বালিকা, তোমার মন ঈশ্বর কি বোঝে? তুমি নিজে কতোটুকু বোঝো? তুমি কি চাও, কি নাও, আগলে রাখো পরমাদরে; পরক্ষণেই ছুড়ে দাও আস্তাকুড়ে! দুর্ভেদ্য গহীন অরণ্য তুমি। কিন্তু আমি যে আর অভিযান চাই না। উহু, শুধু দুর্ভোগ, বড়ো দুর্ভোগ এতে।
বালিকা, আমার দিগন্ত দেখার রঙিন দুরবিনটা হারিয়ে গেছে; কখন অগোচরে। সময়ের হিসেব রাখিনি। হঠাৎ স্যাঁতস্যাঁতে পুরনো রুকস্যাক খুলে দেখি, নেই।
তোমার সতত সঞ্চারী মনের গতিপথ চতুর ঈশ্বরও পারে না বুঝতে। আমি ছাই মামুলি মনুষ্য! তার ’পর নিরামিষভোজী ক্ষীণ শরীর। মেধার বিকাশ ঘটেনি বলে জীবিতাবস্থায় পিতা কতো যে তিরস্কার করেছিলো! তারচেয়ে ভালো পালাই সড়ক ছেড়ে। আমি আর ফিরবো না কোনওদিন।
বালিকা, ওমনি ঝুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে আবার কোনও ম্লান অপরাহ্নে আমায় ভেবে ফেলবে দীর্ঘশ্বাস? কখনও গোলাপ কেঁপেছিলো ঠোঁটে। রংবাজ ফেরেনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫১