somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিজিটাল বাংলাদেশ:৩য় পর্ব (২৮ অক্টোবর এর উপর উৎসর্গকৃত একটি উপন্যাস)

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি এখন “কল গার্ল আইকন-২০০৯” এর ফাইনাল রাউন্ডে দর্শকদের সারিতে আসন গ্রহনের জন্য রওয়ানা দিচ্ছি। নেত্রী আমাকে একটি বিদেশী কোম্পানীর কাছ থেকে মার্সিডিজ বেঞ্জের একটা লাল টকটকে পাজারো কিনে উপহার দিয়েছে। গাড়িটা খুব সুন্দর। গাড়ির ভিতরে পা রাখার জায়গায় চমৎকার কার্পেট বিছানো। ড্রাইভারটাকে মানা করেছি জুতা সহযোগে গাড়িতে উঠতে। আমি নিজেও খালি পায়ে গাড়ির ভিতরে পদার্পন করি। রাজ্যকন্যা আমাকে বললেন,
-ছোকড়া গাড়িতো একটা দিয়ে দিলাম। এখন দলের এই দুর্যোগময় মুহুর্তে দশের উপর আরো প্রচন্ড বেগে ঝাপাইয়া পড়।
আমি বললাম,
-স্যার যা সুন্দর গাড়ি পাইছি। আমার আর কোন বাড়ি-ঘর লাগবো না। গাড়িতেই খামো, গাড়িতেই ঘুমামো। আর সারা দেশময় গাড়ি দৌড়াইয়্যা রাজপথে রাজপথে আগুনের ফুলকি ছড়ামো।

অনুষ্ঠানে একদম থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কলগার্লদের অভিবাভক, শুভাকাংখীরা ছাড়াও আরো অনেক সংগ কাংখীরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার এক ফাঁকে আমি নট-নটীদের সাজঘরে ঢুকে সেদিনকার দেখা হওয়া বালিকা-বালিকা চেহারার সেই ঊর্মিমালাকে একটি টিপস্‌ দিয়ে আসলাম। অনুষ্ঠানটি যথারীতি শুরু হল। আমি সাজগুজের আয়োজনে কর্মরত এক কমকর্তাকে প্রশ্ন করলাম,
-আমাদের কারো সামনে তো আমাদের নিম্নাংশ ঢেকে রাখার জন্য কোন কাষ্ঠ জাতীয় বস্তু কিংবা পারটেক্স জাতীয় বস্তুর আড়াল নেই, কিন্তু ওই বিচারক মহোদয়দের সামনে এই আড়াল জাতীয় কাষ্ঠস্তম্ব বসানো হলো কেন?
কমকর্তাটি বলল,
-বিচারকরা যখন তাদের বিচার কার্যে বসেন তখন এই Kvô¯—¤^¸‡jv দ্বারা তাদের নিম্নভাগের যথাযোগ্য আড়াল করার ব্যাবস্থা করা হয়।
আমি বললাম,
-ও আচ্ছা তাই!
কল গার্ল আইকনরা হেলে-দুলে যৌন ভঙ্গির নতুন নতুন ধরণ দেখাচ্ছে। সবই বড় বড় চোখে ওদের শারিরীক কসরত দেখে মজা পাচ্ছে। আবার আরোও ভালো করে দেখছে; আমিও দেখছি; বিচারকরাও দেখছেন, তবে ওরা অনেক কাছে থেকে দেখছেন। তাই বলে আমি কিন্তু বেশী দূরে নই; অতিথিদের সারিতে বসে সব কিছু অবলোকন করছি।
বিচারকদের সবকিছু খুব কাছ থেকে দেখা দরকার। কারণ, কল গার্লদের সামন-পিছন দেখে পয়েন্টটা তো তাদেরকেই গুণতে হয়। সবাই শুধু দেখছে; কেউ তেমন কোন সাড়া জাগানো আনন্দ পাচ্ছে না। হঠাৎ আমার ঊর্মিমালা আসলো। সবাই একটু ঘাড় মোড় সোজা করে বসলো। ওর বক্ষটা আজ সমুদ্রের ঢেউয়ের মত উর্মিল হয়ে আছে। ওর নিচের জামাটার দৈর্ঘ্য শুধু মাত্র নাভীর নীচ থেকে উরু পর্যন্ত গিয়ে টেকেছে। এ যেন এক নির্মল উপত্যাকার উপর থেকে জঘন্য কাপড়ের টুকরো গুলো সরিয়ে নেয়া হল, যার ভিতরের মূল সৌন্দর্য্যটা বারবার দর্শকদের কাছে ডাকছে। ওর বুকের মধ্যভাগে ব্রার সাথে আটকে থাকা জামাটা এর আভ্যন্তরীণ কোন সৌন্দর্য্যকে বারবার বাহিরে ঠেলে দিচ্ছে। সকল দর্শকরা সজীব হয়ে উঠলো। তারা আরো অতিরিক্তি কিছু দেখার জন্য উকি ঝুকি দিচ্ছে। একজন বিচারক মাইক্রোফোন হতে নিয়ে বললেন,
-ধন্যবাদ তোমাকে। তোমার সুন্দর পারফরমেন্সের জন্য আমরা তোমাকে আগাম সু-সংবাদ দিচ্ছি। কিন্তু একটা বিষয়ে আমার কিছু কৌতুহল থেকেই গেলো.......ইয়ে মানে......ইয়ে তোমার বক্ষটা যদি একটু পরিষ্কার করে দেখাতে......
ঊর্মিমালা দেখালো। দর্শকরা সবাই প্রচন্ড করতালি দিল। আরেকজন বিচারক বলল,
- ঊর্মিমালা বলতো তোমাকে কি বলে ধন্যবাদ জানাবো!! তোমার জামাটা না অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। তোমার শরীরের গেটআপের সাথে একদম মানানসই।
আরেকজন বিচারক প্রশ্ন করলো,
-মেয়ে তোমাকে একটি প্রশ্ন করবো তুমি রাগ করবে না তো?
ঊর্মিমালা হাসতে হাসতে বলল,
-নাহ্‌।
বিচারক মহোদয় আবার বলতে শুরু করলেন,
-তুমি কি নিজ থেকে জামাটা পছন্দ করেছ, না অন্য কারো কাছ থেকে এব্যাপারে কোন পরামর্শ ধার নিয়েছ?
