শিরোনাম পড়ে হয়তো দেশদ্রোহী ভাবতে পারেন। কিন্তু কি করব?
দেশের অবস্হা যদি এই হয়। সংসদ আছে, দেশে আইন আছে, বিচার বিভাগ আছে তার পরও কালো বাহীনির হাতে প্রতিদিন ২/৪ জন বিনা বিচারে প্রাণ দিচ্ছে।
অথচ সাজানো হচ্ছে নাটক। সেই একই বস্তাপচাঁ কাহিনী। ৪/৫ জন সন্দেহভাজন কে চ্যালেন্জ করলে কালো বাহীনির উপর গুলি চালায়। কালো বাহীনির সদস্যদের পাল্টা গুলিতে অমুক বাহিনীর প্রধান বা প্রধানের সহযোগী নিহত, সাথে কিছু গুলির খোসা ও একটি অবৈধ কিছু উদ্ধার। বিভিন্ন থানায় তার নামে ১০/১২ টি মামলার বিবারণ শোনা যায়। ব্যাস কিস্তা খতম।
আমার কেন জানি জানেত ইচছা করে তাহলে থানা গুলো আর গুলো পুলিশ রেখেই বা কি লাভ। ১০/১২ টি মামলা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর ঐ সকল থানার পুলিশগুলো শুধু বসে কি ললিপপ খায়? আর অবশেষে আজরাঈলের কাজটা কালো বাহীনির করতে হয়!
এই মৃত্যুই যদি কালো বাহীনির বিচার হয় তাহলে বিচার বিভাগ না থাকা ভাল।
বিচার বিভাগ থাকলেই বা কি? ছোট বেলায় শুনতাম আইন নাকি অন্ধ। এখন দেখি আইনের চোখ ফুটেছে। ধনী-গরীব ব্যবধান বোঝো। আবার নিন্ম আদালতের ফাঁসির আসামী উচ্চ আদালতে বেকসুর খালাশ পায়। দুই আদালতের আইন কি দুই রকম? না হলে এমন হয় কেন? আবার ইদানিং দলের ব্যনারে রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের হিড়িক দেখেও প্রশ্ন জাগে আদালত থাকার দরকার কি? যেখানে প্রকাশ্য খুনের আসামী ক্ষমা পায়। আবার ক্ষমার সাগর দলীয় রাষ্টপতি তো আছেই!
আমরা কোথায় গেলে সুবিচার পাব? নেই দলীয় কোন পরিচয়? তাহলে কি আল্লাহ আমাদের শেষ ভরসা।
একটি গল্প দিয়ে শেষ করি :
এক গ্রামে এক অশিক্ষিত বুড়ী বাস করত। তার আপন বলতে কেউ ছিল না। আয়ের কোন পথ ও ছিল না। থাকার মধ্যে কিছু বাঁশ (ঝাড়) ছিল। তো প্রায় সেই বাশ থেকে গ্রামের বখাটে ছেলেরা বাশ কেটে নিয়ে যেত। বুড়ী মোড়লের নিকট বিচারের জন্য যেত। মোড়ল বিচার করত, জরিমানা করত, কিন্তু বখাটেরা আবার বুড়ির বাশ চুরি করে বেচেঁ জরিমানা শোধ করত। বুড়ী আবারও মোড়লের নিকট বিচারের জন্য যেত। আবারও একই ঘটত। অগত্য মোড়ল বুড়ী কে বলল, আললাহর কাছে বিচার দাও। আমার আর কিছু করার নেই। দেখবে হাশরের মাঠে তোমার বাঁশের বিচার হবে, বাঁশ পাবে। বুড়ী দুঃখের সহিত বলল, হাশরের দিন সবার বিচার দেখব, নাকি অত লোকের মাঝখান দিয়ে আমার বাঁশ টেনে নিয়ে বেড়াব।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




