somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হরতালকে ঠেংগা দেখালো সৈয়দপুরের জনসাধারণ

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এতদিন যারাই হরতালের বিপক্ষে মিছিল সমাবেশ করেছে, জনগনের কাছে হরতালের কুফল তুলে ধরেছে, আইন করে হরতাল নিষিদ্ধ’র দাবী করেছে আর আজ তারাই হরতাল আহবান করেছে- ঠিক এই রকম প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গনজাগরণ মঞ্চের ডাকা আধা বেলা হরতাল পুরোপুরি প্রত্যাখান করেছে গোটা সৈয়দপুরের জনসাধারণ যার চিত্র সকালে ঘুরে গোটা সৈয়দপুরে দেখা গেল।
সকাল থেকেই সৈয়দপুর শহরের অবস্থ্যা ছিল নিত্যদিনের ন্যায় ব্যস্ত। ছোট রেল ঘুন্টি থেকে বড় ঘুন্টি পর্যন্ত, মদিনা মোড় থেকে রাবেয়া পর্যন্ত, পাচমাথা মোড় থেকে সৈয়দপুর টার্মিনাল পর্যন্ত এবং শহরের সব ব্যস্ততম মোড় জিকরুল হক রোড, শামসুল হক রোড, কাপড় মার্কেট ও সৈয়দপুর প্লাজা ছিল অন্যান্যদের ন্যায় চঞ্চলবস্থা। মার্কেটগুলোর সব দোকান পাট ছিল সকাল থেকে খোলা, গাড়ি ঘোড়া ছিল প্রতিদিনের ন্যায় তাই অন্যান্য দিনের ন্যায় আজও যানজট ছিল নিত্যদিনের মত।
*
এক সময় সৈয়দপুর গণজাগরণমঞ্চের সক্রিয় কর্মি মোজাহিদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, আমরা যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে রাস্তায় নেমেছিলাম তখন জনগন আমাদের সমর্থন দিয়েছিল, আমরা ইমরান এইচ সরকারকে সৈয়দপুর বরন করেছিলাম তখন রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছিল গণজাগরণমঞ্চের কর্মীদের স্বাগতম জানাতে কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চের কিছু কর্মিদের নিত্যদিন ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করায় আমরা আস্তে আস্তে নিস্কৃয় হয়ে পড়লাম, জনগন আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং আজও আসিফ মহিউদ্দিন সহ কিছু গণজাগরণ মঞ্চের কর্মির ইসলাম অবমাননামুলক স্টাটাস এর কারনে আমরা হরতালের সমর্থনে একটি সামান্য মিছিলও করতে পারিনি এবং আমাদের এরুপ করারও ইচ্ছা নাই কারন আসিফ এর মত লোক যতদিন গণজাগরণমঞ্চের সাথে থাকবে ততদিন আমরা মঞ্চের কার্যক্রমকে এড়িয়ে চলাই শ্রেয় মনে করবো।
এর ফলাফল আপনি নিজেই দেখুন সৈয়দপুরের জনগন হরতালকে বিন্দুমাত্র প্রশৃয় দেয় নি। সব কিছু আগের মতই রয়েছে।
তাই বলা যায় গণজাগরণ মঞ্চের ডাকা আধা বেলা হরতাল পুরোপুরি প্রত্যাখান করলো সৈয়দপুরবাসী

*
শহরের ছোট রেল ঘুন্টির ফ্লেক্সি লোড দোকানদার সোহেল জানান- দোকান সকাল থেকেই খুলেছি, কিসের হরতাল, আগেও মানে নি, এখনো মানবো না, হরতাল ডাকলেও তারাতো আহার দিয়ে যায় না।
*
কথা হয় সৈয়দপুর শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম মোড় মাদিনা মোড়ের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী মিজানের সাথে- তিনি আক্ষেপের সাথে বলেন “এমন গোষ্টি হরতাল আহবান করেছে, তা মানলে আমার অন্তরআত্মার সাথে বেঈমানী করা হবে, যাদের মধ্যে অনেকেই আমার ধর্ম নিয়ে প্রতিদিন খেলা করে, তাদের হরতাল আমরা কখনোই মানতে পারি না বলে সকাল থেকে দোকান খুলে বসে আছি, দেখি কে আসে বাধা দিতে।
*
জিকরুল হক রোডের কাপড় ব্যবসায়ী মুন্না, সৈয়দপুর টার্মিনালের শুটকি ব্যবসায়ী রফিকুল, বড় ঘুন্টির মুদি দোকানদার তরিকুল সবার সাথে কথা হলে একই সুরে তারা বলেন যে “হরতাল আহবানকারির চামড়ার মুখ আছে বলে দিলো যে কাল হরতাল, কিন্তু হরতারে ব্যবসা বন্ধ রাখলে তারা এসে তো আমাদের খাবার দিয়ে যায় না আর’ তাছাড়া শুনেছি গণজাগরণ মঞ্চের অনেক কর্মি আমাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ী করে- তাই তাদের ডাকা হরতাল মানা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়” হত্যাকারীর বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত, একটি মানুষকে মেরে দেওয়া হল, তারতো বিচার হওয়া উচিত কিন্তু যারা হরতাল ডেকেছে তারাই এর আগে হরতালের বিপক্ষে ছিল, তাহলে আজ কেন তারা হরতাল ডাকলো, দুঃখিত আমরা হরতাল মানলাম না বলে সকাল থেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আছি।
তাই বলা যায় গণজাগরণ মঞ্চের ডাকা আধা বেলা হরতাল পুরোপুরি প্রত্যাখান করলো সৈয়দপুরবাসী
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭



অনেক দিন পর আমি আজ এই হোটেলে নাস্তা করেছি। খুব তৃপ্তি করে নাস্তা করেছি। এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা। ঠিকনা: ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডম ভবেরচর, গজারিয়া, মন্সীগঞ্জ। দুইটি তুন্দুল রুটি আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×