ঊর্মিমালা খনিকটা গম্ভীর হল। আমি কিছুটা উদগ্রীব হয়ে ওর দিকে তাকালাম। ও বলল,
-যার পরামর্শে আমি আজ সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছি, তার নামটি আমি এইমূহুর্তে গভীর শ্রদ্ধার সাথে ¯^iY করছি। তিনি আমার কাছে একজন মহামানব। যদি আমি “কল গার্ল আইকন-২০০৯” পর্বে একজন এওয়ার্ডপ্রাপ্ত সু-কন্যা হতে পারি তবে আমাকে নিয়ে আপনাদের পরবর্তী যে বানিজ্য শুরু হবে, আমি আশা করি তিনি সেই বানিজ্যের একমাত্র অংশীদারী হবেন।
আমি কিছুটা মুচকি হেসে মাথা নাড়ালাম। ঊর্মিমালা হাসতে হাসতে স্টেইজ থেকে বিদায় নিল।
তারপর আরেকটি কল গার্ল আইকন হেলে দুলে আসতে শুরু করলো, বিচারকরা হাত তালি দিতে দিতে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালেন। দর্শকরা শিস আর করতালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করলো। কারণ ললনাটি নিজের শরীরে শুধু ব্রা এবং আন্ডারওয়্যারের ছাপটা জড়িয়ে বাকীটুকু দর্শক এবং বিচারক মন্ডলীর আনন্দের জন্য খুলে দিয়েছে। দুঃখ আমাকে কিছুটা না হয় ঘিরে ধরেছে। ললনাটি কি তাহলে ঊর্মিমালাকে এক ধাপ পিছিয়ে দিল?
অতপর বিচারক মন্ডলী সর্বশেষ প্রতিযোগীর নাম উল্লেখ করলেন। দর্শক সারির সবাই লাফা-লাফি শুরু করে দিল। বিচারক মহোদয়গণ মেয়েটিকে অভিবাদন জানাতে জানাতে আসন ছেড়ে এগিয়ে আসলেন। কারণ মেয়েটির সৌন্দর্য্য একদম প্রস্ফুটিত ছিল; কাপড় জাতীয় কোন বাধাই মেয়েটির কোন সৌন্দর্য্যকে লুকিয়ে রাখতে পারে নি; মেয়েটি ছিল একান্তই উলংগ। বিচারকরা বললেন,
-তুমি আর ফিরে যেতে হবে না, স্টেইজেই দাড়িয়ে থাকো। আমরা বহু কাল যাবত এইদেশে এরকম উলংপনতা ছড়িয়ে দিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উলংপনতা একটি বিশেষ ধরনের কুটির শিল্প। যা এ যাবত কাল শুধু যৌনপল্লীর লোকদেরই জানা ছিল। এই যে তুমি উলংগ হয়ে দাড়িয়ে আছো, আমরা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, তোমার শরীরের বিশেষ বিশেষ স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের শৌল্পিক আভা ছড়িয়ে পড়ছে। এই বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শনের জন্য আমরা নির্ধিদায় আজ তোমার মাথায় চ্যাম্পীয়নশীপ মুকুটটি পড়িয়ে দিচ্ছি।
আমি যা বুঝলাম, পুরষ্কার নিয়ে মূলত একটি সূক্ষ্ণ ষড়যন্ত্র হয়েছে। ঊর্মিমালাই চ্যাম্পীয়নশীপ মুকুটের যোগ্য দাবীদার ছিল। কারণ সেই সর্বোচ্চ এসএমএস পেয়েছিল। তা না হয়ে ঊর্মিমালা দ্বিতীয় হল; আর তৃতীয় হল ওই ব্রা পড়া নীলা রাণী। সর্বশেষ তিন্নির চ্যাম্পীয়ন হওয়ার বিষয়টা সবার মত আমিও মেনে নিয়েছি। তিন্নির উলংগ শরীরের আলো আজ সবার শরীরের আলো-আধারী উলংগ জায়গাটাকে ম্লান করে দিয়েছে। বিশেষ বিশেষ কৃতিত্ব অনেক সময় নিয়মতান্ত্রিক পথকে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে অতিক্রম করে যেতে পারে, এটা জগতের নিতান্তই সাধারণ ঘটনা; যা সকলকেই মেনে নিতে হয়। সাবাই হই হুল্লোড়ে ব্যস্ত থাকলেও দর্শকদের সারিতে বসে তিন্নির পিতা-মাতাদ্বয়ের লজ্জায় কাচুমুচু হয়ে কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকার সোজা-সাপট বোকা দৃশ্যটা আমার নজর এড়ালো না। আমি তাদের কাছে গিয়ে বললাম,
-বাবা-মায়েরা আপনাদের মেয়েটা আজ অনেক বড় হতে চলছে। সেই দৃশ্যটা শেষ পর্যন্ত অপনাদের কাছে বুঝি আনন্দদায়ক মনে হচ্ছে না!? চোখ খুলোন আর খোলা চোখে তাকিয়ে থাকুন, এই তিন্নির বদৌলতেই তো শীঘ্রই আপনারা সুরম্য অট্টালিকাতে বাসা বাধবেন। দামী দামী গাড়ি-ঘোড়া একটু আধটু চড়তে শিখবেন। তখন কি এই বেদনাদায়ক বিষয়টা আর পীড়াদায়ক থাকবে? সুতরাং আর দেরী না করে চাচা-চাচীরা আসুন আপনারাও নিজেদের মেয়েকে নিয়ে আমাদের মতো আনন্দর অথৈ সাগরে হই হুল্লোড়ের ঝড় তুলুন।

আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ন নীতি নির্ধারণী বৈঠক বসেছে। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে এরকম গুরুত্বপূর্ন বৈঠক আর হয় নাই। তবে অতিক্রান্ত কয়েক দশকে এরকম বৈঠকের পরিমাণ বুড়ি বুড়ি আছে। আমরা অশেষ শক্তি অর্জন করেছি; বুদ্ধিজীবী শক্তি, ভারতীয় শক্তি, আন্তর্জাতিক আমেরিকান শক্তি, সর্বশেষ চৌদ্দ গোষ্ঠীর সম্মিলিত লগি-বৈঠার শক্তি তো সর্বদাই আমাদের সাথে সহাবস্থান করিতে আছে। এখন আমরা বেশ কিছু কৌশল নির্ধারণ করব। এই কৌশলের আকৃতি হবে অনেক বড়, অনেক বিস্তৃত। এই কৌশল আমাদের সব সিমান্ত খুলে দেবে। অন্ধকারের অবসান ঘটিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ একটি উম্মোচিত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। তখন আমরা চট্টগ্রাম বন্দরে দাড়িয়ে থেকে বঙ্গোপসাগরের নোনা জলে মিয়ানমারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যুদ্ধ জাহাজগুলো এবং ভারত-আমেরিকান যৌথ নৈ-বহরকে স্পষ্ট দেখতে পাবো। সংসদ ভবনের ছাদে বসলে দিল্লির প্রসাশনিক ভবনগুলো আর হোয়াইট হাউস আমাদের নজর কাড়বে।
