বাতাসের বড় জাপটায় কাঠবিড়ালীর ভয়, অমবস্যায় জোনাক পোকার সারি আর গুমোট বৃষ্টির চিড় চিড়ে ব্যথা। বৃষ্টির পরে কখনো আবাহনে ব্রক্ষপুত্রের পারে একদিন ঠিক অভিমানী হতে চাওয়া, চড়াই আর উতরাই- এ যদি হয় মনের কোনের চিড় ধরা বিশ্বাসটুকু; রুপালী রাতের চাঁদ দেখে গান গায় বোকারা আর কবিতা গুলো শুন্য হাওয়া; বোকা হয়ে বেঁচে থাকার অদম্য স্বপ্ন দেখে যারা তাদের মতই দিন রাত্রি যাপন। মুখে মুখোশ পড়ে বের হলে চন্দ্রমল্লিকার আভা আড়াল হয়না, মুখোশের আড়ালেই মুখ থাকে, মুখের আড়ালে নয়।
মাঝে মাঝে যখন সাঁজের বেলায় লেজটুকু নেড়ে চেড়ে একটু এগাছ ওগাছ করতে ইচ্ছে করে তখন মিয়াজী বাড়ীর নেড়ী কুত্তাগুলোর ক্রমাগত ঘেউ ঘেউ শব্দ শুনলে অস্থির লাগে, ভয়ানক তাদের চিৎকার আর বিশ্রী ওগুলোর লালা।
কিন্তূ অমবস্যার রাতে যখন হুতুম পেঁচার আলসেমি দেখি তখন মুখ চিপে শুধু হাসি পায়। ক্ষুদ্র একটা জীবন, তাতে এত কিছু হারানোর ভয়! জীবন হারানোর ভয়, স্বপ্ন হারানোর ভয়, প্রতারিত হওয়ার ভয়, পাওয়া না পাওয়ার ভয়, আর ও ভয় ছোট হওয়ার; তবু বেঁচে থাকা অথবা বেঁচে থাকার চেষ্টা করা।
- গুমোট মেঘের বৃষ্টি

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




