরা বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাই। প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা এই ভিডিও অনেক আগেই দেখেছি। বিএনপি তুলে ধরার কারনে দাবী আরো জোরালো হল। আমরা আশা করি সরকার তার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে আন্তরিক হবেন। জনগনের কল্যাণে কাজ করে যাবেন। সময়ের শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন।
বিএনপি এ উদ্দ্যোগকে সাদুবাদ জানাই এ জন্য যে, ভবিষ্যৎ-এ রাজনীতিবীদরা দেশের মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বোকা বানানোর অপচেষ্টা,থেকে দরে থাকবে।
সুঘ্রাণ কাদের,২৩ মে,
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