টেলিযোগে আমাগো রাজ্যকন্যা সকল দলের কেন্দ্রীয় নেতাগো লগে আলাপ করিছে। প্রায় পনেরটা দল- জাতীয় সংঘর্ষ দল, বাংলাদেশ সংহার দল, ওয়ার্কিং পার্টি, জাতীয় হাড্ডি গুড্ডি পার্টি, পীরে জাকের জঙ্গি পার্টি, তরিকতে গাঁজা বিতরণ ফেডরেশন, ন্যাপকিন, সম্রাজ্যবাদী পার্টি, ............................এরকম আরো কত দল!! সবাই বসে আছে।
বিশাল হলরুম, বিরাটাকায় একটি টেবিলকে ঘিরে পনেরটি চেয়ার। দেশের ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় মৃত ব্যাক্তিদের জন্য অনুগ্রহ প্রদর্শন পূর্বক পাঁচমিনিট নিরবতা ঘোষনা করলেন মাননীয় রাজ্যকন্যা। যে সকল লোকেরা আমাদের কাছে নিরুপায় হয়ে ইহকাল বিসর্জন দিল তাদের জন্য আমাদের পাঁচমিনিট সময় বিসর্জন দিয়ে অনুগ্রহ প্রদর্শন করতে কিইবা বাধা থাকিতে পারে? হঠাৎ রাজ্যকন্যার নজরে এলো, চৌদ্দটি চেয়ারের একটি চেয়ার অবেহেলিতভাবে পড়ে আছে। তিনি তার পিছনের সেক্রেটারীকে তর্জনী আঙ্গুলী ইশারা বাদ মাথা ঝাকিয়ে প্রশ্ন ছুড়লেন। সেক্রেটারী সাহেব আবার খুব নিয়মতান্ত্রিক মানুষ, নিয়ম ভঙ্গ তার একদম পছন্দে সয় না। এইজন্য কথা না বলে, হাতদ্বয় এবং বাম পা খানা উপরে তুলে চৌদ্দটি আঙ্গুল প্রদর্শন পর বৃত্তাকারে মস্তক আবর্ত করে সবিশেষে তর্জনী আঙ্গুল উপরে তুলে এদিক-সেদিক নাড়াতে লাগলেন। রাজ্যকন্যা আবার তর্জনী আঙ্গুল প্রদর্শন করলেন; হাতের আঙ্গুল ঘুরিয়ে , ঠোটদ্বয় বাঁকা করে আবারো মাথা ঝাকি দিলেন। এর অর্থ হচ্ছে, “আমি বুঝি নাই।” পিছনের সারিতে বসা কবি লীগ, সাহিত্যিক লীগ, সাংবাদিক লীগ, আর বুদ্ধিজীবী লীগের সদস্যরা ঊনাদের শারীরিক ভঙ্গিমায় ভাষা প্রকাশের ক্ষমতা দেখে আশ্চর্যবোধ করলেন। সেক্রেটারী মহোদয় হাত-পায়ের পুনঃকসরত করতে গিয়ে চেয়ার শুদ্ব মেঝেতে আছাড় খেয়ে অসাড় হয়ে গেলেন। আর অমনি চিৎকার করে বলে উঠলেন, “নেত্রীগো তের দিয়াই ঘোষনাপত্র চালান দিয়া দেন।” প্রচন্ড রকমের শব্দ দূষণে পাঁচমিনিট পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই নিরবতা রণেভঙ্গ দিল। বিষন্ন বদনে রাজ্যকন্যা মাথায় হাত রেখে আপন মনে ঘোষনা পত্রের দিকে জ্বল জ্বল দৃৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। নিস্তব্দ পরিবেশ। জাতীয় সংঘর্ষ দলের নেতা মইনু বিমল সাম্যবাদী বলেন,
-স্যার দুঃখ-কষ্ঠে কোন লাভ নাই। ওই হাড্ডি গুড্ডিটা বরং না আসিলেই ভালো। ওরে নিয়া জোট করিলে মহাজটে নিপতিত হবেন।
ঊনি বলন,
-বাছারা এটাই তো আমি চাই। সকল জায়গায় যদি জট না লাগে বেনামী পার্টিটাযে বহুদূর আগাইয়া যায়। দাড়াও মুরগির লোভ দেখিয়ে শিয়ালটারে কছে নিয়ে আসি। ক্ষমতায় গেলে আচ্ছা করে শিক্ষা দেওয়া যাবে।
ন্যাপকিন পার্টির সভাপতি বিশাল চওড়া একখান কাগজ হাতে নিয়ে আসন থেকে উঠে দাড়ালেন। অমনি অন্যরা প্রতিবাদ করে বলে উঠলেন,
-ভাই আপনের কোন কথা কওন লাগবো না। শুধুমাত্র মহাজট করার লাইগ্যাই আমরা আপনেরে নাওয়ে ভিড়াইছি। মাত্র সভাপতি আর সেক্রেটারি মিল্যা একখানা দল বানাইছেন আর কথা কওনের লাইগ্যা এত লাফালাফি।
বাংলাদেশ সংহার দলের প্রধান কমিন মৌল বলেন,
-ম্যাডাম এইবার আমাদের জয় ঠেকায় কে? এদেশে ইদানিং সুদ-ঘুষ, চুরি-ডাকতি, ছিনতাই-রাহাজানি-মহাজনি, খুন-ধর্ষন,চাঁদাবাজী ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়ে চলছে। এটা আমাদের জন্য শুভ লক্ষণ। কারণ প্রত্যেক টাউট, বাটপার, চুর-ডাকাত, খুনী, ধর্ষক, লুইচ্যারা নির্বাচনে বামপন্থী দলগুলোকে ভোট দেয় এবং বামপন্থদের সাথে এক হয়ে কাজ করে। আর কিছু কিছু লোক আছে যারা বামপন্থীগোর লগে বুকে বুক মিলাইয়া কাজ না করলেও ডানপন্থীগরে ভোট দেয় না; তাদেরকে বেনামী পার্টি বলে। মূলত আমাদের প্রকৃত শত্রু ডানপন্থীরাই। আমি আশা করি আপনি দেখিতে পাইবেন হাড্ডি গুড্ডির মত লুইচ্যাটা শীঘ্রই আমাদেরে ঘাটে টাই খুজবে। কারণ আমরা যে রকম অপরাধ এবং অপরাধীদে জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যাবস্থা করে রেখেছি ইসলামিস্টরা তা করতে পারে নাই। সুতরাং দেশের বৃহদাংশ অপরাধী এবং দুর্নীতিবাজদের জন্য আপনার চিন্তা নিষপ্রয়োজন।
ওয়ার্কিং পার্টির সভাপতি বলেন,
-বড় বড় অপরাধের গডফাদাররা তো ভোট দিতে যায় না। আমাদের উচিৎ হবে, সকল ধরণের কাজে কর্মে তাদেরকে আমাদের পাশে রাখা।
নেত্রী বলেন,
-পরাজয়ে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়। কিন্তু জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়াটা বোকামী। ডানপন্থীরা প্রচুর আয়োজন নিয়ে আগাইতে আছে। তাদেরকে আজীবনের জন্য নিঃশ্চহ্ন করে দেওয়া দরকার। এজন্য আমার তিলে তিলে গড়ে উঠা লগি-বৈঠা বহিনী একদম প্রস্তুত(আমি মাথা নাড়লাম)। তোমাদেরকে আজকের এই বৈঠকে আসার আমন্ত্রন জানানোর পিছনে আমার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি দিকনের্দেশনা দেওয়া। আর সেটা হলো আমাদের হার্ডলাইনের দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হলে তোমরা সকল প্রকার ল্যাট্রিন গুলোর সামনে দাড়িয়ে বকবক করার জন্য প্রস্তুত থাকবা।
আমার মনটা নেত্রীকে একটি প্রশ্ন করার জন্য আনচান করতে লাগলো। ছোটবেলায় যে কোন প্রশ্ন করলে তিনি শুধু সহজ ভাষায় একটি উত্তর দিতেন “এটা তুই বুঝবি না, তোর এখনও বুঝার বয়স হয় নাই”। এখন তো আর আমি ছোট নই। সেই ছোটবেলার রূপকথার ল্যাট্রিনগুলোর কথা নেত্রী মুখে আবারো শুনা গেলো। আমি তাই চট-জলদি ঊনাকে প্রশ্ন ছুড়লাম।
-স্যার ওই ল্যাট্রিনটা আসলে কি? ল্যাট্রিনের সামনে বকবক করার জন্য প্রস্তুত থাকার অর্থটা বুঝলাম না!!?
বিপ্লবী জলিল মিয়া বলেন,
-ওরে বছাধন ল্যাট্রিন মানে বুঝলা না!! হাগা কুটির বুঝলা....হাগা কুটির।
আমি বলি,
-ছিহ্‌ কি কুৎসিৎ নির্দেশ। হাগা কুটির গুলোর সামনে বকবক করতে হবে? ছী!!?
রাজ্যকন্যা আমার প্রতি কিছুটা ivMvwš^Z হলেন। তিনি আমাকে লক্ষ্য করে কঠোর ¯^‡i বললেন,
-তোর কত বড় সাহস! তুই হাগা কুটির নিয়ে ঠাট্টা করিছিস? পৃথিবীর সমস্ত জনসাধারণ যেগুলিকে মিডিয়া বলে জানে সেগুলিইতো পৃথিবীর সকল বামপন্থীদের কাছে হাগা কুটির নামে সমধিক পরিচিত। এই হাগা কুটির গুলোতে বামপন্থীরা হাগিলে তা হাগা কুটিরের সাথে সংযুক্ত সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত পাইপ গলিয়ে গলিয়ে সমুদ্রের অতল জলে তলিয়ে যায়। আর কিছু কিছু হলুদ মল অনেক সাংবাদিকদের কলমের ভিতর টুকে লিখনী আকারে বের হয়। এরকম সাংবাদিকদের হলুদ সাংবাদিক বলে। অপর দিকে ওই সকল হাগা কুটির গুলো যে কোন ডানপন্থীর মল খুজে পেলে তা দিব্যি প্রকাশমান করে রাখে। আরো বলি শুনো; এই হাগা কুটির গুলোতে তোমাদের কোন মল যদি কখনো প্রকাশমান দেখিতে পাও তবে কোন ধরণের চিন্তা যেন তোমাদের কখনো তাড়া করে না ফিরে। কারন এই ল্যাট্রিনগুলোর অনেক আছ এমন যা আমাদের খাস জনবল দ্বারা গড়া এবং তারা ডানপন্থীদের মলও বামপন্থীদের নামে চালাইয়া দেওয়ার যোগ্যতা রাখে। মিডিয়া কোন দিন কাউকে প্রতারিত করতে পারে না। কারণ এটা একটা কৃত্রিম জিনিস। এটাকে আমরা সূক্ষ্ণভাবে পরিচালনা করার দরুণ এমনকি সমগ্র বিশ্বকেও প্রতারিত করতে পারি।
সাংবাদিক লীগরা জ্বয় ধ্বনি দিল। তারপর ‘আলো আধারী’ জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক বললেন,
-জ্বী স্যার, আপনা বাত একদম সাচ্চা হ্যায়। আমাদের অবদান কেউ Aw¯^Kvi করতে পারেবে না। এদেশের ৯৫% অপরাধীরা সাধারণত ধর্মীয় শিক্ষা বিবর্জিত স্কুল-কলেজ শিক্ষিত। যাদের মধ্য থেকে ৯১.৫% অপরাধীরা সাধারণত দেশের নানাবিধ বামপন্থী দলগুলোর সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু এতকিছুর পরও আমাদের লিখনীর প্রভাবে দুনিয়া সম্পর্কে বেখবর মদরছা শিক্ষিত গীলুহীন পন্ডিত দীগের গায়ে কু-খবর লেপ্টে থাকার দরুণ সদ্য প্রসুত মনুষ্যজাত পশুটিও পর্যন্ত তাদেরকে ঘৃণা করতে শিখতেছে।
বুদ্ধিজীবী লীগরা সাংবাদিক লীগদের উচ্ছসিত প্রসংশা করে বললেন,
-জয়তু হে জয়তু মিডিয়া লীগের ভাইয়েরা। আপনারা তো এখন বহুত সাফল্য কুড়িয়ে চলছেন। গত এক সপ্তাহে বামপন্থী সন্ত্রাসীদের দ্বারা যত সংখ্যক নাগরিকদের নিশৃংস নিপাত হয়েছে গত এক বছরেও দাড়ী টুপি ওয়ালা মৌলভীদের দ্বারা তত সংখ্যক লোকবল মারা পরে নাই। এত কিছুর পরও তোমরা হেতাগোর বিরূদ্ধে আমাদের সহযোগীতায় যে পরিমাণে অপ-প্রচার শুরু করিছাও তাতে তো মনে লয় দেশী-বিদেশী অঙ্গন ছাড়াইয়া এখন পাতালপুরী পর্যন্ত জঙ্গীবাদ আতঙ্কের ঝড় বহিচ্ছে........চ্ছে.....চে....ছে.......
আমি বললাম,
-আপনরা সব কিছু আলবত ঠিক বলেছেন। কিন্তু জয়তু বলা ঠিক হয়নি। লগি-বৈঠা বহীনি যেদিন ডানপন্থীদের জিন্দাবাদের মৃত্যু ঘটাবে সেইদিনই কেবল ‘জয়তু’ বলা মানানসই হইবে।
রাজতন্ত্রী পার্টির সভাপতি আমার উপর তার মনের সকল ঝাঁঝ ছুড়ে বললেন,
-ওই মিয়া, তুমি কথার ফাঁকে কথা ঢুকাও ক্যা? তুমারে ক্যাডা কথা কইতে কইলো?
আমি বললাম,
-ভাইজান, আপনি আমার উপর ঝাঝ ছুড়লেন কেন? নেত্রী আপনাকে কি নির্দেশ দিলেন? বকবক করতে চান তো ল্যাট্রিনের সামনে যান, মোল্লবাদীদের উপর মনের সকল জ্বালা মিঠান।
পোলাডিপির পিতাজী অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন,
- দেখছেন নি আপনারা; দেখছেন নি, সেদিনকার পুচকা পোলাটা আইজক্যা আমাগো সামনে কি রম কতা কইতাছে। কোন আদব-কায়দা শিখে নাই.............
আমরা হচ্ছি রাজ্যকন্যার ডান হাত। কারণ তিনি এখন দেশের সকল তরুন নেতাদেরকে সাথে নিয়ে মাঠে নেমেছেন। আমার মত একজন তরুন নেতাকে নিয়ে ওই ছিচকে দলগুলোর মন্তব্য শুনে আমার রাগ চরমে উঠে গেল। শক্তি থাকলে সামন্য কিছুতেই যে কারো রাগ চরমে উঠতে পারো। এটা একটা ¯^vfvweK ব্যাপার।
আমি বললাম,
-আমি কথা বলবো না তো আপনারা কথা বলতে যাবেন নাকি? আমার আওয়তাধীন মাত্র একটি এলাকায় নিজের যত ছিচকা-পুচকা, গুন্ডা-পান্ডা, ছাও-ছাওয়ালী আছে, সমগ্র বাংলাদেশেও তো তোমাদের ১৩টা দল মিলিয়ে তত সংখ্যাক কর্মী-সমর্থক খুজে পাওয়া দুষ্কর।
হলরুমে চরম হট্টগোল, হাতা-হাতি, জুতা-জুতি, চেয়ার ছুড়া-ছুড়ি শুরু হয়ে গেল। বামপন্থীদের জন্য আন্তঃ হাতা-হাতি কিংবা জুতা-জুতি কোন ব্যাপার না। বৃক্ষের শাখা-প্রশাখা যতই এলোপাতাড়ি ছুটুক না কেন তারা কিন্তু একই মূলের রস চুষে খায়। রাজ্যকন্যা হলরুম থেকে বের হয়ে চুপি-চুপি ঊনার গাড়ি বরাবর হাটতে শুরু করলেন। আমি উনার পিছু পিছু পথ ধরে গাড়ীর কাছাকাছি হাজির হলাম। ঊনি বললেন,
-বাপু তোমার এহেন কর্ম সম্পাদনে আমি যারপরানই খুশি হয়েছি। ওদের কথাবার্তা যেন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছিল না। তোমার কৃতিত্ব কখনই ভুলে যাবার নয়।
আমি বললাম,
-স্যার আপনার এহেন কথাবর্তা বরাবরই আমার কর্মগতিকে উত্তেলিত করে। আমি আপনার সাথে ওয়াদা করলাম, শীঘই আমি আপনার সকল কর্মকান্ডকে ১৫হাজার অশ্বশক্তিতে ধাবমান করতে যাচ্ছি।
রাজ্যকন্যা বললেন,
-বাছা, এতক্ষনে তোমার কথা আমাকে পরিপূর্ণরূপে আশ্বস্ত করতে পেরেছে। যাও এখন থেকে তুমি আমার লগি-বৈঠা বহীনির সেকেন্ড-ইন-কামান্ড নিযুক্ত হলে।
আমি বললাম,
-দাদীমা আগ্গে আপনার পায়ে Pz¤^b পরে কথা।
তিনি আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললেন,
- বাছা; বেনামী পার্টিটার গতিবেগ বোধহয় আমাদেরকে অতিক্রম করে ফেলেছে।
আমি বললাম,
-ডান-বাম রসে সিক্ত বৃক্ষের চিড় ধরে মূল থেকেই; আমাদের তো সে রকম হয়না। শুনেন নদীর এইকূল, ওই কূল দুই কূল ছেড়ে যারা নদীর মধ্যখানে নিজেদের খুটি গেড়ে নিল, তাদের খুটি যতই শক্তিশালী হউক না কেন যৎসামন্য ঝড় কিংবা বৃষ্টিতে তাদের খুটি নদীর পাতালে ঠাই খুজবে। আর নদীতে যদি হারিকেন অথবা সাইক্লোন আসে, ওরা চিরতরে হারিয়ে যাবে।
অতপর রাজ্যকন্যার গাড়িটা আমাকে বিদায় জানিয়ে সাই করে চলে গেল। আমি দেখলাম, আমি গাড়িটাকে আমার দৃষ্টির সীমানার ভিতর ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছি। আমার মাথার উচ্চতা যদি ওই আকাশ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে যেত তাহলে নিশ্চয়ই গাড়িটা ভারত যাক অথবা আমেরিকা যাক আমার দৃষ্টিসীমা অতিক্রম করতে পারতো না।
আমি লগি-বৈঠা বহীনির সেকেন্ড-ইন-কামান্ডর মনোনিত হওয়ার পর সর্বপ্রথম জুতা হাজারীর পক্ষ থেকে একটি নিমন্ত্রন পত্র পেলাম।
শহরের প্রধান ফটকে বিশাল গাড়ি বহরসহ জুতা হাজারী তার সকল বাহিনী নিয়ে আমাকে সম্ভাষণ জানালো। তারপর আমরা দুইজন একই গাড়িতে বসে শহর প্রদক্ষিণ করতে করতে ঊনার বাড়ীর দিকে যাত্রা করলাম। যাত্রা পথে হঠাৎ করে জুতা হাজারী গাড়ির জানালার বাহিরে হাত গলিয়ে একটি ললনার দিকে আঙ্গুলি ইশারা করে বলল,
-দেখছেন নি ভাইজান, দেখছেন নি। ফুল পরীরা কেমন করে দুলিয়া দুলিয়া হাটিয়া যায়।
আমি বললাম,
- ভাইজান, ঠিক বলেছেন। এরকম সাইজ আমার খুব পছন্দ।
আমার গাড়ি বহর জুতা হাজারীর বাড়ী পর্যন্ত পৌছতে না পৌছতেই তার বাহীনির পোলাপানরা আমার জন্য ওই চমৎকার ফুল-পরীটি উপহার হিসেবে পেশ করলো। জুতা হাজারী আমাকে বলল,
-স্যার আমার বাহীনির পক্ষ থেকে আপনার পছন্দকৃত এই সামান্য উপহারটুকু গ্রহন করুন।
আমি তাদেরকে বললাম,
-আমি খুব খুশী হয়েছি। কারণ তোমরা সচরাচর যে ইবলিসের দীক্ষা গ্রহন করে থাকো সে নিশ্চয়ই আমার থেকে অনেক এগিয়ে। সুতরাং এখানে আমার আর কোন কাজ নেই; চলে যাওয়াটাই শ্রেয়।
জুতা হাজারী বলল,
-স্যার তাইলে কি আন্নে চলি যাইতে চান?
আমি বললাম,
-হ্যা, তবে আমার যাওয়া না যাওয়া তো একান্তই তোমরা উপর নির্ভর করছে।
জুতা হাজারী একটু অবাক হয়ে বলল,
-স্যার মানে বুঝলাম না?
আমি বললাম,
-বুঝলা না! তোমার এখানে আসা-যাওয়ায় আমার খানা-পিনা এবং গাড়ির তেল বাবদ অনেক টাকা-কড়ি খরচ গেছে। এগুলো পরিশোধ করতে হবে না!?
জুতা হাজারী বলল,
-স্যার বলেন, আন্নেরে এখন কত টাকা দিলে চইলবো?
আমি বললাম,
-ব্যাবসা-বানিজ্য তো ভালোই হচ্ছে। যাও আপাতত এক কোটি দিলে চলবে।
জুতা হাজারী আমার কাছে সাত দিন সময় চাইলো। আমি ওরে পাঁচ দিন সময় দিলাম।
সন্ধ্যার দিকে একদল সশস্ত্র যুবক হাত-পা বাধা একটি ষোড়শীকে পাজকোলা করে জুতা হাজারীর বৈঠকখানায় হাজির করলো। মেয়েটি আতঙ্কে বোবা হয়ে গেছে। জুতা হাজারী মেয়েটির বাবাকে ফোন করে বলল,
-আপনার মেয়েটির ভালো চান তো আগামী কইল্যের মইধ্যে দুই কোটি টাকা নিয়া আইস্যেন।
ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে কান্না ভেজা অস্পষ্ট কন্ঠ ভেসে আসছে; জুতা হাজারী বলে,
-একমাত্র মেয়েটির জন্য যদি এই সামন্য ক’টি টাকা উৎসর্গ করতে না পারেন তাহলো আমাদের আর কি করার? আজ রাত আমার বিছানায় সংগ দিয়ে কাইলক্যা আমার শেয়াল-কুকুরের মুখে ছাইর‌্যা দিতাছি।
জুতা হাজারী ফোনের রিসিভারটা কট্‌ করে রেখে দিয়ে আমাকে নিয়ে ওর অন্দর মহলে চলে গেল। ঘড়ির কাটা রাত একটা ছুই ছুই করে। মেয়েটির বাবা এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা হাতে নিয়ে জুতা হাজারীর বৈঠকখানায় হাজির হলো। তারপর জুতা হাজারীর পায়ে পড়ে নিজের মেয়েটিকে ফেরত চাইলো। জুতা হাজারীর কঠোর নির্দেশ,
- টাকা-কড়ি কম দিছ, বেশী চিল্লা-পাল্লা করবা না। এরকম মিশনে চিল্লা-পাল্লায় ফল উল্টা ধরে। চুপি চুপি বাসায় ফিরে যাও, মেয়েটারে কাল সকালেই তোমার ঘরে ফিরিয়ে দিচ্ছি।
অতপর সারারাত আমি পাশের ঘরে শুয়ে মেয়েটি আর্তচিৎকার শুনেতে পেয়েছি। এই কুঁই কুঁই শব্দটি এক সময় হারিয়ে যাবে। ¯^vaxbZvi পর থেকে কত লক্ষ লক্ষ নারীর আর্তচিৎকার এভাবে কালের অতলে হারিয়ে গেছে তার কি কোন ইয়ত্তা আছে!?
আমি যখন চট্রগ্রামের পথে যাত্রা করি তখন শুনতে পেলাম মেয়েটি নাকি বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করেছে। তারপর অন্য আরেকদিন খবরের কাগজে চোখ বুলিয়ে দেখলাম, মেয়েটির বাবা নাকি এখন পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। আসলে পাগল হওয়ার কি প্রয়োজনটাই বা ছিল? এদেশে তো অনেক ¯^vgx তার স্ত্রীকে, অনেক পিতা তার ছেলেকে, অনেক ভাই তার বোনকে যুগ যুগ ধরে অনবরত হারিয়ে আসছে। এ জাতির আপামর জন সাধারণ তো কোন দিন পাগল হয়ে যায় নি?
ঊর্মিমালা আমাকে কল করলো; আমি বললাম,
-কোন সমস্যা? কল করেছ কেন?
ঊর্মিমালা বলে,
-এই শুনতে পাচ্ছো, আমি ঊর্মিমালা বলছি।
আমি বললাম,
- তুমি যে ঊর্মিমালা বলছো সেটা তো বুঝতেই পারছি। এখন কি বলবে তাই বল।
ঊর্মিমালা বলে,
-এই তুমি এরকম করে কথা বলছো কেন?
আমি বললাম,
-তাহলে তোমার সাথে কিভাবে কথা বলব?
ঊর্মিমালার কন্ঠ যেন একটু অন্যরকম হয়ে গেল। ঊর্মিমালা বলে,
-তুমি কি আমাকে ভালোবাস নি? না আমার সাথে ঠাট্টা করেছ?
আমি বললাম,
- রাজনীতিবিদদের ভালাবসা অন্যরকম।
ঊর্মিমালা বলে,
-তাহলে কি তুমি আমার সাথে প্রতারণা করেছ?
আমি বললাম,
-শুন, আমি একজন রাজনীতিবিদ। প্রতারণা রাজনীতির একটি অংশ। সুতরাং এতে তোমার আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছুই নেই।
ঊর্মিমালার কন্ঠ কান্নাজ্বরিত হয়ে গেল। ও বলে,
-আমি তোমার জন্য যে ভালোবসাকে উৎসর্গ করেছি সেটা তো কোন প্রতারণা ছিল না। আমি তোমাকে প্রথম দেখার দিন থেকেই ভালোবেসে ছিলাম। তোমার কি মনে নেই সেদিনকার দেওয়া অটোগ্রাফের কথা? আমি তোমার কোন কথা রাখনি বলো? বলো আমি কেন তোমার কাছে অন্যরকম নই?
আমি বললাম,
-সবাই সবার কাছে অন্যরকম। তাতে ¯^vfvweKZvi উর্দ্ধে কি আছে?
ঊর্মিমালা বলে,
-তাতে যদি কিছু নাই হয়ে থাকে তাহলে আমি আত্মহত্যা করছি। আমি তো আর প্রতারক নই। ভালাবাসা ধ্বংস হয়ে যাওয়া আমার কাছে মৃত্যু তুল্য।
আমি বললাম,
-এতেও তো আমি A¯^vfvweK কিছু দেখি না?
ঊর্মিমালা বলে,
-আচ্ছা ঠিক আছে; তাহলে আমার ব্যাথাই শেষ পর্যন্ত ভারী হয়ে আকাশে ঘুরে বেড়াক।
আমি বললাম,
-এগুলো তোমার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার। তবে শুন, আত্মহত্যার আগে আমাকে একবার কষ্ঠ করে ফোন কর।
ঊর্মিমালা বলে,
-কেন?
আমি বললাম,
-না, কিছু না। আত্মহত্যা করতে কেমন লাগে, আমার খুব জানতে ইচ্ছা।
ঊর্মিমালা কাঁদতে কাঁদতেই ওর কলটা কেটে দিল।
ওরকম ক্রন্দনে বিপ্লবীদের কিছু হয় না।

চট্রগ্রামের বিপ্লবীরা আমার জন্য পার্বত্য অঞ্চলে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আমি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে ওদের বিপ্লবের খোজ-খবর নিলাম। ওদের দৃঢ় আশ্বাসে আমার বিশ্বাস হলো যে ওই শালার ইবলিসটা সব জায়গাতেই আমারা চেয়ে অনেকগুণ আগাইয়া আছে। ওরা বলল,
-স্যার কোন চিন্তা কইরেন না। চুড়ান্ত বিপ্লবের জন্য আমরা অপারের জ্ঞাতী ভাইদের কাছ থেকে আগে-বাগেই অস্ত্র আমদনী শুরু করে দিয়েছি।
ওরা রঙ-বেরঙয়ের অনেক পার্বত্য ললনাদের ধরে নিয়ে এসেছে। যাক অনেক দিন পর ভিন্ন ভিন্ন ষোড়শীদের অভিন্ন অভিন্ন সাধ ভালো করে Av¯^v`b করা যাবে। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম,
-সংখ্যালগুদের উপর নির্যাতনের কাহীনি নিয়ে কোন হুলুস্থুল হবে কিনা?
ওরা বলে,
-লোক দৃষ্টে এইসব কাহীনি-টাহীনির নায়ক তো আমরা না। আমরাতো সব-সময় ওসব কাহীনি-টাহীনি নিয়ে পত্রিকার কলো কালিতে এবং নির্বাচনি ইশতিহারে আলোচনার ঝড় তুলি।
ষোড়শীরা চেঁচামেচি করে। ওরা কি যেন বলতে চায়; আমি তাদের কথা শুনলেও তেমন খেয়াল করি না। ওগুলো খেয়াল করে আমার কি লাভ? আমি করি, আমার করা দরকার তাই। অন্যরাও করে; তবে নেতারা যাকে ইচ্ছা তাকে করতে পারে। আসলে দলবদ্ধভাবে করা-করিতে অনেক আমোদ হয়। ইসলামপন্থীরা সর্বদা এই করা-করির উপর কড়াকড়ি আরোপ করে; আমরা তা করি না। কারণ বাম-চিন্তায় অসৎ কর্মে কোন কড়াকড়ি নাই; ডান-চিন্তায় আছে। আমরা বামপন্থীরা সর্বদাই মানুষের কল্যানে নিবেদিত। এজন্য তরুনরা কি পন্থায় সুষ্টভাবে করা-করি কাজ সম্পন্ন করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সকল জায়গায় বিনোদন মূলক করা-করি শিল্পের প্রসার ঘটাচ্ছি। কিন্তু সবাইতো আর আমাদের সেন্টারগুলোতে আসতে পারে না। সুতরাং তাদের জন্য “ছবি দেখি করা-করি শিখি” কর্মসূচীর আওয়তায় রাস্তায় রাস্তায় বড় বড় বিল বোর্ডগুলোতে ঝুকিহীন করা-করিতে নিরাপদ কনডম ব্যাবহার শীর্ষক ছবি m¤^wjZ নিয়ম-কানুন প্রচারের মাধ্যমে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা দরকার।
করা-করির ব্যাপারে আমার অনেক রাষ্ট্রীয় আশা-আকাঙ্খা আছে। আমি যদি কখনো এই বাংলার রাষ্ট্রনায়ক হতে পারি তবে, দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে একাটি করে কাম বিভাগ চালু করবো। যে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া-লেখা করতে বিরক্তী লাগে তারা সেখানে গিয়ে নির্ধিদায় কাম করতে পারবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়, লেক, এবং পার্ক গুলোর আনাচে-কানাচে, যেখানে-যেখানে যারা যারা সচরাচর অসমাপ্ত করা-করি করে তাদের সুবিধার্থে সেখানে সেখানে ছোট ছোট কাম ঘর স্থাপন করে দিব। তারপর ঢাকা শহরে যাদের বাড়ী-ঘরে করার সুবিধা নেই এবং যাদের রিক্সায় রিক্সায় করা-করি করার অভ্যাস আছে তাদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ সিস্টেমের “করা-করি রিক্সা সার্ভিস” চালু করে দেব।
ঊর্মিমালা আমাকে আবার কল করেছে। ওর কন্ঠে কান্ন্‌া কান্না ভাব। আমি বলি,
-ও, তুমি কি আত্মহত্যার জন্য প্রস্তুত?
ও বলে,
-হ্যা।
আমি বলি,
-আত্মহত্যা কেমন?
ও বলে,
- আত্মহত্যা নিরুপায় বিষ সিক্ত।
আমি বলি,
-বিষয়টাতো খুবই চমৎকার!!
ও বলে,
- তুমি কি আমার সাথে ঠাট্রা করছো? তুমি কি আমাকে সত্যিকারভাবে ভালোবাসো?
আমি বলি,
- ঊর্মিমালা আমি তোমাকে ভালোবাসি।
ঊর্মিমালা কোন কথা বলছে না। মোবইলে কোন আওয়াজ আসছে না, শুধু একটা বড় ধরনের শব্দ শোনা গেল। তার পর মোবইলাটাতে আর কোন কলই ঢুকছে না। আমি কিছু বুঝতে পারছি না। চট্রগ্রামের বিপ্লবীদের শেষ নির্দেশ দিয়ে আমি তাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। তাদেরকে বললাম,
“তোমরা চুড়ান্ত নির্দেশ না আসা পর্যন্ত প্রস্তুত থেকো। আমার একটা জরুরী কাজে ডাক পড়েছে। তোমরা শুধু শেষ নির্দেশটার জন্য অপেক্ষায় থাকবে।”
গাড়ীটা খুব দ্রুত আমার গন্তব্যের দিকে ছুটতে লাগলো। আমি ড্রাইভারটাকে বললাম, “আরো দ্রুত চালাও।” ড্রাইভার বলে, “স্যার গতি আরো উপরে উঠলে এক্সিডেন্ট হতে পারে।” আমি বললাম, “এই মুহুর্তে এক্সিডেন্ট কাম্য নয়।”
রাতের শেষ প্রহর; গাড়ীটা ঊর্মিমালার বাড়ীর উঠোনে গিয়ে দাড়ালো। আমি দরজায় নক করলাম। ঊর্মিমালা দরজা খুলল। ওর চোখ-মুখ একদম ফুলে-ফেপে উঠেছে; গালের উপর অশ্রু বয়ে যাওয়ার রেখাটা পুরোপুরি স্পষ্ট। আমি বললাম,
-আসলে আমি.......আ...মি......
ঊর্মিমালা আমার সাথে কোন কথাই বলল না। দরজাটা আটকিয়ে দিয়ে চলে গেল। আমি ঊর্মিমালার বিছানায় বসলাম। বিছানা অনেকটা নরম, লাল-গোলাপী-সাদা ফুলের ফেব্রিকের পেইন্ট করা চাদর। আমার এখন নিদ্রায় যেতে ইচ্ছা করছে। মনে হচ্ছে অনেক দিন হলো ঘুমাইনি। ঊর্মিমালা আমার জন্য টেবিলে খাবার সাজিয়ে দিল। এই মুহুর্তে খাবারের প্রতি আমার কোন আগ্রহ নেই। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকাল পর্যন্ত অনেক্ষণ ঘুম হলো। নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম। ঊর্মিমালা আমাকে জাগিয়ে তুলল। আমার ভিতরে এখন পরিবার বদ্ধ জীবনের অনুভূতি কাজ করছে। অসাধারণ অনুভূতি। ঊর্মিমালা আমাকে বললো,
-এই বলতো তুমি আমার সাথে ঠাট্রা করছিলে কেন? আমি যদি তখন সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করে বসতাম?
আমার কাছে আসলে কোন সদুত্তর নেই। আমি তাকে বললাম,
-আমি তো মূলত একজন বামপন্থী রাজনীতিবিদ। বামপন্থী রাজনীতিবিদেরা বেশীর ভাগ সময় বুঝে শুনে কাজ করে না।
ঊর্মিমালা বিড় বিড় করে বলল,
-দাড়াও বিয়েটা হয়ে যাক; তারপর তোমাকে আমি রাজনীতি শিখাচ্ছি।

প্রকৃতির কাছ থেকে সময় দ্রুত বিদায় নিচ্ছে। আমি ঊর্মিমালাকে বললাম,
-আমাকে বিদায় দাও। কার্যফল অত্যাসন্ন তাই বিলম্ব সহনীয় নয়।
ঊর্মিমালা কোন কথাই বলল না। অতপর আমি সব কিছু গুছিয়ে-টুছিয়ে গাড়িতে উঠতে লাগলাম। ঊর্মিমালা তখন দরজার চৌকাঠে দাড়িয়ে বলল,
-এই একটা অটোগ্রাফ দিয়ে যাবে?
আমি বললাম,
-চুমু হচ্ছে মিলনের দ্বার। অটোগ্রাফ দিলে সময় নষ্ট হবে।
গাড়িটা স্টার্ট নিয়ে কিছু দূর এগিয়ে গেল। কিন্তু ঊর্মিমালা যেন আমার দিকে তাকিয়েই থাকলো। ওর চাহনীটা ভীষন সাংঘাতিক। আমি আবার ফিরে এসে ঊর্মিমালার কপালে একটি অটোগ্রাফ দিয়ে বিদায় নিলাম; উচু উচু টিবিতে সামিয়ানা টাঙ্গানো শহরের দিকে। নগরীর প্রধান ফটকে এক বিকেলে শহরবাসীরা আমাকে অভিনন্দন জানালো। উপস্থিত জনতার মাঝে একজন গণ্যমান্য ব্যাক্তির অনুপস্থিতি আমার নজর কাড়লো। আমি বললাম,
-এই তোমাদের মধ্যে যে একজন মোটা-গাট্টা কালো করে লোক ছিল ও কই?
একজন লোক আমার কাছে এসে বলল,
-স্যার আমিই
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×